গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য ঘরে বসে আয় করার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। শুধু এ সব ওয়েবসাইটই নয়, যে কোন আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য প্রয়োজন ডিজাইনে দক্ষতা। আর ডিজাইনে দক্ষতা অর্জণের জন্য প্রয়োজন সব ধরণের ডিজাইনিং সফট্ওয়্যার সম্পর্কে সম্যক ধারণা। ডিজাইনিং সফট্ওয়্যারের জগতে সেরা স্থানটি দখল করে আছে অ্যাডোবি। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য সেরা ৫টি অ্যাডোবি ডিজাইন সফট্ওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করা হল। পোষ্টটি শুরু করার আগে চলুন অ্যাডোবি সম্পর্কে আমরা কিছু ধারণা নিয়ে নেই।
অ্যাডোবি কি?
অ্যাডোবি মূলত একটি মাল্টিন্যাশনাল কম্পিউটার সফট্ওয়্যার কোম্পানী যা আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত। ১৯৮২ সালের ডিসেম্বর মাসে John Warnock ও Charles Geschke এই কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে অ্যাডোবির ১৫ হাজারেরও বেশি কর্মচারী ছিল যা বর্তমানে আরো অনেক বেশি।
অ্যাডোবি কোম্পানীটি আমাদের দেশের মানুষদের কাছে সাধারণত গ্রাফিক্স সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানী হিসাবেই পরিচিত হয়ে আসছে। কিন্তু এটা আমাদের অনেকেরই ধারনার বাইরে যে অ্যাডোবির কার্যক্রম শুধু গ্রাফিক্স সফটওয়্যার নির্মাণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। গ্রাফিক্সের সাথে অ্যাডোবি ওয়েব ডিজাইন প্রোগ্রাম, ভিডিও এডিটিং ও ভিজুয়াল ইফেক্ট, অডিও এডিটিং সফটওয়্যার, ই-লার্নিং সফটওয়্যার, ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, সার্ভার সফটওয়্যার, বিভিন্ন ধরনের ফরম্যাট ও ওয়েব হোস্টেড ইত্যাদি সফটওয়্যারও তৈরী করে থাকে।
অ্যাডোবি ডিজাইন সফট্ওয়্যার
বিশ্ববিখ্যাত অ্যাডোবি কোম্পানীর তৈরি করা অসংখ্য সফট্ওয়্যারের মাঝ থেকে অত্যাধিক প্রয়োজনীয় ৫টি সফট্ওয়্যার সম্পর্কে জেনে নিন।
অ্যাডোবি ফটোশপ
অ্যাডোবি ফটোশপ মূলত একটি ফটো এডিটিং টুল ও গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার যা অ্যাডোবি উন্ডোজ ও ম্যাক কম্পিউটারের জন্য রিলিজ করে। ১৯৮৮ সালে Thomas ও John Knoll ভ্রাতৃদ্বয় এটি তৈরী করেন। তৈরীর পর থেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফটো এডিটিং এর বাজারে এটি নিজের উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে সক্ষম হয়।
ফটোশপের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষ প্রথম অ্যাডোবি কোম্পানীর সাথে পরিচিত হয়। শুরতে অনেকেই মনে করতো যে, ফটোশপ দিয়ে শুধুমাত্র ছবিই সম্পাদন করা যায়। কিন্তু সময়ে সাথে সাথে এটি সবারই অবগত হয় যে ফটোশপের কার্যপরিধি শুধু ছবি সম্পাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না, বরং এটি দ্বারা সুন্দর গ্রাফিক্স তৈরী করা সম্ভব। তাছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইনের পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রেও ফটোশপের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
প্রথম দিকে ফটোশপ ৭.০ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানের ফটোশপের সিএস ও সিসি ভার্সনগুলোও ব্যপকভাবে আমাদের দেশের গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ভার্সনগুলো সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে প্লাগ-ইন, ব্রাশ, এ্যাকশন কাজকে করে তোলে আরো বেশি সুন্দর ও মনোমুদ্ধকর। ফটোশপের ফাইল ফরমেটের নাম হলো .পিএসডি যেটির অর্থ হলো ফটোশপ ডকুমেন্ট।
ফটোশপে অন্যান্য অনেক সফটওয়্যারের মতোই অ্যাড-অন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে যাকে আমরা গ্লাগ-ইন বলে থাকি। অ্যাডোবি নিজের জন্য ক্যামেরা রো এর মত কিছু প্লাগ-ইন তৈরী করলেও আপনি জেনে অবাক হবেন যে অ্যাডোবির বেশির ভাগ প্লাগ-ইনই থার্ড পার্টি কোম্পানীগুলো তৈরী করে থাকে। প্লাগ-ইন কয়েক ধরনের হতে পারে যেমন ফিল্টার, এক্সপোর্ট, ইমপোর্ট, সিলেকশন, কালার কারেকশন এবং অটোমেশন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ প্লাগ-ইনই ফিল্টার জাতীয় প্লাগ ইন যা 8bf প্লাগ ইন হিসেবেও পরিচিত। ফিল্টার জাতীয় প্লাগ-ইনগুলো সাধারণ ছবিকে সম্পাদন করে অথবা নতুন কন্টেন্ট তৈরী করার কাজ করে থাকে।
এবার আসা যাক ফটোশপের টুলস এর কথায়। ছবি সম্পাদনের জন্য অ্যাডোবির রয়েছে বেশ কিছু বিল্ট-ইন টুলস। যখন ইউজার ফটোশপ ওপেন করেন, তখন ফটোশপ স্ক্রিনের বাম পাশে মাল্টিল্যাংগুয়াল টুলবার এসে উপস্থিত হয়। কাজের ধরন অনুযায়ী ফটোশপের টুলসগুলোকে ড্রইং, পেইন্টিং, মেজারিং ও নেভিগেশন, সিলেকশন, টাইপিং ও রিটাচিং ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। ফটোশপের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত টুলগুলোর মধ্যে পেন টুলস, কোন ষ্টাম্প টুলস, শেপ টুলস মেজারিং এন্ড নেভিগেশন টুলস, সিলেকশন টুলস এর মধ্যে ক্রপিং টুলস, স্লিকিং টুলস, মুভিং টুলস, মার্ক টুলস, ল্যাসো টুলস, ম্যাজিক ওয়ান্ড টুলস, ইরেজার টুলস উল্লেখযোগ্য।
অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর
অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর অ্যাডোবি কোম্পানীর তৈরী সবচেয়ে ভালো ভেক্টর ডিজাইনিং সফটওয়্যার হিসেবে পরিচিত। সফটওয়্যারটির সর্বশেষ ভার্সনের নাম হলো অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর সিসি ২০১৮ যা এই সফটওয়্যার লাইনের ২২তম প্রজন্মও বটে। এটি অ্যাডোবি সিস্টেমের অন্যতম সেরা একটি অ্যাডোবি ডিজাইন সফট্ওয়্যার।
ভেক্টর ডিজাইনিং সফট্ওয়্যার হওয়ার কারণে অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর দ্বারা ইলাস্ট্রেশন অংকন, কার্টুন, ডায়াগ্রাম, চার্ট, লোগো ইত্যাদি খুব সহজেই তৈরী করা যায়। ভেক্টর হওয়ার কারণে ইলাস্ট্রেটর ডিজাইন রেজুলেশন ও গুনগত মানের কোনরুপ পরিবর্তন ছাড়াই ভেক্টরকে যে কোন সাইজে পরিবর্তন করতে পারে যা অ্যাডোবির অন্য কোন সফটওয়্যার দ্বারা করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ভেক্টর ডিজাইনের ক্ষেত্রে রেজুলেশনের কোনরুপ পরিবর্তন ছাড়াই ডিজাইনের সাইজ পরিবর্তন, লাইনগুলির ইচ্ছা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ্য নির্ধারণ, ফাইলের সাইজ অনেক কম ও ইলাষ্ট্রেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো হওয়ায় ভেক্টর ডিজাইনের কথা উঠলেই অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর ডিজাইনারদের প্রথম পছন্দ হিসেবে পরিগণিত হয়।
তবে সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও থাকা একটি সাধারণ ব্যাপার। অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর অসুবিধাগুলি হলো এর দ্বারা তৈরীকৃত ড্রইংগুলি ফ্লাট এবং কার্টুন মনে হয় তাছাড়া বাস্তবতার সাথে মিলে যায় এমন ড্রইং করা খুবই কষ্টের।
অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর যেসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে লোগো ডিজাইন, ম্যাপ ড্রইং, ইলাষ্ট্রেশন ড্রইং, ইনফোগ্রাফিক, ফটোরিয়ালিস্টিক ড্রইং, প্যাকিং ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছিল অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর পরিচিতি মাত্র। আপনি যদি অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর সাথে অ্যাডোবি ফটোশপের কাজও পেরে থাকেন তবে আপনি এ দুটি সফটওয়্যারের সমন্বয়ে অসাধারণ গ্রাফিক্স তৈরী করতে পারবেন এবং বিশ্বাস করুন পৃথিবীর সর্বসেরা ডিজাইনাররা তাই করে থাকেন।
অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার
অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার অ্যাডোবির একটি প্রোপাইটরী ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টুল। শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্য যে অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার অ্যাডোবি নয় বরং অন্য একটি কোম্পানী ম্যাক্রোমিডিয়া ১৯৯৭ সালে তৈরী করেছিল এবং ২০০৫ পর্যন্ত, যত দিন না ম্যাক্রোমিডিয়া অ্যাডোবির আওতায় আসে ততদিন পর্যন্ত এটি শুধুই ড্রিমওয়েভার হিসেবেই পরিচিত ছিল। এখন, এটি অ্যাডোবি ডিজাইন সফট্ওয়্যার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়।
আমারা সবাই জানি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার জন্য এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, পিএইচপি এর মত ল্যাংগুয়েজ জানা প্রয়োজন। বতর্মান সময়ে মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর উপরে প্রচুর কাজ থাকে। অনেকেই আবার এটিকে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর ভীতির কারণে অনেকেই এ পেশায় আসতে ভয় পান। আর তাদের জন্যই আদর্শ হলো অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার।
অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি প্রোগ্রামিং জ্ঞান ছাড়াই একজন ডিজাইনারের ভিজুয়াল কর্মকে কোডিং এর রুপান্তরিত করে ওয়েবসাইট তৈরীতে সক্ষম। আর বিশ্বজুড়ে ডিজাইনারদের কাজ করার সুবিধার্থে এটিতে রয়েছে মাল্টিল্যাংগুয়াল ফাংশন যার মাধ্যমে সহজেই নিজ মাতৃভাষায় এটিকে ইনস্টল ও কাজ করতে পারেন। অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর মত অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভারেরও সর্বশেষ ভার্সনের নাম অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার সিসি ২০১৮।
অ্যাডোবি ইনডিজাইন
অ্যাডোবি ইনডিজাইন একটি ডেক্সটপ পাবলিশিং সফটওয়্যার। পোষ্টার, ফাইয়ার, ব্রুশিয়ার, ম্যাগাজিন, নিউজ পেপার, প্রেজেন্টেশন, বই, ই-বুক ইত্যাদি তৈরী অ্যাডোবি ইনডিজাইন অতুলনীয়। ইনডিজাইন মূলত অ্যাডোবি পেমেকারের উত্তরসূরী যা অ্যাডোবি ১৯৯৪ সালে এলডাস কোম্পানী কিনে নেওয়ার পর পায়।
দুঃখের বিষয় এই যে ১৯৯২ সালে কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ৩.৩ এবং ১৯৯৬ সালে কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ৪.০ এর সাথে প্রতিযোগীতার বাজারে এটি পিছিয়ে পড়ে। কোয়ার্ক চেয়েছিল অ্যাডোবিকে কিনে নিয়ে পেজমেকারের সমস্বয়ে বাজার ধরে নিতে কিন্তু অ্যাডোবি এতে অস্বীকৃতি জানায়।
অ্যাডোবি চেয়েছিল একটি নতুন পেজ লে-আউট এপ্লিকেশন্ প্রোজেক্টটি সর্বপ্রথম এলডাস শুরু করে যার কোড নেম ছিল শুকসান, পরবর্তীতে এটির কোড নেম এ পরিবর্তন করে রাখা হয় কে-২ এবং ২০০০ সালে রিলিজ করা হয় ইনডিজাইন ১.০ নামকরণ করে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই একটি অংশ হয়ে উঠেছে। যে কোন কোম্পানি মার্কেটিং ও পাবলিশিংকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই এটি গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও পাবলিশারদের কাছে অন্যতম সেরা অ্যাডোবি ডিজাইন সফট্ওয়্যার হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
অ্যাডোবি আফটার ইফেক্ট
অ্যাডোবি আফটার ইফেক্ট অ্যাডোবির তৈরী ভিজুয়াল ইফেক্ট, মোশন গ্রাফিক্স এবং কম্পোষ্টিং এপ্লিকেশন যা চলচিত্রের পোষ্ট প্রোডাকশন এবং টেলিভিশন প্রোডাকশন এ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাছাড়া নন-লাইনার এডিটর, অডিও এডিটর ও মিডিয়া ট্রান্সকোডার হিসেবেও অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টের খ্যাতি কম নয়।
অ্যাডোবির বেশ কিছু সফটওয়্যারের মত অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টও অ্যাডোবির নিজের তৈরী করা নয়। এটিকে মূলত কোম্পানী অফ সাইন্স এন্ড আর্টস নামীয় একটি কোম্পানী তৈরী করে এবং সফটওয়্যারটির প্রথম দুটি ভার্সন ১.০ ও ১.১ ও রিলিজ করে।
অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টের প্লাগ-ইন এর হিসাব করতে গেলে এটিকে অ্যাডোবি ফটোশপের সাথে তুলনা করলে ভুল হবে না। ফটোশপের মতো অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টেরও রয়েছে অনেক বিস্তৃত প্লাগ-ইন সাপোর্ট। তাছাড়া থার্ড পার্টি প্লাগ-ইন তো আছেই। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো থ্রিডি ইফেক্ট। অ্যাডোবির আফটার ইফেক্ট থ্রিডি ইফেক্ট রেন্ডার করতে সক্ষম তাছাড়া এটি বেসিক টুডি লেয়ার থেকেও থ্রিডি লেয়ার কনভার্সনের ক্ষেত্রে অসাধারণ।
থ্রিডি ইফেক্ট ছাড়াও অ্যাডোবির আফটার ইফেক্টের রয়েছে বেশ কিছু প্লাগ-ইন যা থেকে ভিডিওকে চলচিত্র বা কার্টুনের মত করে তৈরী করা। আগুন, ধোয়া অথবা পানির মত ইফেক্ট তৈরী করার মত কাজ এক নিমেষেই করা সম্ভব। আমাদের দেশে প্রাথমিক পর্যায় থেকে এডভান্সড ভিডিও এডিটিং এর জন্য অ্যাডোবির আফটার ইফেক্টের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
উপরের কথাগুলো শুনে যদি মনে হয় যে অ্যাডোবি আফটার ইফেক্ট আপনার জন্য না তাহলে আপনি ভুল করবেন। ইউটিউব সহ ইন্টারনেটে অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টের হাজার হাজার টিউটোরিয়াল রয়েছে যা থেকে আপনি খুব সহজেই অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টের ব্যবহার রপ্ত করতে পারবেন। আর শুধুমাত্র অ্যাডোবির বিভিন্ন সফটওয়্যারের টিউটোরিয়ালের উপর গড়ে ওঠা চ্যানেলের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
সবশেষে বলা যায়, ডিজাইন এবং পাবলিশিং মার্কেটে ডিজাইনারদের কাছে অ্যাডোবির তার নিজ স্থান করে নিয়েছে বহু আগেই। সফটওয়্যারের নতুন নতুন ভার্সনের সাথে ব্যবহারকারী যাতে আরো সহজভাবে তার কার্য সম্পাদন করতে পারে তা নিয়ে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছে অ্যাডোবি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য অ্যাডোবির আরো অনেক সফটওয়্যার থাকলেও উপরের সফটওয়্যার গুলোকে অ্যাডোবির সেরা ৫ সফটওয়্যার হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনকে নিজেদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বা যারা ঘরে বশেই শখের বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে থাকেন এবং ফ্রিলান্সিং এ নিজের ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবছেন তাদের জন্য উপরের ৫টি সফটওয়্যার এর সঠিক ব্যবহার শিখে নিজেদের ভবিষ্যৎকে সুন্দর ও উজ্জ্বল করে গড়ে তুলতে পারেন।
Rotna says
আচ্ছা, একজন গ্রাফিক ডিজাইনারকে কি সবগুলো সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাজ করতে হবে নাকি যে-কোন একটি সফটওয়্যার বেছে নিয়ে কাজ করতে পারবে?
জেসিকা জেসমিন says
একটাই যথেষ্ট। তবে, একটাতে দক্ষ হয়ে গেলে বহুমূখী কাজের সুবিধার জন্যে কেউ কেউ একাধিক ব্যবহার করে থাকেন।