আমরা অনেকেই অনলাইনে টাকা আয় বা ফ্রিল্যান্সিং করতে আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকি। আমরা যখন আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকি তখন প্রোফাইল আপডেট করার এক পর্যায়ে এসে আমাদের একটি স্কিল টেস্ট দিতে হয়। এটি মূলত আমাদের দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য। আর এই স্কিল টেস্টে পাস না করলে কাজ না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দিতে গিয়ে নতুনরা অনেক সময় ভয় পেয়ে থাকেন।
মনে রাখতে হবে স্কিল টেস্টে এক বার পাস না করলে পরবর্তীতে আরো এক মাস পর আপনি এই স্কিল টেস্ট দিতে পারবেন। আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দেয়ার কিছু নিয়ম আছে। আপনারা যারা ভাবছেন এটি খুব কঠিন, তাদের বলছি আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দিয়ে পাস করা মোটেও কোনো কঠিন কাজ নয়। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি খুব সহজেই আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দিয়ে পাস করতে পারবেন।
আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দিবেন যেভাবে
প্রত্যেক পরীক্ষার কিছু নিয়ম থাকে, তেমনি আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দেয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম রয়েছে। আপওয়ার্কে আপনার স্কিল টেস্টের জন্য আপনাকে ৪০টি প্রশ্ন করা হবে। ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আপনি ৪০ মিনিট সময় পাবেন। অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আপনি ১ মিনিট করে সময় পাবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর ১ মিনিটের আগেই দিয়ে দেন সেক্ষেত্রে আপনার বাকি সময়টুকু পরবর্তী উত্তর দেয়ার ১ মিনিট সময়ের সাথে যোগ হবে।
আপনি যে বিষয়েই স্কিল টেস্ট দেন না কেনো নিয়ম একই থাকবে। অনেক সময় দেখা যাবে আমরা সব প্রশ্নের উত্তর নাও পারতে পারি। তাই আমরা গুগলের সাহায্য নিয়ে আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দিবো। তবে আপনাকে এমন একটি সময়ে টেস্ট দিতে হবে যেন টেস্ট দেয়ার সময় আপনার ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ হয়ে না যায় বা এরকম কোনো সমস্যা না হয়। যদি এমন কোনো সমস্যা হয় তাহলে পরবর্তী টেস্টটি দিতে আপনাকে আরো এক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
আমরা আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দেয়ার আগেই কি কি প্রশ্ন থাকতে পারে এবং এর উত্তর কি হবে এসব গুগল থেকে জেনে নিবো। এতে আমরা খুব সহজেই স্কিল টেস্টে পাস করতে পারবো।
আমি এখানে আপনাদের Data Entry নিয়ে স্কিল টেস্ট দিয়ে কিভাবে পাস করতে হয় সে সম্পর্কে বলবো। আবারও বলছি আপনি যে কাজেই পারদর্শী হন স্কিল টেস্ট দেয়ার নিয়ম একই থাকবে। Upwork data entry test answer 2018 লিখে গুগলে সার্চ করলে কিছু ওয়েবসাইট আপনার সামনে চলে আসবে। আপনি চাইলে যে কোনো ওয়েবসাইট থেকে স্কিল টেস্ট এর জন্য সাহায্য নিতে পারেন। আপনি টেস্ট দেয়ার আগেই দুইটি বা তিনটি ওয়েবসাইট বের করে রাখুন।
আপনি চাইলে নিজে পড়াশুনা করেও টেস্ট দিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনি কোনো কারণে পাস করতে না পারলে পরে এক মাসের আগে আপনি এই টেস্ট আর দিতে পারবেন না।
এখন টেস্ট শুরু করার পালা। আপনি আপনার আপওয়ার্কের প্রোফাইলে গিয়ে টেইক অ্যা স্কিল টেস্ট অপশনে ক্লিক করুণ। এখন আপনার সামনে অনেক স্কিল টেস্টের নাম আসবে। আপনি ক্যাটাগরিতে গিয়ে আপনার স্কিল টেস্ট খুঁজে নিন অথবা পাশের সার্চ বক্সে সরাসরি লিখে খুঁজে নিতে পারেন। সার্চ করার পর আপনি যে টেস্ট দিতে চাচ্ছেন, সেটি সামনে চলে আসবে। এখন আপনি এটির উপর ক্লিক করুন। এখন দেখতে পাচ্ছেন আপনি যে টেস্ট দিতে চাচ্ছেন সেটার উপর আপনাকে কোন কোন টপিকে প্রশ্ন করা হবে তা লেখা আছে। আপনি স্টার্ট টেস্ট বাটনে ক্লিক করুন।
এখন আপনার সামনে যে পেইজটি আসবে সেখানে এই টেস্টের কিছু নিয়ম লেখা থাকবে। এগুলো আপনি অবশ্যই পড়ে নিবেন। এখন স্টার্ট টেস্ট বাটনে ক্লিক করে দেখুন আপনার সামনে একটি প্রশ্ন এসেছে এবং নিচে ৪টি অপশন আছে। আপনি Ctrl+F চাপলে দেখবেন উপরের দিকে একটি সার্চ বক্স এসেছে। এই বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নের কিছু অংশ লিখুন ঠিক যেভাবে লিখা আছে। পুরো প্রশ্ন লিখতে হবে না। এখন Ctrl+A চেপে পুরো লেখাটি ব্লক করুন এবং Ctrl+C চেপে লেখাটি কপি করুন। এখন আপনি যে পেইজ থেকে উত্তর খুঁজবেন সেই পেইজে গিয়ে Ctrl+F চাপুন এবং Ctrl+V চেপে লেখাটি পেস্ট করুন। দেখবেন প্রশ্নটি খুঁজে পেয়েছেন উত্তরসহ। এখন আপওয়ার্কের স্কিল টেস্ট পেইজে গিয়ে সঠিক উত্তরটি দিয়ে দিন। এখন নেক্সট বাটনে ক্লিক করলে আপনার পরবর্তী প্রশ্নটি চলে আসবে। এভাবে আপনি ৪০টি প্রশ্নের সঠিক আন্সার দিয়ে পাস করতে পারবেন সহজেই।
অনেক সময় দেখবেন সব প্রশ্নের উত্তর একটি পেইজে নাও পেতে পারেন। তাই দুইটি অথবা তিনটি পেইজ ওপেন করে রাখুন। তাহলে একটি পেইজে উত্তর না পেলেও অন্যটাতে পেয়ে যাবেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে দুইটি ওয়েব সাইটে দুই রকম উত্তর দেখালে সেক্ষেত্রে আপনি নিজে প্রশ্নটি বুঝে কাছাকাছি উত্তরটি নিয়ে নিন। আপনি কোনোভাবেই প্রশ্নটি কপি করতে পারবেন না। তাই আপনাকে প্রশ্নটি হাতেই লিখতে হবে দেখে দেখে।
সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া শেষে ভিউ টেস্ট রেজাল্ট অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার ফলাফল দেখতে পারবেন। আপনি কোন ক্ষেত্রে কত % সঠিক উত্তর দিয়েছেন তাও আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। তারপর ইন্ড টেস্ট অপশনে ক্লিক করে এই পেইজ থেকে বের হয়ে যান। স্কিল টেস্টের ফলাফল নির্ধারন করা হয় ৫ এর স্কেলে। সাধারণত পাস পয়েন্ট ২.৫ হয়ে থাকে।
আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আপওয়ার্কের স্কিল টেস্ট দিয়ে পাস করার একটি সহজ উপায় পেয়েছেন। আপওয়ার্কে টেস্ট দিয়ে ভালো একটি ফলাফল অর্জন করে অবশ্যই টাকা আয় করতে পারবেন সহজেই। তাই আবারও বলছি মাথা ঠান্ডা রেখে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে স্কিল টেস্ট দেয়া শুরু করুন। সব কাজগুলো ঠিক মতো করতে পারলে অবশ্যই আপওয়ার্কের স্কিল টেস্টে পাস করতে পারবেন। মনে রাখবেন আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দেয়া মোটেও কঠিন কোনো কাজ নয়।
Rohan says
আপনাদের পোষ্ট টি পড়ে অনেক কিছু জানলাম কিন্তুু আমি কাজ করতে অগ্রহী। কাজেরর জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তুু পাচ্ছিনা। ভাই কাজের ব্যাপারে কোনো সাহায্যে করা যায় কি ?
টি আই অন্তর says
আপনাকে ধন্যবাদ, রোহান। আপনি তো জানাননি যে কাজের জন্য কি ধরণের চেষ্টা করেছেন আর কোথায় কোথায় চেষ্টা করেছেন। ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া সত্যিই কঠিন কিছু নয়, ঠিক মত চেষ্টা করলে আর ঠিক জায়গায় চেষ্টা করলে অবশ্যই কাজ পাবেন। যাইহোক, আপনি যদি অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে চান তাহলে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার এই ওয়েবসাইটগুলোতে সাইন আপ করে কাজ পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। ফ্রি-ল্যান্সিং কাজের জন্য এ ৩টি ওয়েবসাইটই পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। আর এগুলোতে কিভাবে সাইনআপ করবেন এবং কিভাবে কাজ পাবেন, এ বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে বেশ কিছু পোস্ট রয়েছে, সেগুলো পড়ুন।