গত এক দশক ধরে চীনের আর্থিক বিকাশ আমেরিকার চেয়ে সাত গুণ বেশি হয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছে আপনি কি ভেবে দেখেছেন? চীনের জিনিসপত্র সাধারণত খুব সস্তায় পাওয়া যায় কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না, সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই এটা জানি না চীন সারা পৃথিবীতে নকল জিনিস বানানো এবং তা বিক্রির জন্য প্রথম স্থানে রয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে চীন সম্পর্কে এমন কিছু তুলে ধরবো যা আপনি কখনও ভাবতেও পারবেন না।
আমাদের মধ্যে অনেকে চীনের তৈরি জিনিসপত্র কিনে থাকি। কিন্তু আমরা আসলে কি ব্যবহার করছি তার সম্পর্কে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। চীনের তৈরি যে-সব খেলনা আমরা আমাদের বাচ্চাদের হাতে তুলে দেই, সেগুলো সাধারনত ব্যবহারকৃত কনডম থেকেও হতে পারে। চীন সে-সব জিনিসের ব্যবহার করে যা ফেলে দেয়া হয়। চীন আপনার বাজেটের মধ্যে সব ধরনের পণ্যই নকল ভাবে তৈরি করে দিতে পারে।
চীনে কৃত্রিম পদ্ধতিতে নকল মাছ, মাংস এমনকি ডিম তৈরি করা হয়ে থাকে। চীন সম্পর্কে লোকমুখে একটা কথা প্রচলিত আছে, এখানে টেবিল আর চেয়ার বাদে চার পা ওয়ালা সব কিছুই খেয়ে ফেলা হয়। এখানে ভার্জিন ছেলেদের প্রস্রাব দ্বারা সেদ্ধ করা ডিম খাওয়া হয়। এটা চীনের হাজার বছরের পুরনো রীতি। আর এ পদ্ধতিকে কাজে লাগানোর জন্য লোকাল স্কুলসমূহ থেকে ভার্জিন ছেলেদের ইউরিন সংগ্রহ করা হয়। তাদের ধারণা মতে এর ফলে তাদের কোমর পা এবং জয়েন্টের ব্যথা চলে যায় এখন শরীর সারা দিন কর্মচঞ্চল থাকে।
এছাড়াও এখানে তেলাপোকা, ইঁদুর, কুকুর, এমনকি কুমির খেয়ে ফেলা হয়। চীনের গুয়াংজু প্রদেশের ইয়ুলিন শহরে প্রতিবছর ডগ মিট ফেস্টিভাল এর আয়োজন করা হয়। এবং আনুমানিক ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন কুকুর প্রতি বছর এ কারণে হত্যা করা। চীনে প্রতিবছর প্রায় চার লাখ বিড়ালও খেয়ে ফেলা হয়। এমন সব ধরনের উদ্ভট আর বিদঘুটে খাবার জন্য চীন পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত।
চীনের প্রভাবশালী মানুষেরা চাইলে নিজের বদলে যে কোন অপরাধের জন্য অন্য কাউকে জেলে পাঠাতে পারে। চীনের সর্ববৃহৎ পতিতালয় সাংহাই অবস্থিত। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা সকল পর্ন ভিডিওর ২৭% চীনের। সেক্স টয় বিক্রিতে চীন পৃথিবীতে এক নাম্বার অবস্থানে রয়েছে।
চীনে প্রতিদিন এত পরিমান আত্মহত্যা হয় যে নদী থেকে মৃত লাশ তোলার জন্য চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে। 2009 সাল থেকে চীনে ফেসবুক এবং টুইটার ব্যবহার নিষিদ্ধ। চীনের সাংহাই সিটিতে ২০১০ সালে ১০০ কিলোমিটারের জ্যাম লেগে ছিল যেটি দীর্ঘ বারো দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। আপনি জেনে অবাক হবেন যে বেজিংয়ে একদিন নিঃশ্বাস গ্রহণ করার মানে হলো আপনি ২১ টি সিগারেট পান করেছেন।
চীনের আবহাওয়া এতটাই দূষিত যে সেখানে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজন প্রতিবন্ধী বাচ্চার জন্ম হয়। তাই চীনের প্রতিটি মানুষকে সাধারণত মাস্ক পরে ঘোরাফেরা করতে হয়। চীনের গ্রেট ওয়াল অফ চায়না মহাকাশ থেকে অবলোকন করা যায় কিন্তু এর পাশাপাশি চীনের দূষিত বাতাস কেও মহাকাশ থেকে দেখা যায়। চীনের ৯০% নদীর পানি বিষাক্ত।
চীনে যে পরিমাণ স্মার্টফোন রয়েছে আমেরিকাতে সে পরিমাণ জনসংখ্যা ও নেই। নকল জিনিস বানানোর দিক থেকে চীন এতটা অগ্রসর হয়েছে যে এখানে চাল পর্যন্ত নকল ভাবে তৈরি করা হয়। চীনের নকল চাল কে প্লাস্টিক রাইস বলা হয়। এই চাল রান্না করলে ভাত এর মতই হয়। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে গিয়েছে এই চাল গ্রহণের কারণে। কিন্তু তবুও পৃথিবীজুড়ে চীনের এ চাল বিক্রি বন্ধ নেই। চীনে মধু কেউ নকলভাবে তৈরি করা হয় এবং সেটা বাজারে বিক্রি করা হয়। মাত্র ১০০ টাকার মধ্যে এক লিটার মধু তৈরী করা সম্ভব পরে এটাকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।
এতক্ষণে আপনারা হয়তো বুঝে গিয়েছেন কেন চীনের জিনিসপত্র সস্তা এবং স্বল্প মেয়াদী হয়। এসব কিছুর পরও যদি আপনি চীনের প্রোডাক্ট এর উপর বিশ্বাস রাখেন এবং সেগুলো গ্রহণ করতে থাকেন তাহলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। আমার লেখাটা ভালো লাগলো অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর এ ধরনের আরো লেখা পাওয়ার জন্য অবশ্যই হইচই বাংলার সাথে থাকবেন।
Leave a Reply