১৮ জ়ানুয়ারি, ২০২০-এ শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ মিশন। এই মিশনে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর এ স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দলটির দলনেতা আকবর আলি। যদিও আপাততঃ গ্রুপ পর্ব পেরোনোই লক্ষ্য, তবে এই দল নিয়ে তিনি ফাইনাল খেলার মত ভালো কিছু করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
ভারতের সাথে ভাগাভাগি করে সর্বোচ্চ ১৮টি জয়ের রেকর্ড সঙ্গে করে বাংলাদেশ এবার অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এই জয়গুলো এসেছে পূর্ববর্তী অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ এর পর ৩০টি ম্যাচ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও শ্রিলংঙ্কা’র সাথে সিরিজ জয়। এছাড়াও রয়েছে ইংল্যান্ড-এ তিনটি উল্ল্যেখযোগ্য জয়।
রেকর্ড জয়ের পাশাপাশি রান এবং উইকেট শিকারেও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ও বোলাররা তালিকায় উপরের দিকে রয়েছেন। গত দুই বছরে যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান করার পাশাপাশি এক হাজার রানের তালিকায় শুধুমাত্র তাওহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল হাসান জয়’ই নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিলেন। সেই সাথে শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও তানজিম হাসান সাকিব ছিলেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকারি।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ড এর সাথে। প্রস্তুতি হিসেবে দু’সপ্তাহ আগেই দক্ষিন আফ্রিকায় পৌছেছে দলটি। বর্তমানে পচেফস্ট্রুমে’র নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভারসিটি ক্রিকেট একাডেমিতে ট্রেইনিং ক্যাম্পে শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা। ওখানে, দু’টি ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের পাশাপাশি আরও দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।
হেড কোচ নাভিদ নেওয়াজ দলের ব্যাটসম্যানদের উপরেই বেশি ভরসা করছেন, যদিও বোলিং ইউনিটের প্রতি তার পুর্ন আস্থা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের বিদেশের মাটিতে জয়গুলো বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে তাকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড এবং শ্রীলংঙ্কাতে এশিয়াকাপে ছেলেদের মাঠে ও মাঠের বাইরের ভালো পারফরমেন্সকে তিনি মূল রসদ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বকাপে দলকে খুবই ভালো ফল এনে দিতে পারবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
দলনেতা আকবর আলির উপর রয়েছে তার পুর্ন আস্থা। কারণ, আকবর আলি দারুনভাবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে দলের জন্যে তিনি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নওয়াজ বলছিলেন, “সবার আগে তাকে একটি নিঃস্বার্থ ব্যক্তি হতে হবে যিনি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। এটিই প্রথম মানদণ্ড [তাকে অধিনায়ক হিসাবে নির্বাচন করার জন্য]।”
তিনি আরও বলছিলেন, “আকবর আলি এমন একজন ব্যক্তি যিনি এখানকার প্রত্যেকের কাছ থেকে সেরাটি বের করতে সক্ষম হবেন। আর প্রত্যেককেই তাকে বিশ্বাস করতে হবে। আমি মনে করি, তিনি অতীতেও ভাল করেছেন এবং আমি আশা করি তিনি এখানেও এই বিশ্বকাপের মত মঞ্চে নিজে এবং দলকে ভালো ফল এনে দিতে সক্ষম হবেন।”
যেহেতু বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম সফল দল হিসেবে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করতে যাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা সম্পর্কে আকবর আলি অবগত। ভালো ফল এনে দেওয়ায় আত্মবিশ্বাসী হলেও আপাততঃ গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। এরপর ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগুতে চান। দক্ষিন আফ্রিকা যাওয়ার আগে বগুরা’তে ঘাস ও বাউন্সি উইকেটে প্রাকটিস করতে পারায় এবং বর্তমানে পচেফস্ট্রুমে’র নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভারসিটি ক্রিকেট একাডেমিতে ট্রেইনিং ক্যাম্পের প্রস্তুতিতে তিনি সন্তুষ্ট।
দল হিসেবে বিগত দুই বছরে দারুন উন্নতি করতে পারায় আশা করা যায় বাংলাদেশ এবার অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকবে।
মিরসরাই প্রতিদিন says
ছোট বেলা থেকেই, অন্য অনেকের মতো আমারও খেলাধুলার প্রতি খুব ভাল আকর্ষণ আছে। প্রানের দেশ, আমাদের এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, যাবে এগিয়ে অনেক দূর, এটাই প্রত্যাশা, সব সময়।
bdcricinfo says
খেলাধুলা ভালবাসি মন থেকে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।