বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের ৪র্থ দিনের খেলা মাঠে গড়াবে আগামীকাল। একটা ব্যাপার একরকম নিশ্চিত। সিলেট টেস্ট শেষ হয়ে যাচ্ছে চার দিনেই। তবে বাংলাদেশ জয় পাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে।
বাংলাদেশকে জিততে হলে চতুর্থ দিনে করতে হবে রেকর্ড ২৯৫ রান। টার্গেট ৩২১ রানের। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে এই লক্ষ্য তাড়া করতে নামা যথেষ্টই কঠিন।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজ
৪র্থ ইনিংসে তিনশ’র বেশী তাড়া করে ম্যাচ জেতার খুব একটা নজির নেই। এই উপমহাদেশে তো সেটি আরও বিরল। মাত্র পাঁচবার উপমহাদেশে তিনশ রান তাড়া করে জেতার নজির রয়েছে।
দেশে-বিদেশে কোথাও তিনশ তাড়া করে জেতার কীর্তি বাংলাদেশের নেই। বাংলা
দেশ ৪র্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৯ রান তাড়া করে জিতেছিল ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
ইতিহাস বিপক্ষে থাকলেও বাংলাদেশকে আশা দেখাতে পারে উইকেট। হ্যা, উইকেটই। বাংলাদেশের হাতে নিজেদের ১০ উইকেট আছে আর ৪র্থ দিনে মাঠের উইকেট যততা ভেঙ্গে গিয়ে বোলিংবান্ধব হয়ে যাওয়ার কথা সিলেটের উইকেট এখনও তেমন আচরণ করেনি।
এখনও সিলেটের উইকেট খুব একটা না ভাঙ্গায় ৪র্থ দিনেও মোটামুটি ব্যাটিংবান্ধব উইকেটই পাচ্ছে স্বাগতিকরা। এখন দেখার অপেক্ষা স্বাগতিকরা এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারে কিনা।
এই লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারলে নতুন ইতিহাস রচিত হবে।
এর আগে নিজেদের জঘন্য ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায়।
২য় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে যত বেশীক্ষণ সম্ভব উইকেটে পড়ে থেকে রান তুলতে চেয়েছিল অতিথিরা। মাসাকাদজা ৪৮ রানে আউট হওয়ার পরেই জিম্বাবুয়ের ইনিংস আর নিজেদের প্রত্যাশা অনুযায়ী লম্বা হয়নি।
স্বাগতিকদের হয়ে দূর্দান্ত বোলিং করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। মিরাজের তিন উইকেট আর তাইজুলের পাঁচ উইকেটে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ১৮১ রানে।
প্রথম ইনিংসেও ৬ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল
তাইজুলের। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। এছাড়াও সিকান্দার রাজা করেছেন ২৫ রান। জিম্বাবুয়ে লিড নেয় ৩২০ রানের।
বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চমবারের মত এক টেস্টে ১০ বা তার অধিক উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তাইজুল ইসলাম।
আগের কীর্তিগুলো ছিল সাকিব আল হাসানের(২ বার), মিরাজ, এনামুল হক জুনিয়র( ১ বার করে)।
তাইজুল নিজে এই কীর্তি গড়েছেন প্রথমবারের মত।
৩২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়ে ২৬ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা আগেভাগেই শেষ হয়ে যায় আজ।
কাল ১৪ ও ১২ রানে অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস যতটা সম্ভব নিজেদের ইনিংস বড় করতে চাইবেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে হবে বাকিদেরও।
কাল বাংলাদেশকে জিততে হলে পারি দিতে হবে অনেকটা পথ। নতুন করে লিখতে হবে ইতিহাস।
Leave a Reply