আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা যারা আমাদের ওয়েবসাইটে লিখছেন নিয়মিত বা অনিয়মিত। এই নোটিশ বোর্ডটি আপনাদের এবং আমাদের, উভয় পক্ষের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে পারস্পরিক বোঝা-পড়ার জন্য।
বেশ কিছু বিষয় হাজির হয়েছে যেগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো বলে অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম এবং কিছু কিছু বিষয়ে আপনাদের মতামতও প্রয়োজন। লেখাটি সব লেখকদের গুরুত্বের সঙ্গে পড়া এবং নিচের কমেন্ট বক্সে নিজেদের মতামত দেয়ার জন্য অনুরোধ থাকল।
প্রসঙ্গ আপনাদের ভুল, আমাদের সময় নষ্ট
আপনাদের লেখা এডিট করতে গিয়ে আমাদের প্রচুর সময় নষ্ট হয়ে যায়। যারফলে, আমরা বেশি লেখা পাবলিশ করতে পারি না। নতুনদের ক্ষেত্রে নানা রকম ভুল থাকতে পারে, আমরা সেটা মেনে নেই। কিন্তু পুরনোদের ক্ষেত্রে মেনে নেয়াটা বেশ কষ্টকর। যাইহোক, নিচে আপনাদের কিছু কমন ভুল তুলে ধরলাম যে ভুলগুলো কম-বেশি সবাই করে থাকেন। আশা করি, এরপর থেকে কেউ আর এ ভুলগুলো করবেন না।
শব্দের মাঝে বাড়তি স্পেস: একটা শব্দকে ভেঙ্গে আপনারা অনেকেই দুই শব্দে লিখছেন, বাম পাশে আপনাদের ভুল আর ডান পাশে সঠিক শব্দটি দেয়া হল-
- সফট্ওয়্যার গুলো – সফট্ওয়্যারগুলো
- গেম গুলো– গেমগুলো
- কার্ড গুলোর – কার্ডগুলোর
- নাম্বার গুলো – নাম্বারগুলো
- স্মার্ট ফোন – স্মার্টফোন
- স্মার্টফোন গুলোতে – স্মার্টফোনগুলোতে
- অ্যাপ্লিকেশন গুলো – অ্যাপ্লিকেশনগুলো
- টিপস গুলো – টিপসগুলো (টিপস্ শব্দটি বহুবচন মনে হলেও এটি মূলত এক বচন হিসেবেই বহুল ব্যবহৃত)
- বিশেষ ভাবে – বিশেষভাবে
- স্বাভাবিক ভাবে – স্বাভাবিকভাবে
- সাবলিল ভাবে – সাবলিলভাবে
- ভালো ভাবে – ভালোভাবে
- যথাযথ ভাবে – যথাযথভাবে
- অন্যান্য ভাবে – অন্যান্যভাবে
- বিস্তারিত ভাবে – বিস্তারিতভাবে
- ফোন টি – ফোনটি
- পর ই – পরই (এটি ব্যবহারের পরই বুঝতে পারবেন, কথাটি সত্যি নয়)
দুই শব্দকে এক শব্দে লেখা: অনেকেই আবার দুই শব্দকে একত্র করে এক শব্দে লিখছেন, বামে ভুল আর ডান সঠিকটি দেয়া হল-
- যেকোনো – যে কোনো
- যেসব – যে সব অথবা যে-সব (যে সব ছবি সুন্দর, সেগুলো সবাই পছন্দ করে)
- হবেনা – হবে না
- অন্যসব – অন্য সব
- যায়না – যায় না
সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ: সব কথা চলতি ভাষায় লিখলেও কিছু শব্দের ক্ষেত্রে নিজের অজান্তেই কেউ কেউ সাধু ভাষার মিশ্রণ ঘটাচ্ছেন। বামে ভুল আর ডানে সঠিক শব্দটি দেখে নিন-
- প্রশ্নগুলি – প্রশ্নগুলো
- স্মার্টফোনগুলি – স্মার্টফোনগুলো
- অ্যাপ্লিকেশনগুলি – অ্যাপ্লিকেশনগুলো
ছোট ছোট বানান ভুল: কিছু শব্দের বানান প্রায় সবাই ভুল করে যাচ্ছেন, এগুলো ঠিক করতে গিয়ে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে-
- কারন – কারণ
- ধরন – ধরণ (এই ধরণের স্মার্টফোনগুলো ভাল হয়)
- সনাক্ত – শনাক্ত (এটা শনাক্ত করা কঠিন)
- পরিবর্তন – পরিবর্তণ
- যতক্ষন – যতক্ষণ
- ততক্ষন – ততক্ষণ
- আক্রমনের – আক্রমণের (ভাইরাস আক্রমণের কারণে আপনার পিসি নষ্ট হয়ে যেতে পারে)
- অস্বাধারণ – অসাধারণ
- অসাধারন – অসাধারণ
- ব্যাবহার – ব্যবহার
- ব্যাবহৃত – ব্যবহৃত
- আমারো – আমারও (আমারও ঠিক তাই মনে হয়)
- যেগুলা – যেগুলো
- ব্রান্ড – ব্র্যান্ড
- নিশ্চই – নিশ্চয়ই
- গ্রহন – গ্রহণ
- গ্রহনযোগ্য – গ্রহণযোগ্য
চন্দ্রবিন্দু সংক্রান্ত সমস্যা: কিছু শব্দে ভুল করে অনেকেই চন্দ্রবিন্দু দেন না। এখন থেকে দেবেন।
- নিখুত – নিখুঁত (নিখুঁত ডিজাইন)
- ফাস– ফাঁস (ফাঁস হয়ে গিয়েছে)
- খোজ– খোঁজ (খোঁজ করে দেখুন)
- খুজে – খুঁজে (খুঁজে পাবেন না)
- আটকায় – আঁটকায় (এই অ্যাপ আপনার মোবাইলে ভাইরাস আঁটকায়)
দুইটাই সঠিক, যেটা লিখবেন: এমন কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলোর বানান দুইভাবে লেখা যায়। সেক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে অধিক ব্যবহৃত বানানটিকে। বামপাশেরটি আমরা গ্রহণ করবো না, কাজেই সব সময় ডান পাশেরটি লিখবেন।
- একাউন্ট – অ্যাকাউন্ট (অ্যাকাউন্ট খুলে নিন)
- এড – অ্যাড (অ্যাড না দিলে পণ্য বিক্রি হয় না)
- এড – অ্যাড (এটাকে আপনার অ্যাকাউন্টে অ্যাড করে নিন)
- এন্ড্রয়েড – অ্যান্ড্রয়েড
- এপ্লিকেশন – অ্যাপ্লিকেশন
- এনিমেশন – অ্যানিমেশন
- এপ্লাই – অ্যাপ্লাই (এ নিয়মটি অ্যাপ্লাই করে দেখতে পারেন)
আশা করি, উপরে উল্লেখিত ভুলগুলো আর করবেন না, এতে আমাদের এডিট করায় কম সময় লাগবে, আমরা আরো বেশি লেখা পাবলিশ করতে পারবো। আর আপনাদের সব ভুল এখন মনে আসছে না বলে আরো কিছু বাকি রয়ে গিয়েছে। যখনই আরো কোন ভুল পাবো, তখনই এখানে আফডেট দিয়ে রাখবো। কাজেই, এই নোটিশ বোর্ডটি মাঝে মাঝেই দেখবেন।
নোট: এখানে শুধরে দেয়ার পরও, আপনারা যদি এই ধরণের ভুলগুলো করতে থাকেন, তবে আপনাদের জরিমানা করা হবে। যে লেখায় উল্লেখিত ভুলগুলো পাওয়া যাবে, সে লেখার সন্মানি ৫০% কেটে নেয়া হবে। অর্থাৎ, আপনি ওই লেখার পুরো সন্মানি পাবেন না। আর এ নিয়ম কার্য্যকর হবে মে মাসের ১ তারিখ থেকে। তার মানে এ মাসের বাকি দিনগুলো হাতে পেলেন। এর মাঝেই এগুলো ঠিক করে নিন। কি, মন খারাপ হয়ে গেলো? আসুন তাহলে মন ভাল করে দেই-
পুরস্কার! পুরস্কার!! পুরস্কার!!!
আপনাদের সবার লেখা থেকে যদি প্রতি মাসে একটা লেখাকে সেরা লেখা হিসেবে নির্বাচন করি আর নির্বাচিত লেখককে পুরস্কৃত করি, তাহলে কেমন হয়? হুম, আপনাদের মন ভাল রাখতেই আমাদের এই আয়োজন। মে মাস থেকে শুরু করে আমরা প্রতি মাসেই একটা লেখা সেরা লেখা হিসেবে মনোনীত করবো আর ওই লেখার জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখবো।
আচ্ছা, কি পুরস্কার দেয়া যায়? আমার কাছে তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ্য পুরস্কার বই, বই এবং বই। কিন্তু বই কিনবো কখন, এত সময় কই? আর পাঠাবোইবা কিভাবে? কুরিয়ারে! আরো সময় ব্যয়! সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে ক্যাশ, কি বলেন। হ্যাঁ, নির্বাচিত লেখাটার জন্য আমরা ৫০০ টাকা পেমেন্ট দেবো, তাহলে বিকাশের মাধ্যমে সহজেই পাঠানো যাবে। কেমন হবে বলুন তো?
আশা করি, আপনাদের মন ভালো হয়ে গিয়েছে। এবার জেনে নিন, লেখা নির্বাচনের প্রক্রিয়া-
১. প্রতি মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের প্রকাশিত সবগুলো লেখা থেকে একটি লেখা বাছাই করা হবে।
২. যে লেখায় উপরোল্লেখিত কোন ভুল থাকবে, সে লেখাটিকে মনোনয়নের আওতায় রাখা হবে না।
৩. লেখা মনোনয়ন করা হবে নাম্বারিং পদ্ধতিতে। নির্বাচনের জন্য টোটাল ১০০ মার্ক হিসেব করা হবে। এর মাঝে যে লেখাটি সবচেয়ে বেশি মার্ক পাবে, সেটিই হবে মাসের সেরা লেখা। এখন দেখুন, কোন বিষয়ের জন্য কত নাম্বার কাউন্ট করা হবে-
- ক. টপিকটির প্রয়োজনীয়তা – মানুষের জন্য টপিকটি কতটা দরকারি বা উপকারি – ২০ মার্ক
- খ. লেখার মান ও লেখনী স্টাইল – ৩০ মার্ক
- গ. সোশ্যাল শেয়ার – ৩০ মার্ক (লেখাটি কতবার শেয়ার হয়েছে তার উপর এই মার্ক)
- ঘ. কমেন্ট – ২০ মার্ক
প্রথমটি বুঝতেই পারছেন, আপনার লেখাটি মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় হতে হবে।
দ্বিতীয়টি আরো সহজে বুঝতে পারছেন যে আপনার লেখাটিকে মান-সন্মত হতে হবে, সেই সাথে আপনার লেখার স্টাইলটাও সুন্দর হতে হবে।
তৃতীয়টি বোঝাও সহজ, আমরা দেখবো যে আপনার লেখাটি কতজন মানুষ শেয়ার করেছেন। পাঠক আপনার লেখাটি কতটা গ্রহণ করেছে, ফেসবুক শেয়ার আমাদেরকে সে আইডিয়া দেবে। আর এটি আপনাদের ‘ট্রিপিক্যাল বাঙালী মানসিকতা’ পরিবর্তণেও ভূমিকা রাখবে। আমরা খেয়াল করেছি যে, আপনাদের প্রায় সবাই কেবল নিজের লেখাটিই শেয়ার করছেন। অন্যরা যে ভাল লিখছে, সেটা মানতে চাইছেন না; অন্যদের লেখাও যে আপনার ফেন্ড লিস্টে থাকা মানুষের প্রয়োজন হতে পারে, সেটা বুঝতে চাইছেন না; তাই অন্যদের লেখা শেয়ার করছেন না। ভাবছেন, আমি ওর লেখা শেয়ার করবো কেন! ওকে পরিচিত করে আমার কি লাভ!
আমরা জানি, বাংলাদেশে জন্মে, এই দেশের মাটিতে মিশে থাকা এই মানসিকতা থাকাটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। তবে, আমরা যেহেতু লেখা-লেখি করি, আমাদের মন থেকে এই সব হীণ চিন্তা বের করে দিতে হবে, মনটাকে সবার জন্যই আকাশের মতো মেলে দিতে হবে, যাতে সেখানে যে কোন পাখিই মনের আনন্দে উড়ে বেড়াতে পারে।
সুতরাং, নিজের লেখার পাশা-পাশি অন্যদের লেখাও শেয়ার করুন। এতে, আপনার নিজের লেখা ঢাকা পড়ে যাবে না। বরং আরো প্রস্ফুটিত হবে।
যাইহোক, এবার আসি চতুর্থটি অর্থাৎ কমেন্টের ব্যাপারে। কমেন্টের জন্য আমরা ২০ মার্ক রেখেছি এই জন্যে যে, পাঠক কমেন্ট করে আপনার লেখাটির ভাল-মন্দ নিয়ে কী বলে তা দেখার জন্যে। এখান থেকেও আমরা আইডিয়া পাবো, আপনার লেখাটি মানুষের কতটা কাজে লেগেছে বা লেখাটি মানুষ কতটা পছন্দ করেছে।
তবে, আমাদের দেশের অধিকাংশ পাঠক এখনো কমেন্ট বলতে ফেসবুক কমেন্ট বোঝে। এর বাইরের কমেন্ট প্লাটফর্মের সঙ্গে অতটা পরিচিত নয়। আমরা যে কমেন্ট প্লাটফর্ম ইউজ করছি, সেটি ওয়ার্ডপ্রেস কমেন্ট প্লাটফর্ম। প্রত্যেকটা লেখার নিচেই দেখবেন কমেন্ট বক্স রয়েছে। যেখানে প্রথম ঘরে কমেন্ট, ২য় ঘরে নাম, তৃতীয় ঘরে ইমেল অ্যাড্রেস এবং ৪র্থ ঘরে ওয়েবসাইট লিংক দিয়ে নিচের Post Comment লেখা বাটনে ক্লিক করতে হয়।
ওয়েবসাইট লিংকের ঘরে কিছু দেয়া মোটেও অপরিহার্য্য নয়। অর্থাৎ এ ঘরটিতে কিছুই না দিয়ে ফাঁকা রাখলে কোন সমস্যা নেই। আর এখানেই আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ কনফিউড্ হয়। ভাবে, আমার তো ওয়েবসাইট নেই, কী দেবো! এক পর্যায়ে কমেন্ট না দিয়েই বেরিয়ে যায়।
মানুষকে ওয়ার্ডপ্রেস কমেন্ট প্লাটফর্মের সঙ্গে পরিচিত করানো এবং কমেন্টে অভ্যস্থ করার জন্য আপনারা কিছু ভূমিকা পালন করতে পারেন। সেটা হচ্ছে আপনারা নিজেরা একে অপরের লেখায় কমেন্ট করে লেখাটির ভাল-মন্দ জানান। আপনি যখন আরেকজনের লেখায় কন্টিনিউ কমেন্ট করতে থাকবেন, একদিন সে’ও নিশ্চয়ই আপনার লেখায় কমেন্ট করে লেখাটি নিয়ে কথা বলবে। এতে আপনাদের মাঝে একটা ইন্টারন্যাল সম্পর্কও তৈরি হবে।
আসুন, গতকাল প্রকাশিত আমাদের দু’জন নতুন লেখকের দু’টি লেখায় আমরা সবাই কমেন্ট করে একে অন্যের লেখায় কমেন্ট করাটা উদ্বোধন করি। একই সাথে এ দুজন নতুন লেখককে উৎসাহ দেই এবং কি করলে লেখাটি আরো ভাল হতো, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেই।
১. স্ন্যাপচ্যাটের নতুন ট্রিকস যা আপনার জানা প্রয়োজন – লেখক: আফিয়া ইসলাম প্রমি
২. পিটিসি সাইট ওজো থেকে আয় করুন মাসে ৩০০ ডলার – লেখক: শাহরিয়ার আহমেদ
যে কোন একটিতে কিংবা উভয়টিতেই কমেন্ট করুন। আপনারা যারাই আমাদের সাইটে লিখছেন কিংবা লিখবেন, নতুন-পুরাতন সবাইকে এ দু’টি লেখায় কমেন্ট করার অনুরোধ করছি। আবার, এর মানে এই নয় যে, আপনারা অন্য লেখায় কমেন্ট করবেন না। যে কোন লেখায় যে কারো লেখায় নিয়মিত কমেন্ট করবেন। আমরা চাই, একটা লেখা পাবলিশ হলেই সে লেখায় আপনারা সব লেখক কমেন্ট করে লেখাটা সম্পর্কে মতামত দিন। এতে করে আপনাদের সবারই সবার লেখা সম্পর্কে ধারণা হবে, নিজেদের মধ্যে একটা কো-রিলেশন গড়ে উঠবে।
আগের নোটিশ বোর্ডেও আমরা উল্লেখ করেছি, এটাতেও করছি, আমরা চাই আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটে লিখছেন, তাদের সবাইকে সবাই চিনুক। সবার সঙ্গে সবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠুক। সবাই সবাইকে লেখা-লেখিতে উৎসাহ উদ্দীপনা যোগাক। তাই, আপনাদের জন্য আমরা টেক ট্রেইনি ফোরাম নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে দিয়েছি। আপনাদের সবার উচিৎ এ গ্রুপে জয়েন করা। এরপর, গ্রুপ থেকে খুঁজে নিয়েই একজন আরেকজনকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন। যে কোন লেখার ব্যাপারে সাহায্য চাইতে পারেন কিংবা সাহায্য করতে পারেন।
যাইহোক, আশা করি পুরস্কারের বিষয়টি পুরোপুরি বুঝে নিয়েছেন। না, বুঝলে আরেকবার পড়ুন। আর কে পুরস্কার পেলেন, কোন লেখার জন্য পুরস্কার পেলেন তা জানার জন্যে আমাদের ওয়েবসাইটে পুরস্কার নামে আরেকটি পেজ পোস্ট করা হবে, যেটি নোটিশ বোর্ডের পরেই থাকবে। এটি আপনারা দেখতে পাবেন জুন মাসের ১ম সপ্তায়। আর ওখানে ক্লিক করেই আপনারা জানতে পারবেন, কার লেখাটি পুরস্কৃত হয়েছে এবং কী কী বিশেষত্বের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে।
প্রসঙ্গ ডুপ্লিকেট লেখা
আমাদের পরিবারে যোগ দিয়েছেন বেশ কিছু নতুন লেখক, তাদেরকে অভিনন্দন। একই সঙ্গে নিন্দা জানাচ্ছি নকলকারীদের। কিছু মেধাহীন, মগজহীন, ঘিলুহীন, চিরকাল নকল করে পাস করা লোক বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে লেখা নিয়ে আমাদের এখানে পাবলিশ করে লেখক বনে যেতে চাইছে! ছি! ছি!! ছি!!! এই যুগেও, যখন কোন কিছুই গোপণ রাখা সম্ভব নয়, এরা কিভাবে অন্যের লেখা চুরি করার সাহস পায়!!!!
তাদেরটা না হয় মানা গেল, কিন্তু যখন কোন পুরনো লেখক এই কাজ করে বসেন, তখন কেমন লাগে! হ্যাঁ, কিছুদিন আগে এমনই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের একজন পুরনো এবং নিয়মিত লেখক ২টি ডুপ্লিকেট লেখা পোস্ট করেছেন। খুব দু:খ পেলেও আমরা উনার অ্যাকাউন্টি ব্যানড্ করিনি, কারণ উনি ক্ষমা চেয়েছেন। তবে, আমরা এখন আর উনার কোন লেখা পাবলিশ করছি না।
এখন আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি সামনে কখনো কোন লেখকের বেলায় এ রকমটি ঘটে, তবে আমরা ওই লেখকের ছবিসহ আমাদের ওয়েবসাইটে একটা পোস্ট দিয়ে রাখবো, যাতে করে এই ওয়েবসাইটে যত মানুষ আসবে সবাই যেন ও লেখকটিকে একজন নকলবাজ, জোচ্ছোর হিসেবে আজীবনের জন্য চিনে রাখে। এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত দিন।
আর আপনারাও সাবধান হোন, ভুলেও এ ধরণের চিন্তা মাথায় আনবেন না। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, লেখার জন্য কখনোই কোন বাংলা সোর্স দেখবেন না। যত ইনফর্মেশন দরকার, সব নেবেন ইংরেজী থেকে, তাহলে নিজের অজান্তেও ডুপ্লিকেট হওয়ার সম্ভাবণা থাকবে না।
প্রসঙ্গ অনিচ্ছাকৃত ডুপ্লিকেট
আপনাদের অনেকের আর্টিকেলেই অনিচ্ছাকৃত ডুপ্লিকেট লেখা ঢুকে যাচ্ছে যা আপনারা বুঝতেও পারছেন না। আসুন, বিষয়টা একটু পরিস্কার করি-
আপনি হয়তো কোন লেখা শুরু করলেন এভাবে- ‘বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না’ কিংবা লিখলেন- ‘বর্তমান সময়ে কম্পিউটার নেই, এমন মানুষ খুব কমই আছে’ অথবা লিখলেন- ‘অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস্ সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়’। এ ধরণের লাইন অসংখ্য বাংলা ওয়েবসাইটে রয়েছে যা আপনার লেখার সঙ্গে মিলে গিয়ে আপনার লাইনটি ডুপ্লিকেট হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
আমাদের দেশের অনলাইনগুলোর লেখার স্টাইলটাই এমন। একজন হয়তো এভাবে কোন একটি লেখা লিখেছে, তার দেখাদেখি একটু এদিক-ওদিক করে আরেকজনও তাই লিখলো, তার দেখাদেখি আরেকজন… এভাবে এ ধরণের লাইন দিয়ে ওয়েবসাইটগুলো ভরে আছে।
সুতরাং, আপনাকে যেটা করতে হবে, সেটা হচ্ছে এ ধরণের কথা লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনার দরকার কি এ ধরণের বাড়তি কথার! আপনি সরাসরি আপনার মূল টপিকে চলে যান।
যেমন, আপনার কি-ওয়ার্ড যদি হয়- অ্যান্ড্রয়েড কার রেসিং গেম, তাহলে ‘গেম খেলেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না’ – এ ধরণের বাক্য দিয়ে শুরু না করে আপনি সরাসরি কার রেসিং নিয়ে বলুন। যেমন, হতে পারে- অ্যান্ড্রয়েড কার রেসিং গেম অনেকের জন্যেই দারুণ উপভোগ্য। বিশেষ করে যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে নিয়মিত গেম খেলেন, তাদের কাছে কার রেসিং গেমগুলো খুবই প্রিয়। বাস্তবে কার ড্রাইভ করতে পারেন আর না পারেন, ভার্সুয়াল জগতে আপনি শুধু ড্রাইভিংই নয়, রীতিমত কার রেসিং এ অংশ নিতে পারেন—- এভাবে মূল টপিক দিয়ে শুরু করতে পারেন। তাহলে, অনিচ্ছাকৃত ডুপ্লিকেট থেকে আপনি বেঁচে যাবেন, আর আমরা বেঁচে যাবো, আপনার লেখা ফেলে দিয়ে নতুন করে লেখার যন্ত্রণা থেকে।
প্রসঙ্গ মেটা ডেসক্রিপশন
অ্যান্ড্রয়েড কার রেসিং গেম এই কি-ওয়ার্ড নিয়ে লিখলে আপনাদের অনেকেই মেটা ডেসক্রিপশন এভাবে দেবেন- ‘এই পোস্টে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ১০টি সেরা কার রেসিং গেম…. ‘ কিংবা হয়তো এভাবে দেবেন- এই পোস্টে আমি লিখেছি ১০টি কার রেসিং গেম সম্পর্কে……
আপনাদের মাঝে অনেকেই এভাবে মেটা ডেসক্রিপশন লিখছেন যা মোটেও সুন্দর হচ্ছে না এবং আমাদেরকে এডিট করতে হচ্ছে, বেশিরভাগ সময় ফেলে দিয়ে নতুন করে লিখতে হচ্ছে। এ কথাগুলোই যেভাবে লেখা উচিৎ-
সেরা ১০টি অ্যান্ড্রয়েড কার রেসিং গেম সম্পর্কে জেনে রাখুন। গেম খেলার আগে এ লেখাটি পড়লে, কোন গেমটি খেলবেন তা ঠিক করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। কারণ, প্রতিটা গেমেরই যাবতীয় ফিচার নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে, সেই সাথে রয়েছে ডাউনলোড লিংক।
ব্যস্, হয়ে গেল, মেটা ডেসক্রিপশন। প্রথমত, এই পোস্টে পাবেন বা এই পোস্টে আমি লিখেছি জাতীয় কথাগুলো অ্যাভয়েড করা গিয়েছে, দ্বিতীয়ত কি-ওয়ার্ডটি হুবহু প্লেস করা হয়েছে। আশা করি, এখন আর মেটা ডেসক্রিপশন লেখায় কারো কোন সমস্যা হবে না। আমাদেরও এডিট করা বা নতুন করে লেখা লাগবে না।
প্রসঙ্গ শব্দ সংখ্যা
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য সর্বনিম্ন শব্দ সংখ্যা নির্ধারণ করেছিলাম ৭০০। এরপরও অনেকে (বিশেষ করে যারা নতুন যুক্ত হয়েছেন) এমন অনেক আর্টিকেল সাবমিট করছেন যেগুলোর শব্দ সংখ্যা ৭০০ থেকে কম। এমনকি, আমরা এমন কিছু আর্টিকেল পেয়েছি যেগুলোর শব্দ সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪০০ এর ভেতরে শেষ করে দেয়া হয়েছে।
আমাদের নির্ধারিত শব্দের ভেতর না লেখায় এ-সব আর্টিকেল আমরা পাবলিশ করতে পারছি না। এতে আমরা যেমন একটি নতুন আর্টিকেল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি, তেমনি যিনি লিখেছেন তার শ্রম ও সময় দুইটাই বৃথা যাচ্ছে।
আসলে এমন কিছু টপিক এসে পড়ে যেগুলো বড় করার উপায় থাকে না। টেনে-টুনে বড় করতে গেলে অপ্রাসঙ্গিক কথা এসে পড়ে যা আরো ক্ষতিকর। তাই, উভয়ের লাভের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে ছোট আর্টিকেলও আমরা পাবলিশ করবো।
এক্ষেত্রে সন্মানি নির্ধারণে একটু ঝামেলা হচ্ছে। ছোট লেখার ক্ষেত্রে যদি সন্মানিটা প্রতি ১০০ ওয়ার্ডের জন্য ১৫ টাকা হয়, তাহলে মনে হয় আগের নির্ধারিত সন্মানি থেকে আর কম-বেশি হয় না। যেমন-
- ১০০ ওয়ার্ডের জন্য ১৫ টাকা
- ২০০ ওয়ার্ডের জন্য ৩০ টাকা
- ৩০০ ওয়ার্ডের জন্য ৪৫ টাকা
- ৪০০ ওয়ার্ডের জন্য ৬০ টাকা
- ৫০০ ওয়ার্ডের জন্য ৭৫ টাকা
- ৬০০ ওয়ার্ডের জন্য ৯০ টাকা
তাহলে দেখুন আমাদের ৭০০ থেকে ১০০০ ওয়ার্ডের লেখার জন্যে যে ১০০টাকা নিধারিত রয়েছে, তার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। আপনারা কি বলেন? নিচে কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত দিন।
তাহলে, এই নোটিশ বোর্ড আজকের মত এখানেই শেষ। তবে, আপনারা মাঝে মাঝেই এটি দেখবেন। কারণ, এটাকে আমরা নিয়মিত আফডেট করবো। অর্থাৎ অনেকগুলো ইস্যু একত্রিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন নোটিশ বোর্ড আসবে না। ছোট ছোট ইস্যুগুলো এটাতেই আফডেট করে দেয়া হবে। সবাই ভাল থাকুন, ভাল ভাল আর্টিকেল লিখুন, নিজেদের এবং অন্যদের লেখা শেয়ার করুন।
বি: দ্র: ২/১টা লেখার পেমেন্ট অর্থাৎ ১০০/২০০ টাকা বিকাশ করার ঝামেলা এড়াতে আমরা কমপক্ষে ৫টা লেখার পেমেন্ট এক সঙ্গে নেয়ার প্রস্তাবণা দিয়েছিলাম আগের নোটিশ বোর্ডে। আপনাদের অধিকাংশেরই মতামতের ভিত্তিতে সেটাই আমরা ফাইনাল করলাম। অর্থাৎ এখন থেকে কমপক্ষে ৫টা লেখা পাবলিশ হওয়ার আগে কেউ পেমেন্ট চাইবেন না। আগের নোটিশ বোর্ডটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
তাজওয়ার says
so far, সব বিষয়ই সম্পূর্ণ যৌক্তিক। নতুন আপডেট ভালই লেগেছে। তবে, অতি সামান্য ভুলে টাকাটা কাটা না হলে বেটার হবে। 😛 ধরেন, ৮০০ ওয়ার্ডের একটা লেখায় একটা-দুইটা ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানানো হল।
টি আই অন্তর says
খারাপ বলেননি, ১/২টা ভুল হলে ক্ষমা করা যেতে পারে, এটা বিবেচনায় থাকলো। কিন্তু দুইয়ের অধিক ভুল হলে তো আর কিছু করার থাকবে না, জরিমানা করতে হবে।
ওমর ফারুক says
পুরস্কার এবং ছোট আর্টিকেল পাবলিশের নিয়মটা অনেক ভাল হয়েছে।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, ওমর ফারুক। আপনি তো দেখছি অনেক দিন ধরে লিখছেন না, কি হয়েছে?
স্বাক্ষর চন্দ says
ভালো সিদ্ধান্ত
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, স্বাক্ষর। আপনার নতুন লেখা কই?
নাজমুস সাকিব says
খুবই ভালো উদ্যোগ বলে আমার মনে হয়। শুরুতে ভুলগুলো শোধরাতে একটু কষ্ট হলেও তা পরবর্তীতে ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য সহায়ক হবে। আর একজন লেখককে উৎসাহিত করতে পুরস্কারের বিষয়টি ভালো হবে আশা রাখি। আর ভুল-ত্রুটির ক্ষেত্রে যদি প্রথমে একটা ওয়ার্নিং এর ব্যবস্থা করা হয় তবে আরও ভালো হবে বলে আমার মনে হয়…
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ সাকিব,
ভুলগুলো আসলে এত বেশি হচ্ছে যে, একটা লেখা প্রকাশে অনেক সময় ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্যেও ক্ষতি, লেখকদের জন্যেও ক্ষতি। তাই, এই ব্যবস্থা। আর যেহেতু এটা কার্য্যকর হবে আগামী এক তারিখ থেকে, সেহেতু ভুল শোধরানোর জন্য হাতে বেশ সময় থাকছে। কাজেই, এ কয়েক দিনকে ওয়ার্নিং ডেজ হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে। আসলে, সবাই যদি এই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে তো আমাদের কার্য্যক্রম, বিশেষত আর্টিকেল পাবলিশ করাটা আরো ফাস্ট হবে।
আশিক আকঞ্জি says
এন্ড্রয়েড’কে এডিট করে অ্যান্ড্রয়েড লিখে দিয়েছি সব জায়গায়।
টি আই অন্তর says
দারুণ, এটাই তো চাইছি; অনেক ধন্যবাদ।
রুকনুজ্জামান সোহেল says
মেটা ডেস্ক্রিপশন আর কী ওয়ার্ড নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমি কনফিউশনে পরে যাই। এই জন্য অনেক লেখা পোস্ট করতে পারি না। “দুইটাই সঠিক, যেটা লিখবেন” এর ক্ষেত্রে জরিমানা না করলে আমার মনে হয় ভালো হবে কারণ এটা অনিচ্ছাকৃত। ছোট আর্টিকেলের জন্য পেমেন্ট এর নিয়মটা ভালো হয়েছে। পুরস্কারের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় (এমাউন্ট একটু কমিয়ে) ৩টা লেখা অর্থাৎ ১ম ২য় ও ৩য় এইভাবে দিলে আরো ভালো হবে।
টি আই অন্তর says
মেটা ডেসক্রিপশন আসলে একটা ছোট্ট বর্ণনা যা একজন পাঠককে ধারণা দেবে যে লেখাটায় কি রয়েছে। তার মানে এই নয় যে, আমাদের লিখতে হবে – ‘এই লেখাটায় রয়েছে…’ বা ‘এই পোস্টে পাবেন….’। এ জন্যে একটা উদাহরণ দিয়েছি, আশা করি আপনার কনফিউশন কেটে গিয়েছে। ‘দুইটাই সঠিক, যেটা লিখবেন’ বিষয়ে আপনার মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। ছোট লেখা এখন থেকে আপনারা সবাই লিখতে পারবেন। পুরস্কারের ক্ষেত্রে ভাল পরামর্শ দিয়েছেন, ৩ জনকে পুরস্কৃত করলে ভাল হতো। কিন্তু সেক্ষেত্রে অ্যামাউন্টটা কমালে আর থাকেই বা কি, ৫০০টাকাকে ৩ ভাগ করলে কেমন হয়! তাছাড়া, আমাদের লেখকওতো খুব বেশি নয়। কাজেই অল্প কয়জন থেকে ৩ জন না হয়ে আপাতত: একজনই থাকুক। আর যখন আমাদের নিয়মিত লেখক অনেক বেড়ে যাবে, তখন না হয় ৩ জনকে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থাই করবো কিন্তু অ্যামাউন্ট না কমিয়ে অন্য দু’জনের জন্য আলাদা বাজেট করবো, কি বলেন?