আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক মানুষ আছেন যারা ঘরে বসেই প্রতিমাসে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। এভাবে আয়ের প্রধান উৎস হলো অনলাইনে আয় করা। অনলাইনে আয়ের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। তেমনি একটি জনপ্রিয় ক্ষেত্র হলো ফাইভার। এই টিউটোরিয়াল থেকে শিখে নিন কিভাবে ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলবেন। তার আগে এক নজরে জেনে নিতে পারেন ফাইভারে আপনার জন্য কি কি কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা কিভাবে ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। অনেকে হয়তো অ্যাকাউন্ট খোলার ভয়ে অনলাইনে কাজ শুরুই করতে পারি না। ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খোলা মোটেও কঠিন কোনো কাজ নয়। আমরা অনলাইনে অনেক জায়গায় অ্যাকাউন্ট খুলে থাকি। তেমনি ফাইভারেও খুব সহজে কম সময়ে আমরা একটি অ্যাকাউন্ট তৈরী করে নিতে পারি। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনিও আপনার নিজের জন্য ফাইভারে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে আজ থেকেই টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।
ফাইভারে একাউন্ট খুলবেন যেভাবে
প্রথমে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কোনো একটা ব্রাউজার ওপেন করে অ্যাড্রেস বারে www.fiverr.com লিখে এন্টার চেপে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। ফাইভারের ওয়েবসাইটে গেলে আপনি নিচের চিত্রের মতো করে হোমপেজটি দেখতে পাবেন।
হোমপেইজের মধ্যে উপরে কর্ণারে একটি বক্সে “Join” লিখা বাটনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর নিচের ছবির মতো করে একটি পেইজ আসবে।
আপনার কাজের সুবিধার জন্য ব্রাউজারে নতুন আরেকটি ট্যাব ওপেন করে সেটাতে আপনার ব্যবহৃত ইমেইল অ্যাকাউন্টটি ওপেন করে রাখুন। আবার ফাইভারের পেইজটিতে ফিরে আসুন। এখানে আপনাকে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস লিখতে বলা হয়েছে। আপনার সক্রিয় ইমেইল অ্যাড্রেসটি লিখে “Continue” বাটনে ক্লিক করুন। এখন নিচের ছবির মতো একটি পেইজ আপনার সামনে আসবে।
এখানে প্রথম বক্সে আপনাকে একটি ইউজার নেম পছন্দ করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ আপনাকে এমন একটি ইউজার নেম এখানে ব্যবহার করতে হবে যা এখানে আগে কেউ ব্যবহার করেনি। সহজ ভাবে বলতে গেলে ইউজার নেমটি ইউনিক হতে হবে। পরবর্তি বক্সে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড পছন্দ করতে বলা হয়েছে। এখানে কয়েকটা শর্ত দেয়া আছে। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই আটটি ক্যারেকটার বা এর বেশি হতে হবে এবং পাসওয়ার্ডে অবশ্যই বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষরসহ নাম্বারও ব্যবহার করতে হবে। তবেই এটি গ্রহণযোগ্য হবে।
ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দেয়া শেষ হলে “Join” বাটনে ক্লিক করুন। এখন ফাইভারে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করার জন্য আপনার কাছে একটি ই-মেল আসবে। আপনার ই-মেল অ্যাড্রেসে প্রবেশ করলে নিচের চিত্রের মতো করে একটি ইমেইল আপনি দেখতে পাবেন।
এই ই-মেলে যেখানে লিখা আছে “Active Your Account” সেখানে ক্লিক করে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্টিভ করুন। অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ হওয়ার পর নিচের ছবির মতো একটি পেইজ আসবে। যেখানে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ হয়েছে বলে একটি মেসেজ দেয়া থাকবে।
এখন আপনি ফাইভারের একজন সদস্য হয়ে গেলেন। কিন্তু আপনার কাজ এখানেই শেষ না। আপনাকে এখন নিজের প্রোফাইল আপডেট করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার সম্পর্কে সব সঠিক তথ্য দিবেন। কারণ, কোনো রকম ভুয়া তথ্য দিলে প্রাথমিকভাবে হয়তো কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু পরবর্তিতে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে।
তাই সাবধানতা বজায় রাখার জন্য আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদ অনুযায়ী আপনার প্রোফাইল আপডেট করতে পারেন। প্রোফাইল আপডেট করতে ড্যাশবোর্ড অপশনে যান। সেখানে যাওয়ার পর নিচের চিত্রের মতো করে একটি পেইজ আসবে।
এখানে বলেছে আপনার প্রোফাইলটি এখনো সম্পূর্ণ নয়। তাই এখানে ক্লিক করে আপনার প্রোফাইল আপডেট করতে বলা হয়েছে। ক্লিক করার পর, আপনি দেখবেন যে নিচের ছবির মতো একটি পেইজ আপনার সামনে আসবে।
দেখুন এখানে আপনাকে প্রথমেই আপনার ছবি আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিজের ছবি আপলোড করুন। অনেকেই ভাবছেন নিজের ছবি না দিয়ে অন্য কোনো ছবি দিলেও তো সমস্যা নেই। কিন্তু না, সমস্যা আছে!!!
হয়তো আপনি অন্য কোনো ছবি আপলোড করতে পারবেন। কিন্তু আপনি নিজেই একবার ভেবে দেখুন আপনি যদি কাউকে কাজ দিতে চান আর তার প্রোফাইলে যদি নিজের ছবিই দেয়া না থাকে তাহলে আপনার কি তার উপর ভরসা হবে? আপনি তো তাকে ফেইক ভাবতে পারেন।
তাই বলছি নিজের ছবিই আপলোড করুন, এতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। তারপর লেখা আছে “What’s your story in one line?”। এখানে আপনাকে নিজের সম্পর্কে এক লাইন লিখতে বলা হয়েছে। এখানে কখনোই আপনার নাম, ঠিকানা, বাবার নাম এসব লিখতে যাবেন না। কারণ আপনার সম্পর্কে এসব জানার কোনো প্রয়োজন নেই তাদের।
তাহলে এখানে কি লিখবেন? এখানে আপনি লিখবেন আপনি কি ধরনের কাজ জানেন এবং আপনি কি কি সেবা প্রদান করতে চান। আর অবশ্যই আপনি যে-সব কাজ জানেন তার একটি করে আউটপুট আপলোড করতে পারবেন যা আপনার প্রোফাইলে দেখাবে সবসময়। এর ফলে যারা আপনাকে কাজ দিবে তারাও আপনার কাজ সম্পর্কে আগে থেকেই একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
এখন ডানে দেখুন লিখা আছে “Create a New Gig”। এটা দেখে ভয় পাবার কিছু নেই, গিগ কিভাবে তৈরী করবেন তা এখানে ক্লিক করার পর একটা ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে আপনাকে শিখিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া এখানে আপনার ইংরেজী ভাষার উপর দক্ষতা তারা জানতে চেয়েছে। আপনার পড়াশুনা, কোন কাজে আপনি পারদর্শী, কোনো সার্টিফিকেট আছে কিনা এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছে। এখানে আপনি চাইলে আপনার “Facebook, Google, Dribbble, Stack Overflow, Linkedin” এ-সব অ্যাকাউন্ট কানেক্ট করতে পারেন।
উপরের সবগুলো কাজ করে থাকলে আপনার অ্যাকাউন্ট এখন সম্পূর্ণ। আপনি এখন থেকেই কাজ শুরু করতে পারেন। কাজ শুরু করার জন্য আপনার ফাইভার অ্যাকাউন্টটিতে প্রবেশ করুন। এখানে একটি অপশন আছে “Buying ”। এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী অনেক কাজ খুঁজে পাবেন।
অনলাইনে আয় করার যত ক্ষেত্র আছে, ফাইভার হলো অন্য সবগুলোর থেকে সহজবোধ্য। এখানে কোনো ঝামেলা ছাড়াই অ্যাকাউন্ট খোলা যায় আর অনেক কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যারা এই পেশায় নতুন তাদের জন্য ফাইভার অন্যতম। এছাড়াও আপনি আপনার স্মার্টফোনে ফাইভারের অ্যাপ ডাউনলোড করে সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে আপনি ফাইভারে কাজ করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আতিকুর রহমান says
ফাইভারে কাজ করতে হলে পারফেক্ট হতে হবে।
nabinnowermimi says
As a Bangladeshi, my language is Bangla which I can talk and write with. As I practiced a lot, I can also write creative songs in English.
জেসিকা জেসমিন says
Waoo, it’s a great skill you have as a Bangladeshi. But, your comment is not creative as it is duplicate that is used several times on the web. So, we have deleted it.
রাজু says
মোঃ রাজু ইসলাম কি ভাবে করতে পারি?