এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটা অ্যাডভার্টাইজিং মডেল যেখানে কোম্পানী বা মার্চেন্টরা থার্ড-পার্টি পাবলিশারদেরকে লিড জেনারেশন এর জন্যে কমিশন দিয়ে থাকে।
লিড জেনারেশন মানেই হচ্ছে কোম্পানীর প্রোডাক্টস্ সেলস্ আর সেলস্ মানেই আয় বৃদ্ধি। এফিলিয়েটররা তাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগের মাধ্যমে এই কাজটি করে থাকেন, যেখান থেকে তাদেরও আয় হয়ে থাকে।
ইন্টারনেটের শুরুর সময়টা থেকেই এফিলিয়েটের একটা মডেল তৈরি হয়েছিল যা ১৯৯৪ এর দিকে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। বর্তমানে এটি বিশ্ব বাজারের জন্যে একটি বড় ধরণের মার্কেটিং চ্যানেল, যেটাকে অনেকে কমার্স ফর্মও বলে থাকেন।
যে কেউই খুব সামান্য বিনিয়োগের মাধ্যমে এফিলিয়েটের মতো একটা লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এমনকি, এটি শুরু করাটা মোটেই কঠিন কিছু নয়। তবে, শুরু করার আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু ফ্যাক্টস্ জেনে রাখা আপনার কাজে দেবে।
এর আগে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আর আজ আলোচনা করতে যাচ্ছি ফ্যাক্টস্ নিয়ে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং ফ্যাক্টস্
- অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস মহামারীর কারণে কমিশনের হার কমিয়েছে।
- সোশ্যাল মিডিয়া, ইনস্টাগ্রাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্যে এফিলিয়েট ও শপ ফিচার চালু করেছে।
- পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ৭৪% ক্রেতা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন।
- অ্যাপল কোম্পানী পডকাস্টারদের জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সুবিধা চালু করেছে।
- আমাজন অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রামের অধীনে বর্তমানে ১৫টি স্বাধীন প্রোগ্রাম রয়েছে।
- United States of America থেকেই প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকেন এফিলিয়েটররা।
- এফিলিয়েট আর্নিং United Kingdom এর টোটাল জিডিপির ১% এর সমান।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং এ মহিলাদের চেয়ে পূরুষের সংখ্যা বেশি।
- এফিলিয়েট মার্কেটারদের ৫৫% বিবাহিত।
- এফিলিয়েটের অধিকাংশ ভিজিটর আসে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ ও এসইও থেকে।
- পুরো বিশ্বের ডিজিটাল রেভিনিউ’র ১৫% আসে এফিলিয়েট থেকে।
উপরোক্ত ফ্যাক্টসগুলো হয়তো আপনাকে খুব একটা উপকার পৌঁছাবে না। কিন্তু, অনলাইনে কাজ করার ব্যাপারে ছোট থেকে ছোট সকল জ্ঞানই কখনো না কখনো কাজে লাগে।
USA ও UK র মতো আমাদের এশিয়ার দেশগুলিতেও এফিলিয়েট মার্কেটারদের সংখ্যা ভবিষ্যতে বহুগুন বাড়বে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাইন্ডব্লোয়িং কিছু ফ্যাক্ট জানলাম, কাজে দেবে।
Nothing but some unnecessary information.