আমরা সবাই কম বেশি কল অব ডিউটির নাম শুনেছি। কল অব ডিউটি হল বিস্ময়করভাবে বিখ্যাত এবং সফল ফার্স্ট পারসন শুটিং গেম। গেমটি নিয়ে আমাদের সবারই অনেক কৌতুহল রয়েছে। আজ আপনাদের কৌতুহলকে আরও একটু বাড়িয়ে দিব।
২০০৩ সালের ২৯ শে অক্টোবর, গেমটি প্রথম রিলিজের পর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তার জায়গা ধরে রেখেছে। এর প্রধান কারণ ছিল গেমটি অন্য সকল গেম থেকে আলাদা। গেমটি আমাদেরকে রিয়েল লাইফ যুদ্ধক্ষেত্রের অনুভূতি দেয়। এর আগে ও পরে অনেক গেম রিলিজ হয়েছে, কিন্তু কল অব ডিউটির জায়গা দখল করতে পারেনি। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে রিলিজ পেয়েছে কল অব ডিউটি মোবাইল ভার্সন।
আমরা যারা কল অব ডিউটি গেমের ফ্যান আছি, তারা গেমটি নিয়ে অনেক উৎসাহী। কিন্তু, গেমটির ইতিহাস নিয়ে কি কখনও ভেবে দেখেছেন! গেমটি নিয়ে কি ঘটেছে সেগুলো কি জানেন! আজকে আমরা জানব কল অব ডিউটি সম্পর্কে ৫টি মজার তথ্য, যা আপনি হয়তো আগে কখনও শুনেননি।
কল অব ডিউটি সম্পর্কে ৫টি মজার তথ্য
১. প্রথম সিরিজটির ২৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল
COD যখন প্রথম ২০০৩ সালে বের হয়, তখন গেমটি সাথে সাথে অনেক জনপ্রিয়তা পায়। এত জনপ্রিয়তা পায় যে ঐ সময়েই সমস্ত বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। তখন জিটিএ ও দি সিমস গেমগুলো অনেক জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু, এর মাঝেও COD গেমটি তার বিশেষত্বের জন্য এই গেমগুলোকেও টক্কর দিয়েছিল।
২. একজন লোকের হত্যা করার প্রবণতা তৈরি হয়েছিল
২০১১ সালে ইউরোপে বসবাসকারী ৪৬ বছর বয়সী একজন লোক, কল অব ডিউটি ব্লাক ওপসের রেগুলার ম্যাচ খেলছিল। সেই ম্যাচে সে প্রতিনিয়ত ১৩ বছর বয়সী একজন বালকের কাছে মারা যাচ্ছিল। সেই জন্যে ৪৬ বছর বয়সী লোকটি বালকটির উপর খুব রেগে যায়।
পরে সে বালকটির পরিচয় জানতে পারে এবং তার বাড়ির ঠিকানা যোগাড় করে। সে বালকটির বাড়িতে যেয়ে তাকে মারার চেষ্টা করে। সৌভাগ্যবশত বালকটির মা বাড়িতে ছিল, সে লোকটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে পুলিশ লোকটিকে গ্রেফতার করে।
৩. প্রচারণার জন্য গেমের ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছিল
বর্তমানে COD গেমটি অনেক রিয়েলিস্টিক। বাস্তবে যা ঘটে অনেকটা সেইভাবেই গেমটির ডিজাইন করা হয়েছে। গেমটির এই বাস্তববাদীতার জন্য উত্তর কোরিয়ার একটি প্রচারণায়, সিওডি মর্ডান ওয়েলফেয়ার ৩ থেকে একটি ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই ফুটেজে দেখানো হয়েছে নিউইয়র্ক শহরের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।
৪. গেমটির কোডনেম ছিল “মেডেল অব অনার কিলার”
COD আসার আগে ফার্স্ট পারসন শুটার গেম ছিল, ইএ কোম্পানির মেডেল অব অনার। এটি ছিল সে সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এফপিএস গেম। অ্যাক্টিভেশন কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মেডেল অব অনার গেমটিকে পিছনে ফেলা।
সেই উদ্দেশ্যে গেম ডিজাইনাররা গেম তৈরি করতে থেকে এবং গেমটির কোডনেম দেয় “মেডেল অব অনার কিলার”। তাদের সেই আত্মবিশ্বাস আজ সত্য প্রমাণিত হল। আজ মেডেল অব অনার গেমের কোন দাপট খুঁজে পাওয়া যায় না।
৫. অ্যাটিভিশন কোম্পানি প্রকৃত যোদ্ধাদের সাহায্য করে
যদি যুদ্ধক্ষেত্রে কোন যোদ্ধা না থাকত, তাহলে কল অব ডিউটি গেমের কোন অস্তিত্ব থাকত না। তাই, অ্যাটিভিশন কোম্পানি যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা প্রবীণ কর্মীদের সাহায্য করতে চায়। এই জন্য কোম্পানিটি ২০০৯ সালে C.O.D.E (কল অব ডিউটি এন্ডোমেন্ট) নামে একটি ফান্ড গঠন করে। এই ফান্ডের মাধ্যেমে প্রবীণ কর্মীদের তারা সাহায্য করে। তারা ফান্ডে মিলিয়ন ডলার ডোনেট করে, যার দ্বারা প্রায় ২০ হাজার প্রবীণ কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।
কল অব ডিউটি গেমটি অনেক রহস্যে ভরপুর। এর প্রতিটি ধাপে ধাপে আমরা নতুনত্বের সন্ধান পাই। আশা করি আজকের তথ্যগুলো আপনাদের একটু হলেও অবাক করেছে। আপনি যদি পাবজি সম্পর্কে এমন মজার তথ্য পেতে চান, তাহলে পাবজি মোবাইলের ১০টি অজানা বিষয় দেখতে পারেন। আর এমন সব মজার তথ্য পেতে, বিশেষ করে গেম সম্পর্কে, নিয়মিত আমাদের হৈচৈ বাংলার আর্টিকেলগুলো পড়তে থাকুন।
Leave a Reply