রিয়াল মাদ্রিদ খেলতে নেমেছিল রিয়াল ভায়াদোলিদের সাথে। বেঞ্চ, শক্তিমত্তা আর ঐতিহ্য সবদিক দিয়েই উভয় দলের আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
কিন্তু আজ এই পার্থক্যের কথা তো প্রায় ভুলিয়েই দিয়েছিল ভায়াদোলিদ।
দুই দলের খেলা দেখে মনে হয়েছিল রিয়ালের জার্সি পড়ে খেলছে ভায়াদোলিদ আর ভায়াদোলিদের জার্সি পড়ে খেলছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই লাইনটা উপমা অর্থেই টানা হয়েছে।
এতটুকু পড়েই যে কারও বুঝে ফেলার কথা যে রিয়ালের মান অনুযায়ী তারা কতটা বাজে খেলেছে।
তবুও জয়ী দলের নাম রিয়াল মাদ্রিদ। ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে তারা।
জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ
৮২ মিনিটের পূর্বে রিয়াল এ ম্যাচে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। রিয়ালের আক্রমণভাগ ছিল চূড়ান্তরকম ব্যর্থ।
প্রথমার্ধে রিয়াল খুব একটা সুযোগ না পেলেও যে সুযোগ গুলো পেয়েছিল বেল-বেনজামারা তা হেলায় হারিয়েছে।
১১,১৪,৩৬ মিনিটে তিনটি হেড নিয়েছেন বেল যার দুইটিই গোল হওয়া উচিত ছিল।
বেনজামাও ভাল পজিশন থেকে একটি বাজে হেড করে সুযোগ নষ্ট করেন।
বেশ কয়েকটি ভাল সুযোগও অফসাইডের ফাঁদে আটকে নষ্ট করে তারা। ফলে সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলোয়াড়দের দুয়ো দেয়া শুরু করে সমর্থকরা।
তুলনায় ভায়াদোলিদের আক্রমণগুলোই ছিল অনেক বেশী গোছানো।
৮০ মিনিটের আগে পর্যন্ত ভায়াদোলিদের দুটি শট বারে লেগে ফিরে আসে, থিবো কোর্তোয়া বার কয়েক অসাধারণ সেভ করেন আর ভাল জায়গায় থেকেও বাজে শটে বেশকিছু সুযোগ নষ্ট করে ভায়াদোলিদ খেলোয়াড়রা।
ঐ শটগুলোর কয়েকটি কাজে লাগাতে পারলেই বার্সেলোনার পর রিয়াল ভায়াদোলিদের কাছেও বড় ব্যবধানে হারত রিয়াল মাদ্রিদ।
৭০ মিনিটে রিয়ালের “নতুন রোনালদো” ভিনিসিয়ুস জুনিয়র মাঠে নামার পরই রিয়াল কিছুটা আধিপত্য বিস্তার শুরু করে।
লা লিগায় অভিষিক্ত ভিনিসিয়ুস ৮২ মিনিটের সময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে কয়েকজনকে কাটিয়ে শট নেন। সেই শট রিয়াল ভায়াদোলিদের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে আশ্রয় নেয়।
আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
এর কিছুক্ষণ পর ভিনিসিয়ুস ডি-বক্সে বেনজামার দিকে পাস বাড়ালে বেনজামাকে ফাউল করেন ভায়াদোলিদের এক খেলোয়াড়।
পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি থেকে “পানেনকা” শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সার্জিও রামোস।
এই জয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা থেকে চার পয়েন্ট পেছনে থেকে টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
Leave a Reply