আপনি যখন ফেসবুকে বসে লাইক সংখ্যা গণনা করছেন, তখন অন্য কেউ হয়তো ফেসবুক পেজ থেকে আয় করে নিচ্ছে হাজার হাজার ডলার। আমাদের অনেকের কাছে ফেসবুক কেবল নতুন ব্যক্তিদের সাথে পরিচয়, বন্ধুত্ব কিংবা আত্মীয়-স্বজনের সাথে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করার মাধ্যম। কিন্তু এমন অনেকেই যারা ফেসবুক পেজকে কাজে লাগিয়ে আয় করছেন, ব্যবসা প্রসার করছেন।
তবে, আমি বিশ্বাস করি ফেসবুক থেকে যে আয় করা যায়, সেটা আপনি জানেন। যেটা হয়তো জানেন না, সেটা হচ্ছে আয় করার উপায়গুলো। আপনাকে সেই উপায়গুলো জানানোর জন্যেই আমার আজকের লেখা যা আপনাকে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার পথ দেখাবে।
ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার সেরা ৭টি উপায়
শখের বশে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে মজা করার জন্যে হয়তো আপনি কোন একটি পেজ খুলেছেন। আর অবাক হয়ে দেখছেন, আপনার ক্রিয়েট করা পেজে দিন দিনই লাইক বাড়ছে, যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফেসবুক ইউজার। কিন্তু ফেসবুকে এই মজা এবং আনন্দ করা ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজ করা যায়। বিশেষ করে, একটা ফেসবুক পেজকে ইফেক্টিভলি কাজে লাগিয়ে আপনি অবশ্যই নানাভাবে লাভবান হতে পারেন।
- আরো পড়ুন: ফেসবুক থেকে আয় করার সেরা ১০ উপায়
নিজের ব্যবসার প্রচার প্রসার ছাড়াও এই ফেসবুক পেজ হতে পারে আপনার অর্থ আয়ের একটি বড় মাধ্যম। ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জণ করার অনেক উপায় আছে। তবে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কিভাবে অর্থ উপার্জণ করা যায়, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই লেখা থেকে। তার আগে প্রথমেই জেনে নিন ফেসবুক পেজ তৈরি করবেন কিভাবে।
ফেসবুক পেজ তৈরি ও লাইক বাড়াবেন যেভাবে
প্রথমে আপনার নিজস্ব ফেসবুক আউডি থেকে এই লিংকে ক্লিক করুন। এরপর Business or Brand এবং Community or Public Figure নামে ২টি অপশন পাবেন। এখন আপনি যদি ব্যবসায়ের জন্য পেজ খুলতে চান, তাহলে প্রথমটাতে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে আপনার পছন্দমত নাম দিয়ে পেজ খুলে নিন।
এবার আপনার পেজটাকে সাজানোর পালা। পেজটি যেই টপিকের উপর, ঐ টপিক রিলেটেড ছবি প্রোফাইলে ও কভার ফটোতে যোগ করুন।
লাইকের জন্য আপনার পেজে বন্ধুদের ইনভাইট করুন। অনান্য পেজ বা গ্রুপে পেজটি শেয়ার করুন। নিয়মিত ভাল ভাল পোস্ট করুন।
আর এখন ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার সেরা ৭টি উপায় জেনে নিন।
১. ফেসবুক পেজে লিংক শেয়ার করে আয়
অনেক সময় আপনারা খেয়াল করবেন, কোন ফাইল ডাউনলোড করার সময় কিছু ওয়েবসাইট আছে, যারা ১০ বা ৫ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন দেখায় এবং বিজ্ঞাপন দেখার পর ফাইল ডাউনলোড করা যায়। আসলে এর দ্বারা আপনার ৫-১০ সেকেন্ড নষ্ট হলেও ওয়েবসাইটের মালিক কিন্তু এই ফাঁকে কিছু টাকা ইনকাম করে নেয়। এই কাজটাকে লিংক শর্ট করা বলা হয়। লিংক শর্ট করে ভাল টাকা আয় করা যায়। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় কয়েকটি লিংক শর্ট করে আয় করার ওয়েবসাইট হল:
আমি বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট AdF.ly সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিচ্ছি:
- অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম অন্যান্য সব ওয়েবসাইটের মতই, আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন।
- মানুষ তো আর অযথা আপনার লিংকে ক্লিক করবে না। তাই আপনি গুগল ড্রাইভ বা অন্যান্য যে কোন ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজগুলোতে কোন সফটওয়্যার, বই অথবা মানুষের প্রয়োজনীয় যে কোনো কিছু স্টোর করে সেই লিংকটাকে AdF.ly এ গিয়ে শর্ট করে নিবেন।
- শর্ট করা লিংকটি আপনার ফেসবুক পেজে শেয়ার করুন। সরাসরি লিংক শেয়ার করবেন না, এই লিংকে ক্লিক করে কি পাওয়া যাবে এটা উল্লেখ করে বিস্তারিত বলে দিন।
- মনে রাখবেন শুধু লিংক শেয়ার করলেই আপনি অর্থ পাবেন না, অবশ্যই লিংকে ক্লিক করতে হবে। ১,০০০ ক্লিক হলে আপনি মাসে পাবেন প্রায় ১৫ ডলার। এরকম আপনি যত লিংক তৈরি করে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারবেন, আয় ততবেশী হবে। ১০টি লিংকে যদি ১,০০০ করে ক্লিক হয়, তাহলে মাসে পাচ্ছেন প্রায় ১৫০ ডলার বা ১২ হাজার ৪৫০ টাকা।
২. ফেসবুক পেজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য লোকেদের পণ্য বা সেবার প্রচারের মাধ্যমে নিজের অর্থ উপার্জনের প্রক্রিয়া। অন্য মানুষের পণ্য বিক্রি করে প্রতিটি পণ্যের বিনিময় কমিশন নেয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে আখ্যায়িত করা হয়। মূলত ওয়েবসাইট বা ব্লগ খুলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়। তবে ফেসবুক পেজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও অর্থ উপার্জণ করা যায়।
- আরো পড়ুন: এফিলিয়েট মার্কেটিং – সাফল্যের চাবিকাঠি
এই পদ্ধতিটি নিজের পণ্য বিক্রির মতোই কাজ করে। এখানে শুধুমাত্র আপনার পণ্যগুলোর লিংক যুক্ত করার পরিবর্তে, যেখানে আপনি রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে হবে।
প্রায় সকল ই-কমার্স ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুবিধা প্রদান করে। এদের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল-
প্রথমত আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট থেকে আপনার ফেসবুক পেজটি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিন। তারপর আপনার ফ্যানদের জন্য পছন্দ মত প্রাসঙ্গিক পণ্য বাছাই করে নিন।
আপনার ফেসবুক পেজ থেকে অ্যাফিলিয়েট লিংকটি শেয়ার করুন। যখন কেউ লিংকে ক্লিক করে কোন একটি পণ্য ক্রয় করবে, তখন আপনি প্রতিটি পণ্য বিক্রয়ের বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। আপনার পণ্যের লিংক থেকে যত বেশি পণ্য ক্রয় করা হবে, আপনার কমিশনও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে বেশি বেশি ইনকাম করার কার্যকরী কিছু টিপস-
- নিশ্চিত হন, আপনি যে অ্যাফিলিয়েট পণ্যগুলো নির্বাচন করেছেন, তার প্রতি আপনার ফেসবুক ফ্যানদের আগ্রহ আছে কিনা এবং আপনার পেজের মূল থিমের সাথে সম্পর্কিত কিনা। যেমন ধরুন, আপনি Women Fashion নামে ফেসবুক পেজ খুলেছেন কিন্তু ছেলেদের ফ্যাশন বিষয়ক বিভিন্ন পণ্যের লিংক শেয়ার দিচ্ছেন। ফলে স্বভাবতই আপনি কাঙ্ক্ষিত পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন না।
- সরাসরি অ্যাফিলিয়েট সাইট থেকে পাওয়া লিংক শেয়ার করবেন না। সংক্ষিপ্ত কিন্তু আকর্ষণীয় বিবরণ এবং সাথে একটি আকর্ষণীয় ছবিসহ লিংক শেয়ার করবেন।
- সবসময় আপনার পেজের কমেন্ট বক্সটিতে খেয়াল রাখুন। দেখুন ফ্যানরা পণ্য সম্পর্কে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়। আপনার শেয়ার করা পণ্যের প্রতি ফ্যানরা যদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানায় এবং তারা কি ধরনের পণ্য পছন্দ করে এ ধরনের মন্তব্য করে, তাহলে তাদের পছন্দমত পণ্য বাছাই করার চেষ্টা করুন। ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ১ হাজার সক্রিয় ফ্যান বা লাইক থাকলে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা উচিৎ।
৩. ফেসবুক পেজে এফ-কমার্সের মাধ্যমে আয়
নিশ্চই চিন্তু করছেন ’এফ-কমার্স’ এইটা আবার কি জিনিস? চিন্তার কিছু নেই, এটাও ই-কমার্সের মতো। সোশ্যাল মার্কেটিং এর একটি অংশ হলো এফ-কমার্স। মূলত ফেসবুকের মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয় তাকে এফ-কমার্স বলে। মজার ব্যাপার হলো ই-কমার্সের ক্ষেত্রে আপনাকে একটি খুব ভালো মানের ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটের প্রচারের জন্য অনেক বেশি বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু এফ-কমার্স এর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো ঝামেলা নেই। অনেকে ই-কমার্সের মতন ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক বেশি ব্যয়ের কারণে করতে পারে না। তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে এফ-কমার্স।
ফেসবুকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছে যার মধ্যে বাংলাদেশে আছে আড়াই কোটি। তাই ক্রেতা নিয়ে আপনাকে খুব বেশী চিন্তা করতে হবে না। মানসম্মত এবং ক্রেতার চাহিদা মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারলে খুব সহজেই আপনি এফ-কমার্স এর মাধ্যেমে লাভবান হতে পারবেন।
এফ-কমার্সের কিছু টিপস:
- প্রথমত টার্গেট নির্দিষ্ট করে করুন অর্থাৎ আপনি কি ধরণের পণ্য বিক্রয় করবেন এবং কাদের জন্য পণ্য বিক্রয় করবেন।
- মানসম্মত এবং ব্যতিক্রমধর্মী পণ্য পছন্দের তালিকায় রাখুন।তবে বাজারে কি ধরনের পণ্যের চাহিদা আছে সেদিকে খেয়াল রেখে, শুরুতে যেকোনো একটি পণ্য দিয়ে শুরু করুন।
- ফেসবুক যেহেতু অনেক মানুষের যোগাযোগের একটি বড় মাধ্যম এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই আপনি চাইলে আপনার হাতে বানানো বিভিন্ন হস্তশিল্প বা কুটির শিল্পের পণ্য গুলো খুব সহজে বিক্রি করতে পারেন। হস্তশিল্প গুলো ফেসবুকে শেয়ার করার দ্বারা ক্রেতা ঘরে বসে সরাসরি পণ্য গুলো দেখতে পারে এবং তার পছন্দমত ক্রয় করতে পারে।
- সেই সাথে আস্তে আস্তে পেজের লাইক বাড়াতে চেষ্টা করুন। লাইক বাড়ানোর জন্য ভিন্নধর্মী প্রয়োজনীয় কিছু পোস্ট দিতে পারেন। আপনার যদি গৃহস্থালী সামগ্রী নিয়ে ফেসবুক পেজটি হয়ে থাকে, তাহলে আপনি চাইলে গৃহস্থালী সামগ্রীর টুকিটাকি টিপস নিয়ে পোস্ট দিতে পারেন।
- সর্বোপরি আপনার ফেসবুক পেজটি সব জায়গাতে শেয়ার করার চেষ্টা করুন।
৪. ফেসবুক পেজে ফাইভারের গিগ বিক্রি করে আয়
যারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন, তারা নিশ্চয়ই ফাইভারের নাম শুনেছেন। ফাইভারে আপনার গিগের প্রচার করতে হলে, অবশ্যই ফেসবুক হচ্ছে সর্বোত্তম মাধ্যম। তাই আপনি চাইলে আপনার ফাইভারের গিগগুলো আপনার ফেসবুক পেজে শেয়ার করতে পারেন।
৫. ফেসবুক পেজে নিজের ব্লগের প্রচার করে আয়
আপনার ব্লগে যদি গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন পেতে চান তাহলে আপনার ব্লগে অনেক বেশি ভিজিটর থাকতে হবে। আর অনেক বেশি ভিজিটর আনার সবচাইতে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক পেজে আপনার ব্লগে লেখা প্রতিটি পোস্ট শেয়ার করে খুব সহজে ভিজিটর আনতে পারবেন। নিয়মিত আপনার ব্লগ ফেসবুকে প্রচারের দ্বারা আপনার ব্লগ সব সময় সক্রিয় থাকবে।
৬. ফেসবুক পেজ বিক্রি করে আয়
প্রথমত আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। সেই সাথে আপনার ফেসবুক পেজের লাইক সংখ্যা বাড়াতে হবে। লাইক বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনার পেজে ভালো মানের পোস্ট করতে হবে। আপনার পেজে যদি লাইক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তখন আপনি চাইলে আপনার পেজটি অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। অনলাইনে বিক্রয়ের সুবিধা দেয় এমন দুটি ওয়েব সাইট হল:
কোন সন্দেহ নেই আপনি ফেসবুক পেজ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি ধৈর্য এবং শ্রম দিতে হবে।
৭. স্পনসর্ড কন্টেন্ট শেয়ার করে আয়
মাঝে মাঝে ভিডিও বিজ্ঞাপন কিংবা গ্রাফিকাল বিজ্ঞাপনের থেকে লিখিত বিজ্ঞাপন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের সেবা বা পণ্য সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট করলে অর্থ প্রদান করে। নতুন নতুন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের ওয়েবসাইট প্রচারের জন্য ফেসবুকে পোস্ট করলে অর্থ প্রদান করে। এছাড়া আপনি তাদের পণ্যের রিভিউ লিখে আয় করতে পারবেন।
তবে আন্তর্জাতিক কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা স্পনসর্ড কন্টেন্টের জন্য অর্থ প্রদান করে। এক্ষেত্রে নিচের দুটি সাইট ব্যবহার করতে পারেন:
শেষ কথা
ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার এই ৭টি উপায় ছাড়াও আয় করার আরও অনেক উপায় আছে। বিশেষ করে ব্লগার এবং ইন্টারনেট মার্কেটারদের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি আয় করার অনেক সুযোগ আছে। আমি উপরে কিছু উপায় তুলে ধরেছি, আপাতত: এগুলো দিয়েই শুরু করতে পারেন।
Zahangir says
আমি ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে চাই, আপনারা ক্যাশ পেমেন্ট করেন কিভাবে?
টি আই অন্তর says
প্রশ্ন করার জন্যে ধন্যবাদ, জাহাঙ্গীর ভাই। কিন্তু আপনার প্রশ্নটি ঠিক বোঝা গেল না। আমরা কেন ক্যাশ পেমেন্ট করতে যাবো? আমাদের লেখক তো শুধু ফেসবুকে থাকা আপনার পেজ থেকে আয় করার উপায় নিয়ে কথা বলেছেন। কারো একটি ফেসবুক পেজ থাকলে কিংবা না থাকলে নতুন একটি পেজ খুলে নিয়ে কিভাবে সে পেজ থেকে আয় করা যায়, সেসব নিয়েই এই লেখা। দয়া করে লেখাটি আরেকবার পড়ুন এবং ভাল করে বুঝে নিয়ে ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করুন।
Bulu says
পেমেন্ট কিভাবে দেয় ভাই, কার কাছ থেকে কিভাবে পাবো?
টি আই অন্তর says
পেমেন্ট নির্ভর করছে আপনি কার সঙ্গে কাজ করছেন, কিভাবে করছেন। যেমন, আপনার কাজ যদি হয় সরাসরি ফেসবুকের সঙ্গে, তখন এক রকম। যদি আপনি ফেসবুক পেজ দিয়ে অন্যদের প্রোডাক্ট সেল করেন, তবে পেমেন্ট তাদের কাছ থেকে যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন। সেক্ষেত্রে, তাদের পেমেন্ট সিস্টেমই আপনাকে ফলো করতে হবে। যদি ফেসবুক পেজ বিক্রি করেন, তবে পেমেন্ট নেবেন যাদের মাধ্যমে বিক্রি করবেন তাদের কাছ থেকে। যেমন, Fanpagecash কিংবা Fameswap। যদি ফেসবুকে পেজে নিজের ব্লগ প্রচার করেন এবং গুগল অ্যাডসেন্স ইউজ করেন, তবে পেমেন্ট নেবেন গুগলের কাছ থেকে। যদি ফাইভারের গিগ প্রচার করেন আপনার ফেসবুক পেজে, তবে আয় আসবে ফাইভার থেকে এবং পেমেন্টও নেবেন তাদের কাছ থেকে।
Ashadul says
ভাই আমার Redmi Note 7 phone, আমার ফোনে adfly link short করে অন্য কোথাও দিতে পারছি না। কোনো যায়গাতেই সেন্ট হচ্ছে না ওই link।
ওমর ফারুক says
অনেক সময় Adfly link স্পাম হিসাবে ধরা হয় তাই সেন্ড হয় না।
arafat says
Good post about the ways of earnings from one’s Facebook page. If anyone can apply these ways correctly, he/she will surely be able to earn money from the most popular social media, Facebook.
Taher says
খুব সুন্দর লেখা। একটা বিষয়ে জানার জন্য প্রশ্ন করলাম, সরাসরি ফেসবুক পেজ থেকে পেমেন্টের সিস্টেম কী ভাবে। কীভাবে টাকা উত্তোলন করা যায়?
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, তাহের। আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে ফেসবুক মনেটাইজেশন পেজ ভিজিট করুন।
আ হাকিম says
ফেসবুক পেজ খুলে সেখান থেকে আয় করার উপায় নিয়ে এই লেখাটি খুব ভাল লেগেছে। যদি ওয়ার্ডপ্রেস ও ব্লগ এর ব্যাপারে জানাতেন তো খুব ভাল হতো।