আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খোলা খুবই সহজ। যেমন সহজ একটা ফেসবুক, টুইটার কিংবা গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট খোলা। অল্প কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করেই আপওয়ার্কে আপনি একটি ফ্রি-ল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। আর ঘন্টায় ১৫ থেকে ৪০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
চলুন, অ্যাকাউন্ট খুলি।
আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন যেভাবে
এখানে ক্লিক করে আপওয়ার্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। সাইটটিতে গেলে নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন।
উপরে ‘Become a Freelancer’ বাটনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর যে পেজটি আসবে সেটি হবে নিচের ছবিটির মত।
এ ছবিটিতে আপনাকে গ্রাফিক্যাল্লি দেখানো হয়েছে যে, আপওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে। আপনার অবশ্য সবকিছু দেখার দরকার নাই। পেজটিতে একবার চোখ বুলিয়ে যেতে পারেন একটা ধারণা পাওয়ার জন্য। এখন আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে আবারও ‘Become a Freelancer’ বাটনটিতে ক্লিক করা। ক্লিক করার পর সাইন আপ পেজ আসবে। আপনার আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ মূলত এখান থেকেই শুরু। নিচের ছবিটি দেখুন, আপনি ক্লিক করার পর অ্যাকাউন্ট ওপেনিং পেজটাকে আপনি এভাবেই দেখতে পাচ্ছেন।
দেখতে পাচ্ছেন এখানে ৩টি ইনপুট বক্স আছে। প্রথমটিতে আপনার নামের প্রথম অংশ, দ্বিতীয়টিতে আপনার নামের শেষ অংশ আর তৃতীয়টিতে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস দিন। এরপর নিচের “Get Started” বাটনে ক্লিক করুন।
তবে নাম ব্যবহারের ক্ষেত্র্রে আপনাকে একটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনি হয়তো বিভিন্ন সার্কেলে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাসায় আপনাকে বাবা, মা, ভাই, বোন এক নামে ডাকে। আবার স্কুল কলেজে আপনি পুরো নামে পরিচিত। বন্ধু মহলে হয়তো রয়েছে আরেক নাম। এ সবের কোনটাই এখানে দেবেন না।
এখানে শুধু ওই নামটিই দেবেন যা আপনার ভোটার আইডি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করেছেন। আপওয়ার্কে কাজ করা এবং পেমেন্ট তোলার ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট একটা ভাইটাল ইস্যু। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যদি এখানকার নামের মিল না থাকে, তবে পেমেন্ট তুলতে আপনাকে হাজারো ঝামেলা পোহাতে হবে। এমনকি পেমেন্ট তোলা অসম্ভও হয়ে পড়তে পারে।
আপনার নাম যদি হয় দুই শব্দে, তাহলে প্রথম ঘরে প্রথম অংশ আর দ্বিতীয় ঘরে নামের দ্বিতীয় অংশ লিখুন। আর যদি আপনার নাম তিন শব্দে হয়ে থাকে, তাহলে প্রথম ঘরে প্রথম দুই শব্দ আর দ্বিতীয় ঘরে শেষের শব্দটা দিয়ে দিন।
এবার আসুন তৃতীয় ঘরে। দেখতেই পাচ্ছেন এখানে আপনার ইমেল অ্যাড্রেস দিতে হবে। তবে, এখানেও আপনাকে সতর্ক হতে হবে। আপনি যে-ইমেল অ্যাড্রেসটা দিবেন সেটা যেন ভেলিড হয় মানে অ্যাক্টিভ থাকে। এমন অনেকেই আছেন, যারা ইমেল অ্যাড্রেস ব্যবহার করেন না কিংবা ব্যবহারের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। শুধু মাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় একটা ইমেল অ্যাড্রেস খুলতে হয়েছে। তারপর হয়তো আর ওই ইমেলটি কখনো খুলে দেখা হয়নি।
আপনারও যদি এ রকম অবস্থা হয়ে থাকে। তাহলে আগে ইমেল অ্যাড্রেসটি খুলে দেখুন ঠিক আছে কিনা। আর যদি ইমেল অ্যাড্রেস না থেকে থাকে, তবে এখনো একটা খুলে নিন। যে কোন প্লাটফর্মেই খুলতে পারেন। তবে জি-মেল হলে ভাল হবে। কারণ, জি-মেল অ্যাকাউন্ট সবচেয়ে সিকিউরড্।
যাইহোক, তৃতীয় ঘরে ইমেল অ্যাড্রেস দিয়ে ‘Get Started’ বাটনটিতে ক্লিক করুন। এরপর যে পেজটি ওপেন হবে সেটি নিচের ছবিটির মত।
এ পেজ থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট খোলা সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম ঘরের ড্রপ ডাউন থেকে বাংলাদেশ সিলেক্ট করুন। আপনি যেহেতু বাংলাদেশ থেকেই অ্যাকাউন্ট খুলছেন, তাই বাই ডিফল্ট বাংলাদেশ সিলেক্ট করাই থাকতে পারে।
এর পরের ঘরে পাসওয়ার্ড দিন। যে পাসওয়ার্ডটি দিবেন সেটি অবশ্যই কোথাও টুকে রাখবেন। নৈলে হারিয়ে ফেলতে পারেন।
এরপর দেখুন ‘I want to:’ লেখাটার নিচে দুইটা সিলেক্ট বাটন দেখা আছে। বাম পাশেরটা ক্লায়েন্টদের জন্য। আর ডান পাশেরটা আপনার জন্য। সুতরাং, ডান পাশের ‘Work as a Freelancer’ বাটনটি চেক করুন। ক্লিক করলে চেক করা হয়ে যাবে, হাইলাইটেড দেখতে পাবেন।
এবার তারপরের ঘরটিতে ইউজার নেম দিন। যে নামে আপনি আপওয়ার্কে পরিচিত হতে চান। এখানে আপনি যে কোন নাম দিতে পারেন। এ নামটিই আপনার ডিসপ্লে নেম হিসেবে দেখা যাবে। আর অ্যাকাউন্ট লগইন করতে এটা লাগবে। সুতরাং, এটা সহ সব ইনফরমেশনই কোথাও টুকে রাখা আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এরপর হিজিবিজি আকারে যে ইংরেজী বর্ণগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো হুবহু উপরে ঘরটিতে লিখে দিন। যে বর্ণটি বড় হাতের অক্ষরে আছে সেটি বড় হাতের অক্ষরেই দিন, একইভাবে ছোট অক্ষরটি ছোট অক্ষরেই লিখুন।
এরপর নিচের ছোট ছোট বক্স দুইটিতে ক্লিক করে চেক করে দিন। প্রথম বক্সটিতে আপনি আপওয়ার্ককে অনুমতি দিচ্ছেন মাঝে মাঝেই আপনাকে ইমেল পাঠিয়ে আপনার জন্য উপযোগী কাজের খোঁজ খবর জানাতে। আর দ্বিতীয় বক্সটি সিলেক্ট করে আপওয়ার্কের সমস্ত টার্মস্ এবং কন্ডিশন, ইউজার অ্যাগ্রিমেন্ট এবং তাদের প্রাইভেসি পলিসি আপনি মেনে নিচ্ছেন।
সবশেষে, ‘Next’ বাটনে ক্লিক করে এ পর্বটি শেষ করুন। পরের পেজে আপনি যা পাবেন তা নিচের ছবিটির মত।
এবার আপনাকে ইমেল অ্যাড্রেস ভেরিফাই করতে হবে যাতে আপনি আপওয়ার্কে আপনার অ্যাকাউন্টের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস পান। সুতরাং আপনার ইমেলে যান, লগইন করে দেখুন আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ইমেল এসেছে। ইমেলটিতে ওপেন করুন। দেখতে নিচের ছবির মত দেখাবে-
হাইলাইট করা লিংকটিতে ক্লিক করুন। অটোমেটিক আলাদা উইন্ডোতে ওপেন হবে। ওপেন হওয়া মানেই আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড। এরপর আপনি যে পেজটি পাবেন তা নিচের ছবিটির মত। যেখানে আপনাকে আপওয়ার্কে স্বাগত জানানো হচ্ছে এবং আপনি কী ধরণের কাজ করতে আগ্রহী তা জানাতে বলা হচ্ছে।
প্রথম বক্সের উপর ক্লিক করুন। একটা ড্রপ ডাউন লিস্ট ওপেন হবে। এখানে অনেকগুলো কাজের অপশন রয়েছে। আপনার পছন্দের কাজটির উপর ক্লিক করুন। যেটি আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের অফার করতে চান। যখন কোন ক্লায়েন্ট ঠিক ওই কাজটির জন্য জব পোস্ট করবে তখন আপনার প্রোপাইলটি তাকে দেখিয়ে সাজেষ্ট করা হবে। এটা একটা অটোমেটিক সিস্টেম। আপনাকে কিছু করতে হবে না। আপওয়ার্কের অটো জেনারেটেড সিস্টেম ক্লায়েন্টদেরকে ওই কাজে আপনার আগ্রহের কথা জানিয়ে দেবে। আপনার প্রোপাইল দেখে ক্লায়েন্টের পছন্দ হলে, আপনাকে কাজটি দিতেও পারে।
যে ধরণের কাজ করার জন্য আপনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, এবার নিচের ঘরে সেই কাজটি ভালভাবে সম্পন্ন করার করার জন্য যে ধরণের স্কিল বা যোগ্যতা দরকার হয় বা যে যোগ্যতা আপনার রয়েছে সেগুলো লিখে দিতে হবে।
তারপর দেখুন ওই কাজে আপনার অভিজ্ঞতার মাত্রা নির্ধারণ করতে বলা হচ্ছে। এখানে অভিজ্ঞতার তিনটি শ্রেণী রয়েছে। একটা এন্ট্রি লেভেল, আরেকটা ইন্টারমিডিয়েট আর শেষেরটা এক্সপার্ট। নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আপনি যে শ্রণীতে পড়েন সেটির উপর ক্লিক করুন।
এবার নিচের ‘See Recomendation’ বাটনটিতে ক্লিক করুন। এখন আপনি যে পেজটি দেখবেন, তা নিচের ছবিটির মত।
আপনার দেয়া স্কিলের উপর ভিত্তি করে এই মুহূর্তে আপওয়ার্কে আপনার জন্য যে ধরণের কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেগুলো আপনাকে দেখানো হচ্ছে। প্রত্যেকটা জব পোস্টের ডান পাশে দেখুন ‘Save Job’ লেখা একটা বাটন আছে। যে যে জবগুলো আপনি করতে চান বা পরে অ্যাপ্লাই করবেন বলে ভাবছেন, সে সে কাজগুলো এই বাটনে ক্লিক করে সেভ করে নিন। এগুলো আপনার অ্যাকাউন্টে সেভ হয়ে থাকবে যাতে আপনি পরে দেখতে পারেন।
আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খোলা শেষ। আশা করি, আপনি সুসম্পন্নভাবেই সবকিছু শেষ করেছেন। তবে অ্যাকাউন্ট শেষ করলেই আপনার কাজ কিন্তু শেষ হয়ে যাবে না। আপনাকে একটি অসাধারণ প্রোপাইল তৈরি করতে হবে। উপরে ‘Continue To Create Profile’ বাটনে ক্লিক করে প্রোপাইল রেডি করার কাজটি আপনি শুরু করে দিতে পারেন। চাইলে পরেও করতে পারবেন। কিভাবে একটি সাজানো গোছানো সুন্দর প্রোপাইল তৈরি করা যায়, এ নিয়ে পরবর্তীতে আমরা আরেকটি লেখা প্রকাশ করবো যা আপনার জন্য দারুণ সহায়ক হবে। মাঝখানের এই সময়টুকু আমাদের জন্য অপেক্ষা করুন। আর এর মাঝে যে জব পোস্টগুলো আপনি সেভ করেছেন কিংবা যেগুলো করেননি, সবগুলোই একটু ঘাটাঘাটি করুন। ক্লায়েন্ট কী চাইছে, কিভাবে চাইছে তা ভালকরে পড়ে নিন। সেই সাথে দেখুন কোন কাজটি আপনি অনায়াসেই করতে পারবেন, কোন কাজটি চেষ্টা করলেই করতে পারবেন।
আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খোলা শিখলেন এবং আশা করি ইতিমধ্যেই আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়েছেন। এবার, আপনার কাজ হচ্ছে বিভিন্ন স্কিল টেস্টে অংশ নেয়া। কাজেই জেনে নিন আপওয়ার্কে স্কিল টেস্ট দিয়ে কিভাবে পাস করবেন।
আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলে কোন ধরণের কাজ করা উচিৎ, কোন ধরণের কাজের জন্য প্রপোজাল দেয়া ঠিক নয়, কোন ধরণের কাজ করতে হলে কী ধরণের রিসার্স করতে হবে, কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে ইত্যাদি সব বিষয়েই আমরা ক্রমান্বয়ে লেখা পোস্ট করে যাবো।
আপওয়ার্ক ছাড়াও আউটসোর্সিং এর অনেক সাইট রয়েছে। সব সাইট এবং অনলাইনে আয়ের সব বিষয় নিয়ে আমাদের এই সাইট। সাইটের এ লেখাগুলো তৈরি করতে আমাদের যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়, প্রচুর ঘাটাঘাটি করতে হয়।
আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে আপনি যদি এ লেখাগুলো আপনার ফেসবুকে শেয়ার করে অন্যদের জানিয়ে আমাদের সহযোগীতা করেন। যতবেশি লোক আমাদের লেখাগুলো পড়ে উপকৃত হবে, কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিবে এবং কাজ করতে শুরু করবে, আমাদের কর্মীরা তত বেশি আগ্রহ পাবে নতুন নতুন লেখা তৈরি করতে। যাইহোক, সব শেষে জেনে নিন আ
rabbi says
vai username ki dimu
Antor says
আপনি যে নামে পরিচিত হতে চান, সে নামটাই দিন। এক্ষেত্রে আপনার অরিজিনাল নাম দেওয়াই ভাল হবে। অহেতুক ছদ্ম নামের আশ্রয় নেয়ার দরকার নেই।
Afroza says
Android set takhy ki account open kora
jaba?
অন্তর says
Jabe.
Md. Abdul Wahed Ali says
আমি একটি Up Work Account তৈরি করেছি। কিন্তু Account টি Submit করার পর
এই ম্যাসেজটি দেখাচ্ছে।
প্লিজ, করণীয় কি, জানালে উপকৃত হতাম।
ধন্যবাদ।
টি আই অন্তর says
এই মেসেজটি দেখাচ্ছে এই কারণে যে, আপনি আপনার প্রোপাইলে যে কাজগুলোর কথা অর্থাৎ আপনি জানেন এ রকম যে কাজগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলো আপওয়ার্কের লিস্টে নেই। এখন আপনি যেটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে, আপনার অ্যাকাউন্টি এডিট করে এমন কিছু কাজের কথা উল্লেখ করুন যেগুলো আপওয়ার্কে রয়েছে। তারপর, সেভ করে আবার সাবমিট করে দিন।
Md. Abdul Wahed Ali says
Thank you
সোহেল রানা says
ভাইয়া সাইন আপ করা অনেক সোজা, কাজ পাইতে গেলে অনেক খাটুনি লাগে 🙁
টি আই অন্তর says
আপনি ঠিকই বলেছেন, সোহেল রানা। সাইন আপ করা সহজ কিন্তু কাজ পাওয়া সহজ নয়। আসলে কাজ পাওয়ার জন্য সাইন আপই যথেষ্ট্য নয়, প্রোপাইল সাজানো, সুন্দর উপস্থাপনা, কাজের জন্য বিড করাসহ আরো অনেক কিছু রয়েছে। কেউ যদি সত্যিকার অর্থেই আপওয়ার্ক থেকে সন্মানজনক আয় করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই কোন না কোন যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে এবং একইসাথে স্মার্টলি প্রোপাইল সাজাতে হবে এবং নিয়মিত বিড করে যেতে হবে।
Joy roddro says
আমি আউটসোর্সিংএ নতুন। তাই আমার জন্য ডাটা এন্ট্রির কাজ কোনটি ভালো হবে, কিভাবে করবো, কাজটি তাদের কাছে কীভাবে পাঠাবো ও পেমেন্ট কীভাবে পাবো, ইত্যাদির বিষয়ে যদি বিস্তারিত পোষ্ট দিতেন তাহলে উপকৃত হতাম।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, জয়রুদ্র। আপনার মতো অসংখ্য মানুষই আউটসোর্সিং এ নতুন এবং যারা আজ এ জায়গায় সফল, তারাও এক সময় নতুনই ছিল। যাইহোক, আপনি যেহেতু ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে চাইছেন আর এ বিষয়ে বিস্তারিত পোস্ট চাইছেন, সেহেতু আপনার জন্যে প্রথমেই প্রয়োজন ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে কিভাবে আয় করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেয়া। এরপর সহজে ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায় যেসব ওয়েবসাইটে, সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন এবং এগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করুন।
মনিকা ইসলাম says
আমার ভোটার আইডিতে নাম বাংলায় লেখা মনিকা ইসলাম, ইংরেজিতে লেখা monika Khatun. ব্যাংক একাউন্ট কোন নাম দিয়ে খুলবো? আপ ওয়ার্কে একাউন্ট কোন নামে খুলবো?
জেসিকা জেসমিন says
হ্যালো মনিকা ইসলাম, লেখাটি পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। ভোটার আইডিতে দুই রকম নাম থাকা অনেক ঝামেলার। সম্ভব হলে ব্যাংক অ্যাকউন্ট খোলার আগেই ভোটার আইডি কারেকশন করে নিন। আর যদি একান্তই সম্ভব না হয়, তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইংরেজী নামটা দিন। আপওয়ার্কের অ্যাকাউন্টও ওই নাম (monika Khatun) দিয়েই খুলুন। আপওয়ার্কে কাজ করতে গিয়ে আপনার কখনো না কখনো ভোটার আইডি শো করার প্রয়োজন হতে পারে। আর আপওয়ার্ক তো আপনার বাংলা নাম দেখবে না, তাই ইংরেজী নাম দিয়েই খুলুন। ভাল থাকুন।