ফেসবুক মেসেঞ্জারের সুবিধা অসুবিধা অনেকেই জানেন। আবার, কেউ কেউ আছেন যারা এই ম্যাসেজিং অ্যাপটির সুবিধাগুলো জানলেও অসুবিধাগুলো জানেন না।
ফেসবুক অ্যাপের সাথে মেসেজিংয়ের জন্য ডিফল্ট অ্যাপ হিসেবে ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহৃত হয়। এই সময়ে মানুষের সাথে সবচেয়ে সহজ, ঝামেলামুক্ত এবং কম খরচে যোগাযোগ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ফেসবুক মেসেঞ্জার।
বর্তমান সময়ে যে ১০টি ফ্রি কলিং ও মেসেজিং অ্যাপস্ রয়েছে, তার মাঝে ফেসবুক মেসেঞ্জার অন্যতম। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭.৮ বিলিয়ন।
অর্থাৎ, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে এবং এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আর এদের প্রায় প্রত্যেক্যেই ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করছে। বুঝতেই পারছেন, এই বিশাল লোকজনকে সহজে একে অপরের সাথে কানেক্ট করে দিয়েছে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার।
ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন এবং কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হবেন তা নিয়েই এই আর্টিকেল।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের সুবিধা অসুবিধা
সুবিধা ০১ঃ দ্রুত যোগাযোগ করা যায়
বর্তমান বিশ্ব অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি ক্রমাগত ডেভোলোপ হচ্ছে। ধরেন, আপনি একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করেন। ক্লায়েন্ট যদি আপনার প্রোডাক্ট অর্ডার করে বা প্রোডাক্ট রিলেটেড কিছু জানতে চায় এবং আপনি যদি তৎক্ষনাৎ তাকে জবাব দিতে না পারেন, তাহলে সে নিশ্চইয় আপনার জন্য বসে থাকবে না! অন্য কোনো পেইজে গিয়ে অর্ডার করে ফেলবে। অর্থাৎ আপনি আপনার ক্লায়েন্ট হারাবেন।
কিন্তু যদি আপনি ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি ক্লায়েন্টের ইনকোয়ারির তৎক্ষনাৎ রিপ্লাই তো দিতে পারবেনই, আবার যদি অনলাইনে না থাকেন, তাহলে একটা অটোমেটেড ম্যাসেজও সেট করে রাখতে পারবেন যা বাই ডিফল্ট রিপ্লাই হিসেবে চলে যাবে তার কাছে।
সুবিধা ০২ঃ ব্যবহারে কোনো চার্জ লাগে না
বাংলাদেশে এক সিম থেকে আরেক সিমে একটা SMS এর জন্য ০.২৫ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। MMS এর জন্য খরচ হয় আরো বেশি। কিন্তু ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আনলিমিটেড চ্যাটিং, ছবি পাঠানো, ভিডিও পাঠানো একদম ফ্রি।
আপনার যদি ডাটা কেনা থাকে অথবা ওয়াই-ফাই থাকে, তাহলে ম্যাসেঞ্জারে এগুলা করতে আপনাকে আলাদা কোনো খরচ করতে হবে না।
সুবিধা ০৩ঃ কল করা যায়
মেসেঞ্জারের অন্যতম আকর্ষণীয় ফিচার হলো কলিং। আপনার সাথে ফেসবুকে কানেক্টেড এবং মেসেঞ্জার ব্যবহারকারী যে কাউকে আপনি ভয়েস কল ও ভিডিও কল দুইটাই দিতে পারবেন। মোবাইল ডাটা বা ওয়াই-ফাইয়ের চার্জ বাদে আলাদা কোনো চার্জ লাগে না।
অসুবিধা ০১ঃ মোবাইলের ব্যাটারির দ্রুত ক্ষয়
ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ সব সময় মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে, সব এ্যাপের উপর ওভার লে করতে পারে। এ জন্যেই যে মুহূর্তে কেউ ম্যাসেজ পাঠায় ঐ মুহূর্তেই আমরা তা দেখতে পাই। কিন্তু ম্যাসেঞ্জারের এই অপশনটির জন্যে ব্যাটারি ক্ষয় হয় দ্রুত। ব্যাটারির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
অসুবিধা ০২ঃ ফেসবুক অ্যাপ থাকলে মেসেঞ্জার ব্যবহারের বাধ্য-বাধকতা
ফেসবুক অ্যাপ দিয়ে ফেসবুক চালালে সেখানে ম্যাসেজিং করার অপশন নেই। ম্যাসেজ করতে হলে আপনাকে অব্যশই মেসেঞ্জার ইনস্টল করতে হবে।
যাদের মোবাইলে RAM কম তাদের মেসেঞ্জার ব্যবহারের ফলে মোবাইল স্লো হয়ে যায়।
অসুবিধা ০৩ঃ স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্যুতি ঘটায়
মেসেঞ্জার অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ডে এক্সেসিবিলিটি থাকার কারণে যে-কোনো সময় মেসেজ চলে আসে। অনেক সময় আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করছি হঠাৎ করে ম্যাসেজ চলে আসায় আমাদের কাজের বিঘ্ন ঘটে এবং বিরক্তির উদ্রেক হয়।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের সুবিধা অসুবিধা জানলেন। এত কিছুর পরও অসাধারণ অসাধারণ ফিচারগুলোর জন্যে নিঃসন্দেহে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যার।
Leave a Reply