২০০৮ সালে সর্বপ্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন বাজারে আসে এবং কিছুদিনের মধ্যেই এটি ফিচার ফোনকে পিছনে ফেলে দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেলে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ, মনমাতানো ইন্টারফেস, চমৎকার গ্রাফিক্স আর অসামান্য সব ফিচারের কারণে খুব অল্প সময়েই সবার হাতে হাতে ফিচার ফোনকে সরিয়ে নিজের জায়গা করে নেয় গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ভিত্তিক স্মাার্টফোনগুলি।
কিন্তু বাজারে আসার পর পরই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের একটি বিষয় সবাইকে চরম আকারে ভাবিয়ে তোলে আর তা হলো ফোনের স্টোরেজ স্বল্পতা। স্টোরেজ চাহিদার তুলনায় কম থাকার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি অ্যান্ড্রয়েড এর গতিকে প্রভাবিত করতে থাকে।
তাছাড়া বিভিন্ন অ্যাপ ক্র্যাশ, ফোন হ্যাং হয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিত্য দিনের সমস্যায় পরিণত হতে থাকে। আপনিও যদি একই সমস্যার ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের পোষ্টটি আপনার জন্যই। এই পোষ্টে আমরা আপনাদের সাথে এমন কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করব যা অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই আপনার স্মার্টফোনের ফোনের স্টোরেজ বৃদ্ধি করতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ বাড়িয়ে নিন
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক স্মার্টফোনেই সাধারণত বিল্ট ইন ৩২ জিবি বা ১৬ জিবি স্টোরেজ থেকে থাকে। কিন্তু হাল সময়ে অ্যাপ এবং হাই রেজুলেশন ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণের জন্য যে পরিমাণ মেমোরীর প্রয়োজন হয় তাতে এই পরিমাণ স্টোরেজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়া অল্প সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আরো পড়ুন-
ফলে দেখা যায় খুব অল্প সময় ব্যবহারের পরেই নতুন কোন অ্যাপ ইনষ্টল করতে গেলেই স্টোরেজ খালি করতে বলা হয়ে থাকে। যদিও অনেকেই এমন অবস্থায় ফোনটিকে রিসেট করে পুনরায় আবার সবকিছু ইনষ্টল করে থাকেন, কিন্তু এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। তাই এসব বিষয়কে মাথায় রেখেই আমরা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি এমন কিছু সহজ পদ্ধতি যার মধ্যেমে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
অপ্রয়োজনীয় সবকিছু ফোন থেকে সরিয়ে ফেলুন
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমাদের সবার ফোনেই কম বেশি এমন অনেক অ্যাপ আগে থেকেই ইনষ্টল করা থাকে যা আদৌ আমাদের প্রয়োজন হয় না বা প্রয়োজন হলেও তার খুব বেশি ব্যবহার করা হয় না। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে নতুন ফোন কেনার সময় এমন অনেক অ্যাপ ইনষ্টল করা থাকে যা একজন সাধারণ ব্যবহারকারী কখনও ব্যবহারই করেন না।
আপনার ফোনেও যদি এ ধরনের অনাকাঙ্খিত অ্যাপ থেকে থাকে তাহলে আপনার এখনই উচিৎ সেগুলিকে আনইনষ্টল করে ফেলা। যদিওবা পরবর্তীতে কখনও সেগুলির প্রয়োজন হয় তাহলে অ্যাপগুলি আবার ডাউনলোড করে নেওয়া সম্ভব।
অপরদিকে, আমরা যে সমস্ত অ্যাপগুলি ব্যবহার করে থাকি সেগুলিও ব্যবহারের সুবিধার্থে কিছু ফাইল আমাদের মেমোরীতে সংরক্ষণ করা শুরু করে। এতে যদিও ব্যবহারকারী কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অ্যাপগুলির মেমোরী দখলের পরিমাণও বাড়তে থাকে। ফলে একসময় দেখা যায় যে নতুন অ্যাপ ইনষ্টল করার মত জায়গাও ফোনে অবশিষ্ট থাকে না।
এছাড়া এইসব ফাইলের দ্বারা মেমোরী পূর্ণ হতে থাকলে এক পর্যায়ে ফোনের গতিও কমে আসতে শুরু করে। তাই আমার মতে, অবশ্যই অন্তত সপ্তাহে একবার এখানকার যে কোন মোবাইল ক্লিনিং অ্যাপস্ দিয়ে এ সমস্ত মেমোরী ক্লিন করা উচিৎ। এতে একদিকে যেমন আপনার ফোনের মেমোরী বাড়বে অপরদিকে ফোনের গতিও আগের চাইতে অনেকখানি বৃদ্ধি পাবে।
কিছু কিছু অ্যাপের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সেগুলিকে পুরোপুরি ভাবে ফোন থেকে আনইনষ্টল করা সম্ভব নয়। এমন অ্যাপগুলিকে আনইনষ্টল করতে হলে আপনার ফোনটিকে অবশ্যই রুট করতে হবে। কিন্তু রুটের ক্ষেত্রেও যেহেতু ওয়ারেন্টি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, সেক্ষেত্রে আপনি এই ধরনের অ্যাপগুলিকে আনইনষ্টল করতে না পারলেও ডিজেবল করে রাখতে পারেন যাতে সেগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করতে না পারে আর আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ নিয়ে চিন্তায় পড়তে না হয়।
এক্সটারনাল মেমোরী ব্যবহারের অভ্যাস করুন
যদিও অনেকের কাছে বিষয়টি অবাক করার মত মনে হতে পারে কিন্তু জরিপ করে দেখা যায় যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে-সব ফোনে বিল্ট ইন স্টোরেজ ৩২ জিবি বা তার বেশি হয়ে থাকে, সে সকল ফোন ব্যবহারকারীরা আলাদাভাবে এক্সটারনাল মেমোরী ব্যবহারের প্রয়োজন অনুভব করেন না।
কিন্তু আপনার ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ যত বেশিই হোক না কেন সময়ের সাথে সাথে সেটি পূর্ণ হতে থাকবে এবং এক সময় সেটি ফোনটিকে স্বাভাবিকভাবে রান করানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। একারণে কম ইন্টারনাল মেমোরীর ফোন ব্যবহারকারীদের সাথে সাথে যাদের ফোনে বেশি পরিমাণ ইন্টারনাল মেমোরী থাকে তাদেরও আলাদা ভাবে মেমোরী কার্ড ব্যবহার করা উচিৎ।
আর শুধু তাই না, ইনষ্টলকৃত অ্যাপের ডাটা, ক্যাপচারকৃত ছবি, ভিডিও এমনকি ডাউনলোডকৃত ফাইলগুলিকেও ইন্টারনাল মেমোরীর পরিবর্তে এক্সটারনাল মেমোরীতে সংরক্ষণ করা উচিৎ। অনেকক্ষেত্রে এমন কিছু ছবি বা ভিডিও থাকে যেগুলি হয়তো সব সময় দেখার প্রয়োজন হয় না কিন্তু সেগুলিকে মুছে ফেলাও সম্ভব নয়। এমন সব ক্ষেত্রে ওটিজি ড্রাইভ ব্যবহার করা সবচেয়ে বেশি লাভজনক।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিডিয়া ডাউনলোড বন্ধ রাখুন
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ফেসবুক এবং হোয়াটস অ্যাপ বর্তমানে খুব বেশি জনপ্রিয়। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করেন না এমন অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী আজকের দিনে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে সমস্যাটা অ্যাপ ব্যবহারে নয় বরং অ্যাপ এর সেটিংস এ।
অনেকেরই এটি হয়তো অজানা যে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটস অ্যাপ এ ডিফল্টভাবে এমন কিছু সেটিংস থাকে যার ফলে এটি আপনার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটস অ্যাপ এর ম্যাসেজের সাথে আসা ছবি এবং অন্যান্য মিডিয়াগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড করে এবং আপনার মেমোরীতে সেগুলি সংরক্ষণ করে যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়।
এ কারণে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সেটিংস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিডিয়া ফাইল ডাউনলোড হওয়ার অপশনগুলিকে বন্ধ করে দিতে হবে যাতে অপ্রয়োজনীয় কোন ফাইল ডাউনলোড হয়ে আপনার মূল্যবান স্টোরেজ এর স্পেস নষ্ট করতে না পারে। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া হলেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্য্যকরী।
ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন
ক্লাউড স্টোরেজ কি তা নতুন করে বলার মত কিছু নেই। আপনার মূল্যবান তথ্যগুলি পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে সম্পাদনা করার জন্য ক্লাউড স্টোরেজ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তাছাড়া অধিকাংশ জনপ্রিয় ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান স্পেস বিনামূল্যে ব্যবহারের সুবিধা থাকায় বহু সংখ্যক মানুষ এটি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে থাকেন।
আপনার ফোনের বিল্ট ইন মেমোরী যত বেশিই হয়ে থাকুক না কেন আমার মতে আমাদের সবারই ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস ব্যবহার করা উচিৎ। যদি কারণ জানতে চাওয়া হয় তাহলে আমি বলব, প্রথমত ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস ব্যবহার করার ফলে আপনার ফোনের মূলবার ইন্টারনাল স্টোরেজ এর উপর চাপ অনেক বেশি কমে আসবে। যার ফলে আপনার ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বৃদ্ধি পাবে।
দ্বিতীয়ত ক্লাউড স্টোরেজ আমাদের ফোনের স্টোরেজ সিস্টেম থেকে অনেক বেশি নিরাপদ। অনেক ক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে কোন দুর্ঘটনায় আপনার ফোনটি যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাহলে আপনার ফোন থেকে আপনার রক্ষিত তথ্যগুলি উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে আসে।
আর তৃতীয়ত ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসগুলির প্রায় সবগুলিতেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পেস ফ্রিতে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে যা আপনার মূল্যবার ছবি, ভিডিওসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট সংরক্ষনের জন্য পর্যাপ্ত বলে আমি মনে করি। ফ্রি ভার্সন ছাড়াও সব ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসের পেইড সার্ভিসও রয়েছে যাতে ফ্রি ভার্সনের চাইতে অনেক বেশি ক্লাউড স্পেস এবং অন্যান্য সুবিধাদি বিদ্যমান রয়েছে। তবে, পেইড সার্ভিস ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। আপনার মোবাইলে যদি খু বেশি ডাটা থেকে থাকে, তবে আপনি এখানকার একাধিক ফ্রি ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন।
ডাউনলোডকৃত ফাইল সময় মতো মুছে ফেলুন
অ্যান্ড্রয়েড এর জনপ্রিয়তার সাথে সাথে তুলনামুলকভাবে ডেক্সটপ কম্পিউটারের প্রতি চাহিদা ক্রমশই কমে আসছে। বিনোদনের জন্যেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন প্রায় বিনোদনের সব চাহিদাকেই পূরণ করতে সক্ষম। মুভি দেখা বা গান শোনা কোনটির জন্যেই এখন আর ডেক্সটপ কম্পিউটারের উপর নির্ভর করে থাকতে হয় না।
কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় যখন আমরা কোন মুভি দেখার জন্য ডাউনলোড করি এবং দেখার পর সেটি মুছে ফেলতে ভুলে যাই। এ ধরনের ডাউনলোডকৃত ফাইলগুলি প্রায় সময়ই আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ এর মূল্যবান জায়গা দখল করে বসে থাকে এবং ফোনের গতিকে ধীর করে ফেলে। এ কারণে যখনই সময় পাওয়া যায় ডাউনলোডকৃত ফাইলের লিস্ট দেখে যেগুলো অপ্রয়োজনীয় সেগুলিকে মুছে ফেলাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।
ইনষ্টলকৃত অ্যাপ কার্ডে মুভ করুন
এ বিষয়টি হয়তো কারো অজানা নয় যে আমরা যখন প্রাথমিকভাবে প্লে ষ্টোর থেকে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করি, তখন সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে ইনষ্টল হয় এবং সেখানেই অ্যাপটি রান করার জন্য যত প্রয়োজনীয় ফাইল রয়েছে সেগুলি জমা হতে থাকে। যার ফলে ফোনের মেমোরী পূর্ণ হতে থাকে।
আমি আপনাদের বলব প্রাথমিকভাবে যদিও বা অ্যাপগুলি ইন্টারনাল মেমোরীতে স্পেস দখল করে থাকে কিন্তু পরবর্তীতে অবশ্যই আপনার সেটিকে এসডি কার্ডে মুভ করে নিতে হবে। অনেকে আবার মনে করেন যে এসডি কার্ড থেকে অ্যাপটি রান করালে তা ঠিকমতে কাজ করবে না। এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল।
আপনি ইন্টারনাল স্টোরেজ বা এক্সাটারনাল স্টোরেজ যেখান থেকেই অ্যাপ রান করান না কেন এটি অ্যাপের পারফরমেন্সে কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না ববং অ্যাপটিকে মুভ করানোর ফলে আপনার ফোনের কিছু জায়গা খালি হবে যা ফোনটি পরিচালনা করার জন্য বা পরবর্তীতে অন্য অ্যাপ ইনষ্টল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আপনি প্রথমে আপনার ফোনের অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার অপশনে যেয়ে তারপর যে অ্যাপটিকে মুভ করতে চান তার উপর ট্যাপ করুন। এরপর নতুন উইন্ডো থেকে মুভ টু এসডি কার্ড অপশনে ট্যাপ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার কাঙ্খিত অ্যাপটি ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ থেকে এক্সটারনাল মেমোরী বা এসডি কার্ডে মুভ হয়ে যাবে।
জিওএম সেভার অ্যাপ ব্যবহার করুন
জিওএম সেভার হচ্ছে জিওএম এন্ড কোম্পানী কর্তৃক ডেভেলপকৃত এমন একটি অ্যাপ যা বেশ কিছুদিন যাবত ফোনের মেমোরী রক্ষার কাজের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্যান্য ক্লিনিং অ্যাপগুলি যেখানে কয়েক কিলোবাইটের বেশি স্টোরেজ খালি করতে পারে না জিওএম সেভারের রেকর্ড সেখানে কয়েক গিগাবাইট পর্যন্ত যা আপনার স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এমনকি এটিই সর্ব প্রথম অ্যাপ যা অনেক বেশি পরিমান স্টোরেজ স্পেস কিভাবে রক্ষা করা যায় তার কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। তাও আবার আপনার ফোনে রক্ষিত কোন ছবি, ভিডিও বা অন্য কোন ফাইল মুছে ফেলা ছাড়াই। যখন আপনার ফোনের মেমোরী প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে আসবে তখন জিওএম সেভার অ্যাপটি আপনাকে কোন প্রকার ডাটা মুছে ফেলা ছাড়াই অনেক বেশি পরিমানে মেমোরী স্পেস খালি করা সহ নতুন ফাইল যোগ করার সুযোগ করে দেবে।
আমরা সবাই জানি যে, ছবি এবং ভিডিও ফোনের মেমোরীর অনেক বেশি জায়গা দখল করে থাকে। কিন্তু এ-সব ছবি এবং ভিডিওর সাথে আমাদের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে থাকে। যার কারণে একান্ত বাধ্য না হলে আমরা এ-সব ছবি বা ভিডিও মুছে ফেলতে চাই না। জিওএম সেভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ফোনে থাকা ছবি এবং ভিডিওগুলোকে অপটিমাইজ করে, যাতে তারা আগের তুলনায় অনেক কম পরিমান জায়গা দখল করে। তাও আবার ছবি এবং ভিডিওর গুনগত মানের কোন বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়াই।
জিওএম সেভার অ্যাপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বশেষ এবং সবচেয়ে উন্নত ফাইল কমপ্রেস টেকনোলজি। যার মাধ্যমে এটি খুব বড় সাইজের কোন ছবি বা ভিডিওর ফাইল সাইজ অনেক বেশি পরিমাণে কমিয়ে আনে। অ্যাপটির কার্যকারীতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার কারণে অতি অল্প সময়েই অ্যাপটি এক লক্ষেরও বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে এবং প্লে ষ্টোওে ৪.৪ রেটিং লাভ করেছে।
আমাদের শখের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ খুব কম সময়ের মধ্যে পূর্ণ হয়ে ব্যবহারের অসুবিধা সৃষ্টি হোক, এটি আমাদের কারোর কাছেই কাম্য নয়। তবুও অনেক ক্ষেত্রে অজ্ঞানতা বশত: আমাদের কিছু ভুলের কারণে দেখা যায় যে কেনার কিছুদিন পরেই ফোনের মেমোরীতে অবশিষ্ঠ জায়গার পরিমাণ খুবই কম। এমন সব ক্ষেত্রে উপরে আলোচ্য পদ্ধতিগুলি অনুসরন করে আপনি আপনার ফোনের স্টোরেজ বাড়িয়ে নিতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
Leave a Reply