আপনি সুস্থ্য হোন আর অসুস্থ হোন, আপনাকে কখনো হাসপাতালে যেতে হোক আর না হোক, আপনি ডাক্তার হোন আর সাধারণ মানুষ হোন, আলট্রাসনোগ্রাম শব্দটির সাথে অবশ্যই আপনার পরিচয় আছে।
কারণ, এই শব্দটি আপনি জীবনে বহুবার শুনেছেন, সেটা নিজের জন্যে বেলায় হোক আর আত্মীয়-স্বজনের বেলায় হোক।
ব্যাপক পরিচিত এই শব্দটি শুনে আপনিও হয়তো অনেকের মতো ভেবে থাকেন যে, এটা সন্তান সম্ভবা মেয়েদের বেলায় ব্যবহার করা হয়।
আলট্রাসনোগ্রাম শুনলেই বেশিরভাগ মানুষের মাথায়ই একজন মায়ের ছবি ভেসে ওঠে যার পেটের ভেতর রয়েছে একটি শিশু সন্তান। আর সেটি কি ছেলে না মেয়ে আর সে মায়ের গর্ভে কিভাবে আছে তা জানার জন্যে Ultrasonogram করতে হয় বলেই ধারণা রাখেন অধিকাংশ মানুষ।
কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাম শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। এর চেয়ে আরো অনেক রকম ব্যবহার। আজ আমরা জানবো আলট্রাসনোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু।
আলট্রাসনোগ্রাম কি?
আলট্রাসনোগ্রাম একটি মেডিকেল টেস্ট যা শরীরের ভেতরকার যে কোনও অঙ্গ বা অবস্থানের লাইভ ইমেজ ক্যাপচার করার জন্যে করা হয়ে থাকে। ইন্টারনাল লাইভ স্ক্যানিং করার জন্যে হাই-ফ্রিকুয়েন্সী বা আলট্রা ফ্রিকুয়েন্সী সাউন্ড ওয়েব ব্যবহার করা হয় বলে, একে আলট্রাসনোগ্রাম বলা হয়ে থাকে।
উন্নত দেশগুলোর মিলিটারিরা আকাশ পথের প্লেন এবং সমুদ্র পথের জাহাজসমূহ ডিটেক্ট করার জন্যে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে, আলট্রাসনোগ্রামেও ঠিক একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনও রকম কাটা-ছেঁড়া বা অপারেশন না করেই একজন মানুষের শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, রক্তনালী এবং টিস্যুর অবস্থা জানা যায়।
আলট্রাসনোগ্রাম এর আরেকটি নাম হচ্ছে আলট্রাসনোগ্রাফ বা সনোগ্রাফি। এমনকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটিকে Ultrasound বলা হয়ে থাকে।
আলট্রাসনোগ্রাম কে আবিস্কার করেন?
আলট্রাসনোগ্রাম আবিস্কার করনে ইংল্যান্ডের স্কটিশ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ডা. Obstetrician Ian Donald, যিনি এখনো আধুনিক আলট্রাসনোগ্রামের পাইওনিয়ার হিসেবেই পরিচিত।
তবে, অনেকেই মনে করেন পৃথিবীতে প্রথম আলট্রাসনোগ্রাম এর ধারণা নিয়ে আসেন Tom Brown ও Obstetrician Ian Donald, যাদের একজন ব্রিটিশ ও একজন আমেরিকান চিকিৎসক ছিলেন।
আলট্রাসনোগ্রাম কত প্রকার ও কি কি?
আলট্রাসনোগ্রাম বা আলট্র্রাসাউন্ড প্রধাণত তিন প্রকার। যথা-
- গর্ভ বিষয়ক আলট্র্রাসাউন্ড (Pregnancy ultrasound) যার আরেক নাম Prenatal ultrasound.
- রোগনির্ণয়সংক্রান্ত আলট্র্রাসাউন্ড Diagnostic ultrasound, যেটাকে sonography বা diagnostic সনোগ্রাফিও বলা হয়ে থাকে।
- Ultrasound guidance for procedures: কোন রোগীর মেজর কোনও অপারেশনের আগে এই আলট্রাসনোগ্রামটি করে দেখা হয় যে কোন জায়গায় কিভাবে অপারেশন করা হবে আর সে জায়গার অবস্থা কী।
অন্যান্য প্রকারের আলট্রাসনোগ্রাম বা আলট্র্রাসাউন্ডের মধ্যে রয়েছে-
- Abdominal ultrasound
- Kidney (renal) ultrasound
- Breast ultrasound
- Doppler ultrasound
- Pelvic ultrasound
- Pelvic ultrasound
- Transvaginal ultrasound
- Thyroid ultrasound
আলট্রাসনোগ্রাম কেন করা হয়?
আলট্রাসনোগ্রামের নানাবিধ ব্যবহার থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের প্র্যাগনেন্সী টেস্টের জন্যে এটি করা হয়ে থাকে। এমনকি, মহিলা যদি প্র্যাগন্যান্ট হয়ে থাকে, তবে তার গর্ভে থাকা ভ্রুণ বা বাচ্চার অবস্থা জানতেও আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়।
এছাড়াও কোনও রোগী শরীরে, বিশেষ করে শরীরের ভেতরে কোথাও যখন ব্যথা, ফোলা কিংবা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তখন তা বিস্তারিত জানার জন্যে শরীরের ভেতরটা দেখার প্রয়োজন হয়। আর সেটা জানার জন্যেই ডাক্তার আলট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন।
কোন আলট্র্রাসাউন্ড কখন করা হয়?
- Abdominal ultrasound: পেট ব্যাথার ক্ষেত্রে এটি করা হয়। বিশেষত তীব্রতর পেট ব্যাথার কারণ ও অবস্থা জানার জন্যে ডাক্তাররা Abdominal ultrasound করতে দেন।
- Kidney (renal) ultrasound: কিডনীর নানাবিধ সমস্যা নির্ণয় করতে গিয়ে কিডনির সাইজ, লোকেশন, শেপ ও অন্যান্য স্ট্রাকচার জানার জন্যে এই আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়ে থাকে।
- Breast ultrasound: স্তনে কোনও অযাচিত পিণ্ড বা চিস্টের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে Breast ultrasound করা হয়।
- Doppler ultrasound: রক্তনালী ও শিরা-উপশিরার ভেতর দিয়ে রক্তের চলাচল সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে Doppler ultrasound করা হয়।
- Pelvic ultrasound: মানব শরীরের কিছু গোপণ অঙ্গ যেমন মূত্রাশয়, প্রোস্টেট, মলদ্বার, ডিম্বাশয়, জরায়ু এবং যোনির অবস্থা জানতে এই আলট্র্রাসাউন্ড করা হয়।
- Transvaginal ultrasound: সাধারণত মেয়েদের যৌনি অঞ্চল, বিশেষ করে জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের মতো প্রজনন টিস্যুর অবস্থা জানতে Transvaginal ultrasound করা হয়।
- Thyroid ultrasound: আমাদের ঘাড়ে থাকা প্রজাপতি আকৃতির এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ড বা থাইরয়েডের নানাবিধ অবস্থা জানতে Thyroid ultrasound করা হয়ে থাকে।
আলট্রাসনোগ্রাম করে যেসব রোগ নির্ণয় করা হয়
সাধারণত মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা সন্তানের যাবতীয় অবস্থা জানতেই মূলত আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়ে থাকলেও এটি করে আরো কিছু রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে যেগুলো নিম্নরূপ-
- লিভার ক্যান্সার।
- সব ধরণের ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।
- লিভার বা অগ্ন্যাশয়ে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
- পাকস্থলীতে জন্ম নেয়া সিস্ট রিলেটেড সমস্যা।
- পিত্তথলিতে হওয়া বিভিন্ন রোগ।
- পেটের উপরিভাগের প্লীহার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
সনোগ্রাফি ও আলট্রাসনোগ্রাফির মধ্যে পার্থক্য
খুব একটা পার্থক্য নেই। যে কোনও ধরণের সনোগ্রাফির ক্ষেত্রে নরমাল সাউন্ড ওয়েব ব্যবহার করা হয়। আর আলট্রাসনোগ্রাম বা আলট্রাসাউন্ডের ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার সাউন্ড (high-frequency sound wave) ব্যবহার করা হয়।
মূলত, আলট্রাসাউন্ড বা আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে যে ছবি জেনারেট করা হয়, তাকে সনোগ্রাফি বলে। আরো সহজ ভাষায় বলা যায়, সনোগ্রাফি হচ্ছে ইন্টারনাল ইমেজিং টেকনিক আর আলট্রাসাউন্ড হচ্ছে ইমেজিং টুল।
আলট্রাসনোগ্রাম ও এমআরআই এর মধ্যে পার্থক্য
এমআরআই কী ও কেন করা হয় তা আমরা অনেকেই জানি। আর আলট্রাসনোগ্রাম সম্পর্কেও আজকে জানলাম। এবার জানা যাক এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য কি?
প্রকৃতপক্ষে, এমআরআই এবং আলট্রাসনোগ্রামের মাঝে খুব একটা পার্থক্য নেই। এমআরআই শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা অভ্যন্তরীণ কাঠামোর 3D চিত্র তৈরি করতে চুম্বকের উপর নির্ভর করে। এটি শরীরের ভেতরের যে কোনও টিস্যুর পরিবর্তণের পরিধি, অবস্থা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় হাইলাইট করতে পারে।
অন্যদিকে আল্ট্রাসাউন্ড শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সেগুলোর কাঠামোর চিত্র বা ইমেজ তৈরি করতে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে।
শরীরের ভেতরে কোথাও আঘাতপ্রাপ্ত হলে তা দেখা এবং ডিটেইলস্ জানার জন্যে উভয় ইমেজিং টেকনিকই আঘাতের চিহ্ন, ক্ষতস্থানের অবস্থাসহ যে কোনও কিছু হাইলাইট করতে পারে। উভয়ই কখনও কখনও পেশীর পৃথক ফাইবার পর্যন্ত হাইলাইট করতে পারে যা থেকে লিগামেন্টের ছিঁড়ে যাওয়া এবং অন্যান্য অনেক আঘাতের অবস্থা নিখুঁতভাবে ডায়াগনোসিজ করা যায়।
আলট্রাসাউন্ড ও এক্স-রে এর মধ্যে পার্থক্য
রোগ নির্ণয়ে ইমেজিং টেকনোলোজির দিক থেকে আলট্রাসাউন্ড ও এক্স-রে এর কাজ প্রায় একই রকম হলেও উভয়ের মাঝে কিছু বেসিক পার্থক্য আছে।
আর এ দুয়ের মাঝে মূল পার্থক্য হচ্ছে, এক্স-রে এর ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ট্রান্সভার্স তরঙ্গ (electromagnetic transverse wave) ব্যবহার করা হয় আর আলট্রাসাউন্ডের ক্ষেত্রে যান্ত্রিক অনুদৈর্ঘ্য শব্দ তরঙ্গ (mechanical longitudinal sound wave) ব্যবহার করা হয়।
আরো একটি গুরুত্বপূণ পার্থক্য হচ্ছে এক্স-রে করার ক্ষেত্রে টেকনিশিয়ান হিসেবে একজন রেডিওলোজিস্টের প্রয়োজন হয় আর আলট্রাসাউন্ড করার জন্যে প্রয়োজন হয় একজন সনোগ্রাফারের।
এক্স-রে এর ফ্রিকোয়েন্সি 3 Hz থেকে 3 Hz পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর আল্ট্রাসাউন্ডের ফ্রিকোয়েন্সি 20000 Hz হয়ে থাকে যা মানুষের শ্রবণ সীমার উপরে।
এক্স-রে পরমাণুকে (atoms) আয়ন করতে পারে। আল্ট্রাসাউন্ড পরমাণুকে আয়ন (ionize) করতে পারে না।
আলট্রাসনোগ্রাম ও সিটি স্ক্যান এর মধ্যে পার্থক্য
আমাদের অনেকেরই জানা আছে যে, সিটি স্ক্যান কি ও কেন করা হয়। সিটি স্ক্যান ও আলট্রাসনোগ্রামের মধ্যে পার্থক্য হয়তো জানা নেই। কিছু পার্থক্য নিচে দেয়া হলো-
আলট্রাসনোগ্রাম কোনও ধরণের রেডিয়েশন এক্সপোজ করে না। কিন্তু, সিটি স্ক্যানের ক্ষেত্রে কিছুটা রেডিয়েশন রয়েছে, যদিও তা সহণীয় পর্যায়ের। তবে, সহনীয় হোক আর অসহনীয় হোক গর্ভবতী মহিলা এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করা হয় না বললেই চলে। কারণ, এটি মা ও শিশুর জন্যে সব সময়ই ক্ষতিকর।
সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে নানা ধরণের ক্যান্সার ও টিউমার ধরা পড়লেও আলট্রাসনোগ্রামের সেগুলো ধরা পড়ে না।
আলট্রাসনোগ্রামের চেয়ে সিটি স্ক্যানের খরচ বেশি।
আলট্রাসনোগ্রাম কিভাবে করা হয়?
রোগীকে প্রথমে হাসপাতালের গাউন পরানো হয়। এরপর, আলট্রাসনোগ্রামের জন্যে নির্ধারিত রুমে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একটি এক্সামিনেশন টেবিলের উপর শুইয়ে দেয়া হয়। শরীরের যে অংশের আলট্রাসাউন্ড করতে হবে, সেই অংশকে মেশিনের দিকে ফোকাস করানো হয়।
যে অঙ্গের আলট্রাসনোগ্রাম করা হবে তার উপরিভাগে লুব্রিকেটিং জেলী (lubricating jelly) ঘষা হয়। এ কাজটি করেন একজন আল্ট্রাসাউন্ড টেকনিশিয়ান। লুব্রিকেটিং জেলী শব্দ তরঙ্গ (sound wave) প্রাপ্তিতে সাহায্য করে থাকে।
ট্রান্সডুসারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অঙ্গে High-frequency sound wave পাঠানো হয়। এই সাউন্ড ওয়েভ মাংসপেশী ও হাড়ে আঘাত করার মাধ্যমে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে এবং সেই প্রতিধ্বনি তখন কম্পিউটারে প্রতিফলিত হয়, যা পরে ইমেজ বা গ্রাফ আকারে প্রিন্ট আউট নেয়া হয়। ছবি বা গ্রাফে থাকা এই সাউন্ড ওয়েভ দেখে ডাক্তাররা রোগীর অবস্থা বুঝে নিতে পারেন।
পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ত্বকে মাখানো lubricating jelly মুছে পরিস্কার করে নেয়া হয়। আর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লেগে থাকে।
আলট্রাসনোগ্রামের আগে কি কি প্রস্তুতি নিতে হয়?
আলট্রাসনোগ্রামের প্রস্তুতি নির্ভর করে শরীরের কোন অংশের আলট্রাসনোগ্রাম করা হবে তার উপর। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রস্তুতি হল-
কারো যদি পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করতে হয়, তবে প্রস্তুতি ডাক্তার রোগীকে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা উপবাস করার পরামর্শ দিতে পারেন। কারণ, হজম হয়নি এমন খাবার শব্দ তরঙ্গকে Ultra sound-কে আটকাতে পারে। অর্থাৎ, পরিষ্কার ইমেজ পাওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
পিত্তথলি, যকৃত, অগ্ন্যাশয়, বা প্লীহা পরীক্ষা করার জন্য আলট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজন হলে প্রস্তুতি হিসেবে ডাক্তার তার রোগীকে চর্বিমুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
একজন রোগীর পেলভিক অঙ্গগুলি দেখার জন্য আলট্রাসনোগ্রাম করতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে বলা হতে পারে যাতে মূত্রাশয়টি পূর্ণ হয় এবং ভালভাবে ভিজুয়ালাইজ করা যায়।
আলট্রাসনোগ্রাম বা আলট্রাসাউন্ডের সুবিধা
- অ-আক্রমণকারী – Non-invasive – আক্রমণাত্মক বা ক্ষতিকর নয়।
- সাধ্যের মধ্যে – Affordability – খুব বেশি খরচ নয়।
- অত্যন্ত নিরাপদ – Extremely safe – ক্ষতির আশংকা নেই।
- বিকিরণহীন – No radiation – বিকিরণ করে না।
- বহুমুখী – Versatile – নানা রকমভাবে ব্যবহার করা যায়।
- ব্যবহার করা সহজ – Easy to use – জটিলতা নেই।
- তাৎক্ষণিক ছবি – Real-time imaging – লাইভ ইমেজিং সিস্টেম।
- সহজে বহণযোগ্য – Portable
- ব্যাপকভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য – Widely accessible
আলট্রাসনোগ্রামের রিস্ক ফ্যাক্টর
আলট্রাসনোগ্রাম বা আলট্রাসাউন্ডের কোন রিস্ক নেই। এখন পর্যন্ত মেডিকেল সায়েন্স আলট্রাসনোগ্রামের তেমন কোনও রিস্ক খুঁজে পায়নি।
আলট্রাসনোগ্রামের খরচ কত?
হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের অবস্থা ও সুনামের উপর নির্ভর করে আলট্রাসনোগ্রামের খরচের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য আছে। তবে, সাধারণ সাদাকালো আলট্রাসনোগ্রামের খরচ হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আর কালার আলট্রাসনোগ্রাফির খরচ ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
শেষ কথা
আলট্রাসনোগ্রাম, আলট্রাসনোগ্রাফি বা আলট্রাসাউন্ড যাই বলুন না কেন, এটি সম্পর্কে সকলেরই কম-বেশি ধারণা থাকা ভাল। আশা করি, এই লেখাটি পড়ে আপনি আলট্রাসনোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। সুতরাং, এটি শেয়ার বা ইনবক্স করে অন্যদেরও জানার সুযোগ করে দিন।
Leave a Reply