ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা বাংলাদেশের জন্য কাটছে দুঃস্বপ্নের মতই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যে দুটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ তাতে বোলিং তুলনামূলক ভালো হলেও ব্যাটিং হয়েছে একেবারে যাচ্ছেতাই। ২-১ জন সিনিয়র ব্যাটসম্যান বাদ দিলে আর কারো মাঝেই লড়াই করার মনোভাব দেখা যায়নি।
তরুণরা ভীষণভাবে হতাশ করেছেন। হতাশ করেছেন মুমিনুল হকও। অথচ তাকেই মানা হয় বাংলাদেশের “টেস্ট স্পেশালিস্ট” হিসেবে।
১ম টেস্টের ১ম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জাজনক রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। ২য় ইনিংসে ১৪৪ রান। ২য় টেস্টেও খুব একটা উন্নতি হয়নি। ২য় টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৪৯ ও ১৬৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। ২ টি টেস্টই বাংলাদেশ হেরেছে ৩ দিনে।
বাংলাদেশের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস তলানিতে। সামনে ওয়ানডে। তবে এই ফরম্যাট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে খেলোয়াড়রা। কারণ, নিকট অতীতে এই ফরম্যাটেই বাংলাদেশ দেশে-বিদেশে অবিস্মরণীয় সব সাফল্য পেয়েছিল। টেস্টের তুলনায় ওয়ানডেতেই বাংলাদেশকে তুলনামূলক গোছানো ও শক্তিশালী দল ধরা হয়।
তাই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল হয়েই ফিরবে এমন আশা সমর্থকদের। তবু প্রশ্ন থেকে যায়-
ওয়ানডেতে ফিরে আসতে পারবে বাংলাদেশ?
টাইগার শিবিরে স্বস্তির খবর হল ওয়ানডেতে ফিরছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি দলে ফেরত আসায় স্বাভাবিকভাবেই দলের আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা হবে। ওয়ানডে দলে নেওয়া হয়েছে লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেনকেও।
এছাড়াও প্রায় এক বছর পর বাংলাদেশ কোচিং প্যানেলে যুক্ত হচ্ছেন ব্যাটিং পরামর্শক। শ্রীলংকান থিলান সামারাবিরার বিদায়ের পর, দক্ষিণ আফ্রিকান নিল ম্যাকেঞ্জিকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ১ম ওয়ানডের দিনই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ৪২ বছর বয়সী সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়।
১ম দুই টেস্টেই সাকিবদের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে ক্যারিবীয়দের। তাদের জন্য আরো খুশির খবর হল, ২০১৫ সালের পর আবার ওয়ানডেতে ফিরছেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার অ্যান্দ্রে রাসেল। ফিরছেন ফাস্ট বোলার জোসেফও।
সিরিজ শুরুর আগে দুই দলের সম্ভাবনাই সমান। ক্যারিবীয় সফরে বাংলাদেশের বোলিং বেশ আশাব্যঞ্জক, হতাশাজনক ব্যাটিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাস্ট বোলারদের সামলাতে পারলেই এই সফরে আশাজনক কিছু করতে পারবে বাংলাদেশ।
১ম ওয়ানডেঃ ২২ জুলাই
ভেন্যুঃ গায়ানা
Leave a Reply