বিগত ৫০ বছরে ম্যাথমেটিক্স ও ম্যাটেরিয়াল সায়েন্সের তুমুল অগ্রগতির ফলে কম্পিউটার সায়েন্স থিউরি থেকে রিয়েলিটি বা বাস্তবতায় রূপান্তরিত হয়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এ রূপ নিয়েছে। অর্থাৎ, কম্পিউটার বস্তু থেকে বাস্তবে এসেছে যার মেইন আউটপুট হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা আইই। জেনে নিন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসলে কি আর এটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবণা ও রিস্ক সম্পর্কে বিস্তারিত।
মূলত কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর যাত্রা শুরু হয়েছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স হচ্ছে ফিজিক্সের ফান্ডামেন্টাল থিউরি যার আরেক নাম কোয়ান্টাম ফিল্ড থিউরি। এটি প্রকৃতিতে থাকা এটম এবং সাব এটোমিক পার্টিকেলের অ্যানার্জি লেবেলকে ভেঙ্গেচুরে অত্যন্ত ক্ষুদ্র আকারে প্রকাশ করে যা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর জন্যে অপরিহার্য্য।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এমন একটি তাত্ত্বিক কম্পিউটিং মডেল যা ক্যালকুলেশনসহ অন্যান্য নানা কার্য্যক্রমে সাধারণ কম্পিউটার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের ডাটা ইউজ করে থাকে। সাধারণ কম্পিউটারে বাইনারি ডাটা ব্যবহার করা হয় যাতে একটি মাত্র ভেল্যু থাকে। আর কোয়ান্টাম কম্পিউটারে নন-বাইনারি ডাটা ব্যবহার করা হয়, যা একটি নতুন ধরণের ডাটা ইউনিট এবং যাতে ২টি সম্ভাব্য ভ্যাল্যু থাকে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং মূলত কোয়ান্টাম ইনফর্মেশন সায়েন্সের একটা সাব-ফিল্ড। আর এ ফিল্ডে রয়েছে ক্রিপ্টোগ্রাফি ও কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন।
১৯৮০ সালে সর্ব প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটিং শুরু হয় যখন Richard Feynman ও Yuri Manin এমন একটি আইডিয়ার কথা প্রচার করেন যা দ্বারা কম্পিউটারের মাধ্যমে বস্তুকে বাস্তবে সিমুলেট করা যাবে।
বর্তমানে একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করার জন্যে ২টি প্রধান পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়। একটি অ্যানালগ ও অন্যটি ডিজিটাল। এনালগ আবার কোয়ান্টাম সিমুলেশন, কোয়ান্টাম অ্যানিলিং এবং এডিয়াবেটিক কম্পিউটেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত। আর ডিজিটাল কম্পিউটিং সিস্টেম কোয়ান্টাম লজিক গেটস্ ব্যবহার করে থাকে। উভয়ই আবার কোয়ান্টাম বিটস্ বা কিউবিটস্ অনুসরণ করে।
যাইহোক, তাত্ত্বিক আলোচনায় না গিয়ে আমরা খুব সহজভাবে বলতে পারি যে কোয়ান্টাম কম্পিউটার এমন একটি কম্পিউটার যা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। যারফলে, আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্বলিত বিভিন্ন ডিভাইস পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো পাবো।
Leave a Reply