পুরনো দিনের কম্পিউটার গেম এখনো অনেকের কাছেই অন্যরকম আকর্ষণের কারণ। আজ থেকে কিছুকাল আগে, বিশেষ করে ডেস্কটপের যুগে, যখন না ছিল ল্যাপটপ আর না ছিল স্মার্টফোন, আমার মতো অনেকেই তখন বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে পেয়েছিলেন কম্পিউটার গেম।
সত্যিকার অর্থে, সেই যুগটাতে আনন্দ উপভোগের জন্যে কম্পিউটার গেমের চেয়ে আকর্ষণীয় আর কিছুই ছিল না। কম্পিউটার গেমস তরুণ প্রজন্মের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল সেই সময়। যার ঘরে একটা কম্পিউটার ছিল আর সেই কম্পিউটারে নানা রকম গেম ছিল, তার ছিল একটা স্বপ্নের জগত। আর সে জগতে সে ছিল রাজকুমার।
ডেস্কটপ হোক আর ল্যাপটপ হোক, বর্তমানে প্রায় সবার ঘরেই কম্পিউটার রয়েছে এবং সবাই গেম খেলে থাকেন। এমন দুই একজন হয়তো থাকতে পারে যারা গেম খেলেন না কিংবা গেম খেলা পছন্দ করেন না। আপনি যদি তাদের মতো একজন হোন এবং গেম খেলাকে সময় নষ্ট করা মনে করেন, তবে জেনে নিন যে ৫ কারণে আপনার অবশ্যই গেম খেলা উচিৎ। আশা করি, লেখাটি পড়ে গেম খেলার প্রতি আপনার বিরক্তি কেটে গিয়েছে।
যাইহোক, আপনাকে গেম খেলায় উৎসাহিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে গেমারদের পুরনো কিছু গেমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এখনকার সময়ে প্রত্যেকের কম্পিউটারেই রয়েছে একালের অনেক আকর্ষণীয় গেম। কিন্তু সেকালের গেমগুলো কেমন ছিল তা কি জানে একালের গেমাররা!
সেকালে যারা গেম খেলেছেন, তারাই কেবল জানেন সেই গেমগুলোর প্রতি কি গভীর অনুরাগ ছিল তাদের! একালে যত আকর্ষণীয় আর মডার্ন গেমই আসুক না কেন, তাদেরকে তো পুরনো দিনের গেমগুলোই টানবে বেশি! কারণ, সমস্ত ক্লাসিক জিনিসই কালে কালে উঠে আসে নতুন প্রজন্মের কাছে, নতুন রূপে, নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে।
যাইহোক, আপনি পুরনো দিনের গেমার হোন আর হোন নতুন দিনের গেমার, পুরনো কিংবা নতুন অভিজ্ঞতায় নিজেকে সিক্ত করতে খেলতে পারেন আগের গেমগুলো।
পুরনো দিনের কম্পিউটার গেম
আসুন পুরনো দিনের বেশ কিছু কম্পিউটার গেমের সাথে পরিচিত হই। আপনি যদি পুরনো গেমার হোন, তবে ধরে নিতে পারি যে এখানকার বেশিরভাগ গেমের সাথেই আপনার পরিচয় রয়েছে। আর যদি আপনি হয়ে থাকেন এ যুগের গেমার, তবে পুরনো দিনের এই গেমগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে আপনি অবশ্যই খুশি হবেন।
যাইহোক, আপনি নতুন সময়ের গেমার হোন আর পুরনো যুগের গেমার হোন, জেনে নিন নতুন কম্পিউটারে কিভাবে পুরনো পিসি গেম ইনস্টল করবেন। এটা হয়তো আপনার খুব একটা কাজে লাগবে না যদি আপনি প্রক্রিয়াটি আগে থেকেই জানেন। কিন্তু নিচে যে গেমগুলো সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, সেগুলো আপনার অবশ্যই কাজে লাগবে। কাজেই, গেমগুলো একবার দেখে নিন আর পছন্দ হলে ডাউনলোড করে নিন।
১. Minesweeper
- রিলিজ ডেট: ১৯৬০
- গেমের ধরণ: পাজল গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: বিভিন্ন
- নির্মাতা: মাইক্রোসফট্
নব্বইয়ের দশকে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন, তারা জানেন Minesweeper কতটা জনপ্রিয় গেম ছিল। সে সময় উইন্ডোজ প্যাকেজের সাথে Minesweeper গেমটি ইনক্লুড করা থাকতো। এটি ছিল একটি সিঙ্গেল প্লেয়ার পাজল টাইপের ভিডিও গেম।
Minesweeper গেমের মূল কনসেপ্ট হচ্ছে, একটি আয়তক্ষেত্র আকারের বোর্ডকে ক্লিয়ার করা যার ভেতরে মাইন ও বোম লুকানো আছে। তবে, কোনভাবেই বোম বা মাইন যেন বার্স্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২. Robocop
- রিলিজ ডেট: ১৯৮৮
- গেমের ধরণ: আর্কেড ভিডিও গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ, ম্যাক, ডস
- নির্মাতা: ওশান সফট্ওয়্যার
পুরনো দিনে যাদের কম্পিউটার ছিল, তাদের মাঝে রোবোকপ খেলেননি এমন মানুষ আছে বলে আমার মনে হয় না। রোবোকপ একটি ফাস্ট পার্সন শ্যুটার গেম যা মূল থিম নেয়া হয়েছে রোবোকপ মুভি থেকে। ফ্রান্সের বিখ্যাত টেকনোলোজি কোম্পানী Titus Interactive এই গেমটি ডেভেলপ করে। ২০০৩ সালে মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ, প্লে স্টেশন টু এবং এক্সবক্সের জন্যে এই গেমটি রিলিজ দেয়া হয়।
আপনি যদি ২০০৩ সালে কিংবা তার কিছুকাল পরে এই গেমটি খেলে থাকেন আর এখন নাম শুনেই আপনার সব অ্যাকশন দৃশ্য মনে পড়ে যেতে থাকে, তবে আজই আবার ডাউনলোড করে নিন। আর খেলতে থাকুন, হারিয়ে যেতে পুরনো অ্যাডভেঞ্চার জগতে।
৩. Doom/Doom 2/Ultimate Doom
- রিলিজ ডেট: ১৯৯৩
- গেমের ধরণ: ফার্স্ট পার্সন শ্যুটার গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: কম্পিউটার
- নির্মাতা: আইডি সফট্ওয়্যার
আপনি যদি নব্বই দশকের এই গেমটি খেলে থাকেন, তবে নিশ্চয়ই আপনার “ডুমগাই” হওয়ার কথা মনে আছে। মনে আছে নিজেকে একজন স্পেস মেরিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং জাহান্নাম থেকে আগত দানবদের সাথে ফাইট করে টিকে থাকা এবং নিজের গ্রহটিকে টিকিয়ে রাখার কথা।
অসাধারণ একটি ফার্স্ট পার্সন শ্যুটার গেম এটি যার তিনটি এপিসোড রয়েছে এবং কোনটিকেই কোনটি থেকে আলাদা করে দেখার উপায় নেই। যার কারণে, শিরোনামে আমরা তিনটিরই নাম রেখেছি। প্রথম এপিসোড রিলিজের প্রথম বছরেই এর প্লেয়ার ছিল ২০ মিলিয়ন। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন পরবর্তী এপিসোডগুলো কতটা জনপ্রিয় ছিল।
৪. X-Com: UFO Defense
- রিলিজ ডেট: ১৯৯৪
- গেমের ধরণ: সায়েন্স ফিকশন ভিডিও গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: কম্পিউটার
- নির্মাতা: মাইক্রোপ্রোস
যদিও এটি একটি সায়েন্স ফিকশন ভিডিও গেম, তবু এটিকে অনেকেই স্ট্র্যাটেজি গেমের তালিকায় ফেলতেই পছন্দ করেন। কারণ, এ যাবৎ যত স্ট্র্যাটেজি গেম রিলিজ হয়েছে, তার মাঝে এটিকেই ইনোভেটিভ এবং পুরনো দিনের কম্পিউটার গেম হিসেবে অন্যতম সেরা ধরা হয়।
এলিয়েনদের আক্রমণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করাই এই গেমের মূল লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ বাস্তবায়ন করার জন্যে অর্থাৎ পৃথিবীকে এলিয়েন মুক্ত করার জন্যে আপনাকে কিছু স্ট্র্যাটেজি সাজাতে হবে। যেমন, গোপনীয় এক্স-সিওএম গ্রুপ তৈরি ও পরিচালনা, বহির্মুখী এলিয়েন হুমকির কার্যকর মোকাবেলা করার জন্য বেস স্থাপন এবং প্রযুক্তি গবেষণা, ইত্যাদি।
৫. Dungeon Keeper
- রিলিজ ডেট: ১৯৯৭
- গেমের ধরণ: স্ট্র্যাটেজি গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ
- নির্মাতা: ইলেকট্রোনিক আর্টস্
Dungeon Keeper হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ডে Dungeon বা লুকায়িত বিল্ডিং নির্মাণ করা যা আপনাকে শত্রু থেকে সুরক্ষা দেবে। শুধু তাই নয়, বিশাল বিশাল দৈত্যের সাথে লড়াই করে আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে। একইভাবে, দৈত্যসহ আপনার সকল শত্রুদের ধরে ধরে আন্ডারগ্রাউন্ডে তৈরি করা বিল্ডিংয়ে বন্দী করে রাখতে হবে।
আপনার এই গুপ্ত রাজ্যে মাঝে মাঝে চোর-ডাকাত হানা দিতে পারে যাদের মূল উদ্দেশ্য আপনার অগাধ ধন-সম্পত্তি লুট করে নিয়ে যাওয়া। আপনাকে আপনার এসব সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে, প্রয়োজনে চোর-ডাকাতকে মেরে ফেলতে হবে কিংবা বন্দী করে রাখতে হবে।
৬. OddWorld: Abe’s Oddysee
- রিলিজ ডেট: ১৯৯৮
- গেমের ধরণ: প্লাটফর্ম ভিডিও গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: কম্পিউটার
- নির্মাতা: অডওয়ার্ল্ড ইনহ্যাবিট্যান্সটস্
এটি একটি টু-ডি প্লাটফর্ম ভিডিও গেম যা মেইনলি কম্পিউটারের জন্যেই তৈরি করা হয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে এটি মোবাইল র্ভাসণ নিয়েও বাজারে আসে এবং জনপ্রিয়তা পায়। গেমিং জগতে যে কয়টি গল্প নির্ভর টু-ডি মোবাইল গেম রয়েছে, এটি তার মাঝে অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
OddWorld: Abe’s Oddysee এমন একটি গেম যেখানে প্লেয়ার হিসেবে আপনাকে প্রতি মুহূর্তেই কোনও না কোন বিপদের মধ্যে থাকতে হবে। সত্যি বলতে, সবকিছুই যেন আপনাকে মেরে ফেলতে চাইছে। যেমন, লম্বা জল-প্রপাত, হঠাৎ শত্রুর আক্রমণ, দূর্গম বাধা, অজানা জায়গা থেকে গ্রেনেড হামলা, ইত্যাদি। আপনাকে এ সবকিছুর মোকাবেলা করেই টিকে থাকতে হবে।
৭. Fallout 2
- রিলিজ ডেট: ১৯৯৮
- গেমের ধরণ: টার্ন বেজড্ গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: ম্যাক ও মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ
- নির্মাতা: ইন্টারপ্লে প্রোডাকশন
Fallout একটি সিরিজ গেম যার মাঝে Fallout 2 পুরনো দিনের কম্পিউটার গেম হিসেবে বেশি জনপ্রিয়। এটি একটি পোস্ট নিউক্লিয়ার রোল প্লেয়িং গেম। আবার, এটিকে টার্ন বেইজড্ রোল প্লিয়িং ওপেন ওয়ার্ল্ড ভিডিও গেম হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।
গল্প নির্ভর এই গেমটি তখনকার সময়ের সেরা গ্রাফিক্সের সমন্বয়ে তৈরি। গার্ডেন অব ইডেন ক্রিয়েশন কিট নামের একটি এনভায়রনমেন্টাল রিস্টোরেশন মেশিন খুঁজে বের করার মিশন নিয়ে তৈরি এই গেমটি এখনকার গেমারদেরও মনোযোগ কাড়তে সক্ষম।
৮. The Longest Journey
- রিলিজ ডেট: ১৯৯৯
- গেমের ধরণ: অ্যাডভেঞ্চার ভিডিও গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ
- নির্মাতা: স্টুডিও ফানকম
The Longest Journey একটি পয়েন্ট এন্ড ক্লিক টাইপের অ্যাডভেঞ্চার ভিডিও গেম যা পুরনো দিনের গেমারদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
এই গেমের প্লেয়ার হিসেবে আপনার নাম হবে এফ্রিল যে কিনা ১৮ বছর বয়সী একজন শিক্ষার্থী আর যার কাজ হচ্ছে রহস্যময় শক্তি পুনরুদ্ধার করা।
৯. Heroes of Might and Magic III
- রিলিজ ডেট: ১৯৯৯
- গেমের ধরণ: টার্ন বেজড্ স্ট্র্যাটেজি গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ ও ম্যাক
- নির্মাতা: নিউ ওয়ার্ল্ড কম্পিউটিং
বুঝতেই পারছেন, Heroes of Might and Magic III এর আগে আরো দুইটা সিরিজ গিয়েছে। তবে, এই তিন নাম্বার সিরিজটিই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। নানা রকম কম্পিউটিং এবং কনসোল সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরি করা এই টার্ন বেজড্ স্ট্র্যাটেজি গেমটি এক সময় গেম লাভারদের মধ্যে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল।
Heroes of Might and Magic III এর প্লেয়াররাই এর হিরো যাদের রয়েছে যাদুকরী শক্তি যা দিয়ে তারা বিপরীতে থাকা অন্য প্লেয়ারদের সাথে খেলতে পারে। আবার, মানুষ ছাড়াও এই গেমটি খেলা যায় যা খেলতে হবে কম্পিউটারের সাথে। খেলার শুরুতে সাতটি ভিন্ন রকমের ক্যাম্পেইন থেকে যে কোনওটি পছন্দ করে নিতে হয়।
১০. Planescape Torment
- রিলিজ ডেট: ১৯৯৯
- গেমের ধরণ: রোল প্লেয়িং ভিডিও গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ
- নির্মাতা: ইন্টারপ্লে প্রোডাকশন
গল্প নির্ভর এই রোল প্লেয়িং ভিডিও গেমটি খেলেননি এমন গেমার নব্বইয়ের দশকে খুব কমই ছিল। গল্পের নায়ক একজন অমর মানুষ যিনি দ্য নেমলেস ওয়ান নামে পরিচিত। মজার বিষয় হচ্ছে, তাকে যখনই হত্যা করা হয়, কোনও এক সময় সে আবার বেঁচে ওঠে এবং তার আগের কোনও স্মৃতি আর অবশিষ্ট্য থাকে না। অর্থাৎ, হত্যা সম্পর্কিত পূর্বের স্মৃতি সে ভুলে যায়। আর সেই স্মৃতি পূনরোদ্ধার করার জন্যেই তার পরবর্তী যাত্রা শুরু হয় যেখানে তাকে চিন্তা করতে হয় কেন তাকে অমর হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
১১. Diablo
- রিলিজ ডেট: ২০০০
- গেমের ধরণ: অ্যাকশন রোল-প্লেয়িং গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ
- নির্মাতা: ব্লিজার্ড এন্টারটেইনমেন্ট
Half-Life এর মতো Diablo একটি সিরিজ গেম যার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভার্সণ খেলেছেন অনেকেই। প্রথম ভার্সণটি রিলিজ হয় ২০০০ সালে, দ্বিতীয় ভার্সণ ২০০১ সালে এবং তৃতীয় ভার্সণটি রিলিজ দেয়া হয় ২০০৮ সালে। প্রথম ভার্সণের নাম Diablo হলেও, দ্বিতীয় ভার্সণের নাম রাখা হয় Diablo 2: Lord of Destruction আর তৃতীয় ভার্সণের নাম দেয়া হয়েছিল Diablo ৩: Evil is in its Prime।
প্রিডিসেসর্স জেনারের গেম-প্লে নিয়ে ২০০০ সালে বাজারে আসা এই অ্যাকশন রোল-প্লে গেমটি ডেভেলপ করেছে Bizziard North এবং পাবলিশ করেছে Bizzard Entertainment আর উভয় কোম্পানীই অ্যামেরিকার। আর Diablo রিলিজ করা হয়েছে মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ ও ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের জন্যে। পুরনো দিনের কম্পিউটার গেম হিসেবে Half-Life আজও অনেকের কাছে তুমুল জনপ্রিয়।
১২. Deus Ex
- রিলিজ ডেট: ২০০০
- গেমের ধরণ: রোল প্লেয়িং ভিডিও গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: কম্পিউটার
- নির্মাতা: এইডস মন্ট্রিল
Deus Ex একটি রোল প্লেয়িং গেম সিরিজ যা একুশ শতকের সম্ভাব্য পৃথিবীর অবস্থা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই সিরিজের অন্যান্য গেমগুলো হলো ডিউস এক্স: ইনভিজিবল ওয়ার, ডিউস এক্স: ম্যানকাইন্ড ডিভাইডেড, ডিউস এক্স: দ্যা ফল, ডিউস এক্স: হিউম্যান রেভল্যুশন, ডিউস এক্স: গো, ইত্যাদি।
১৩. No One Lives Forever 2: A Spy in H.A.R.M.’s Way
- রিলিজ ডেট: ২০০২
- গেমের ধরণ: ফার্স্ট পারসন শ্যুটার গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ
- নির্মাতা: সিয়েরা এন্টারটেইনমেন্ট
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেয়া স্পাই কেট আর্চার হচ্ছে No One Lives Forever 2: A Spy in H.A.R.M.’s Way এর মূল নায়ক যাকে ঘিরেই আপনাকে এই গেমটি খেলতে হবে।
কেট আর্চারকে গোয়েন্দাগিরি করার জন্যে নিনজা ভিলেজে পাঠানো হয় যা একটি গোপণ সাবমেরিন বেস এবং টর্নেডোর পর গড়ে উঠা একটি ট্রেইলার পার্ক। সেখানে তাকে ক্রিমিনালদের সাথে ফাইট করে টিকে থাকতে হয়। আশা করি, আপনিও হতে পারবেন কেট আর্চারের মতো একজন দুর্ধষ্য স্পাই ও ফাইটার।
১৪. Half-Life
- রিলিজ ডেট: ২০০৪
- গেমের ধরণ: ফার্স্ট পার্সন শ্যুটার গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ
- নির্মাতা: ভালভ কর্পোরেশন
মনে আছে গর্ডন ফ্রিম্যানের কথা যে নিরব নিস্তব্ধ এক ভোরবেলা আরামের ঘুম থেকে জেগে উঠে এক এলিয়েনের কবলে পড়ে? মনে আছে তার রোবট কুকুরটার কথা যার নাম ছিল Alyx Vance আর যে শত প্রতিকূলতার মাঝে সঙ্গে থাকতো গর্ডন ফ্রিম্যানের?
পুরো পৃথিবী প্রায় দখল করে নিয়েছে ভিনদেশী আগন্তুকরা। আর পৃথিবীবাসি কিছুতেই তাদের সাথে পেরে উঠছে না। কিন্তু গর্ডন ফ্রিম্যান যখন তার রোবট কুকুরটিকে সঙ্গী করে উদ্ধারকারী দলে যোগ দেয়, বদলে যেতে থাকে পৃথিবীর পরিস্থিতি। পুরনো দিনের সেরা পিসি গেমের তালিকা করতে হলে রোমাঞ্চকর এই গেমটি তাতে রাখতেই হবে। এই গেমের ৩টি ভার্সণ রয়েছে যেগুলো হল Half-Life, Half-Life 2 এবং Half-Life 3।
১৫. Indiana Jones: The Pinball Adventure
- রিলিজ ডেট: ২০০৮
- গেমের ধরণ: পিনবল গেম
- প্রাথমিক প্লাটফর্ম: মাইক্রোসফট্ উইন্ডোজ
- নির্মাতা: স্টিভ রিচি
পুরনো দিনের কম্পিউটার গেম নিয়ে এই পোস্ট এখানে শেষ করছি। ইচ্ছে করলে আরো বাড়ানো যেত, অর্থাৎ আরো কিছু গেম যোগ করা যেত। কিন্তু এতে ওয়েব পেজটি অনেক বড় হয়ে যেতো এবং পাঠকের বিরক্তি বাড়তে পারতো।
গেমগুলোর রিলিজ ডেট অনুযায়ী সিরিয়াল করা হয়েছে। আর যে ডাউনলোড লিংক দেয়া হয়েছে সেটা যদি কাজ না করে, তবে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে হবে। কারণ, এখানকার অধিকাংশ গেমই প্রিমিয়াম যেগুলো খেলতে হলে আপনাকে অবশ্যই টাকা দিয়ে কিনতে হবে।
যারা এগুলো ফ্রিতে ডাউনলোডের সুযোগ দিচ্ছে, তারা চুরি করে আপলোড করেছে। আর যে কোনও মুহূর্তে এই আপলোড লিংক ব্যান খেতে পারে এবং আপনি ডাউনলোড লিংকটি অকার্যকর হিসেবে পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে, আমাকে বকাবকি না করে গুগলে সার্চ দিয়ে আপনার কাংখিত গেমটি খুঁজে নিন।
Leave a Reply