অ্যাপ স্টোর থেকে আয় করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। গুগলের প্লে-স্টোর থেকে কয়েকগুণ বেশি বিক্রি হয় অ্যাপ স্টোরের অ্যাপ। গত বছরে ৪৩২ মিলিয়ন বিক্রিত ফোনের মধ্যে, ৭৭ মিলিয়ন ফোনে আইওএস অ্যাপ ব্যবহার করা হয়। তবে, বাকী ৩৫২ মিলিয়ন মোবাইলে ব্যবহার করা হয় অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ।
মজার ব্যাপার হল, এত বেশি অ্যান্ড্রোয়েড ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও, অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের মধ্যে মাত্র ১৬% ডেভেলপার মাসে ৫ হাজার ডলার আয় করতে সক্ষম। অপরদিকে, ২৫% আইওএস তথা অ্যাপ স্টোরের ডেভেলপাররা মাসে ৫ হাজার ডলার আয় করে থাকে।
আশা করি, বুঝতে পারছেন গ্রাহক কম হলেও অ্যাপ স্টোরের গ্রাহকরা তুলনামূলক অনেক টাকা খরচ করে। সুতরাং, অ্যাপ বিক্রির ভাল প্লাটফর্ম বলা যায় অ্যাপ স্টোরকে। এখন প্রশ্ন হল, অ্যাপ স্টোর থেকে আয় করে কিভাবে?
আজকে সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে। অ্যাপ তৈরি করতে না পারলে, ফ্রিতে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার সেরা ৫টি ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারবেন।
অ্যাপ স্টোর থেকে আয়
অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ বিক্রি
অ্যাপ তৈরি করে আপনি অ্যাপ স্টোরে তা বিক্রি করতে পারবেন। আপনার অ্যাপ বিক্রি করার পর যে টাকা আসবে, তার ৩০% অ্যাপল রাখবে, আর ৭০% আপনাকে দিবে। এখন আপনাকে শুধু চাহিদা মোতাবেক অ্যাপ বানাতে হবে। আপনি এমন অ্যাপ বানালেন যা মানুষের প্রয়োজন নেই, সেই অ্যাপ কেউ কিনবে না। বর্তমানে জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ ক্যাটেগরি হল –
- মিউজিক
- ভিডিও স্ট্রিমিং
- গেম
অ্যাপ বিক্রির পর ৪৫ দিনের মধ্যে অ্যাপ স্টোর থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন। পেমেন্ট পাওয়ার জন্য ব্যাংক এবং ট্যাক্সের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে, মাথায় রাখবেন পেমেন্ট নেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে হবে।
সাবস্ক্রিপশন
অ্যাপের কিছু বিশেষ সুবিধা ব্যবহারের জন্য সাবস্ক্রিপশন সুবিধা রেখে টাকা আয় করা যায়। যেমন মিউজিক অ্যাপের ক্ষেত্রে কিছু মিউজিক শোনার জন্য সাবক্রিপশন পদ্ধতি রাখা। যেমনটা Spotify বা Netflix করে থাকে।
সাবক্রিপশনের চার্জ কেমন হবে, সেটা আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এছাড়া, ফ্রি ট্রায়াল সুবিধা রাখা যেতে পারে। যেমন, আপনি গ্রাহককে আপনার অ্যাপটি ১ মাস ফ্রি ব্যবহার করার সুবিধা দিলেন। পরবর্তী মাস থেকে ব্যবহারের জন্য সাবক্রিপশন কিনতে অফার করলেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। বর্তমানে আমরা ডিজিটাল সব কিছু ফ্রিতে পাচ্ছি এই বিজ্ঞাপনের কারণে। আপনারা যে হৈচৈ বাংলাতে ফ্রি আর্টিকেল পড়ছেন এটাও বিজ্ঞাপনের কারণে।
অ্যাপ স্টোরের অ্যাপেও বিজ্ঞাপন দেয়ার সুযোগ রয়েছে। বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের জন্য অনেক থার্ড পার্টি মিডিয়া রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গুগলের Admob। আয়ের পরিমাণ নির্ধারিত হয় অ্যাপে ক্লিক এবং ইম্প্রেশনের মাধ্যমে। অর্থাৎ, আপনার যত বেশি ভিজিটর হবে আপনার আয় তত বেশি হবে।
স্পন্সর
অ্যাপ স্টোর থেকে আয় করার আরেকটি উপায় হল স্পন্সর। যদিও স্পন্সর খুঁজে পাওয়া কিছুটা কঠিন। স্পন্সর খুঁজে পেলে আপনারা তাদের স্পন্সর প্রচার করে টাকা আয় করতে পারবেন।
শেষ কথা
এই ছিল আজকে, অ্যাপ স্টোর থেকে আয় করার সহজ কিছু উপায়। উপরের প্রত্যেকটি উপায়ই কার্যকরী। এখন আপনার দায়িত্ব শুধু অ্যাপ তৈরি করা।
আমি অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে চাই, সেটা অ্যাপ স্টোর থেকে হোক আর যেখান থেকেই হোক।
আনলাইনে কাজ করা সহজ যদি আপনার স্কিল থাকে। এখন আপনি যদি অ্যাপ স্টোর থেকে আয় করতে চান তাহলে, অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভোলপমেন্ট শিখতে হবে।
অ্যাপ স্টোর থেকে আয়ের উপায় নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট। যারা ডেভেলপার, তাদের জন্যে দারুণ কাজে লাগবে এটি।
ধন্যবাদ