স্মার্টফোন বাজারে ঝড় তুলতে অপ্পো লঞ্চ করেছে তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ কিলার ফাইন্ড এক্স (Find X) নামক ডিভাইস। এটির মধ্যে এমন সব স্পেশাল ফিচার রয়েছে যা এ সেটটিকে করে তুলেছে অন্য ডিভাইসের তুলনায় ইউনিক।
স্মার্টফোন বক্সটি খুললেই চোখে পড়বে কাঙ্খিত ডিভাইসটি। এছাড়া রয়েছে একটি ইয়ারফোন যেটি মূলত ইউএসবি টাইপ সি’র মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয়। আপনি চাইলে আপনার সাধারণ ৩.৫ মিমি জ্যাকওয়ালা ইয়ারফোন ব্যবহার করতে পারবেন, এক্ষেত্রে আপনাকে বক্সে দেয়া অ্যাডাপ্টারের সাহায্য নিতে হবে।
তাছাড়া, বক্সে রয়েছে চার্জার, যেটি অপ্পোর ভক (VOOC) চার্জার। এটির আউটপুট হলো ৫ ভোল্ট ৪ অ্যাম্পিয়ার, ফাস্ট চার্জার। বলে রাখা ভালো যে, ওয়ানপ্লাসের যে ড্যাশ (Dash) চার্জার রয়েছে সেটি ভক (VOOC) এর ভিত্তিতে তৈরি। রয়েছে চার্জিং ক্যাবল। এছাড়া রয়েছে সিম ইজেক্টার টুল (Sim Ejector Tool) এবং অবশ্যই রয়েছে ম্যানুয়াল গাইড।
‘ফাইন্ড এক্স এর পিছনের প্যানেলে গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে বলে দেখতে কিছুটা অন্যরকম। পিছনের প্যানেলে সূর্যের আলো পড়লে রংধনুর মতো দেখতে লাগে। পেছনের দিকে এবং সামনের দিকে লক্ষ্য করলে যে বিষয়টি আপনার দৃষ্টিগোচরে আসবে সেটি হলো, ক্যামেরা কোথায়? ক্যামেরা দেয়নি কি অপ্পো? মোবাইল কিনে কি ঠকে গেলাম?
হ্যা,ক্যামেরা রয়েছে, এক্ষেত্রে অপ্পো বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। পিছনে উপরের দিকে যে ট্রে রয়েছে সেখান থেকেই ক্যামেরা স্লাইড করে উপরে উঠে আসবে।
ক্যামেরা অ্যাপ ওপেন করলেই উপরে স্লাইড করে ক্যামেরা উঠে আসবে। এটা মূলত মেকানিক পপ-আপ ক্যামেরা। রিয়ার ক্যামেরা হিসেবে দেয়া আছে ডুয়াল ক্যামেরা, যেটি ১৬+২০ মেগাপিক্সেল। দু’টির অ্যাপার্চার সাইজ f/2.0। এছাড়া সাথে আছে ডুয়াল এলইডি ডুয়াল টোন ফ্ল্যাশ। ফ্রন্ট ক্যামেরা হলো পপ-আপ কৃত ২৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যেটির অ্যাপার্চার সাইজও f/2.0। বিশেষভাবে এটিতে ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, যেটি অন্ধকারেও কাজ করবে।
ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে সুপার অ্যামোলেড, যেটির সাইজ হচ্ছে ৬.৪২ ইঞ্চি। এটি মূলত কার্ভড ডিসপ্লে। ডিসপ্লে দেখতে কি মারাত্মক সুন্দর তা আপনারা না দেখলে বুঝতে পারবেন না! এক কথায়, এটি পারফেক্ট বেজেললেস। তবে, নিচের দিকে হালকা বেজেল থাকলেও তা তেমন চোখে পড়ে না। সেটের নিচের দিকে রয়েছে স্পিকার গ্রিল, চার্জিং পোর্ট এবং সিম ট্রে। তবে, এখানে এক্সট্রা মেমরী স্লট নেই।
ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে রয়েছে ১২৮/২৫৬ জিবি এবং ৮ জিবি র্যাম। উপরে ডানদিকে রয়েছে পাওয়ার বাটন আর বাম দিকে রয়েছে ভলিউম আপ-ডাউন বাটন। ডিসপ্লে প্রোটেকশনের জন্য দেয়া হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে দেয়া হয়েছে ওরিও ৮.১। আর এর ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস) হচ্ছে কালার ওএস ৫.১। চিপসেট হলো কোয়ালকমের লেটেস্ট স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫, জিপিউ অ্যাড্রিনো ৬৩০।
সেন্সর সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফেস আইডি, অ্যাক্সেলেরোমিটার, জাইরোস্কোপ, প্রক্সিমিটি এবং কম্পাস। তবে, এটায় ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়নি। ব্যাটারি পাওয়ার হলো ৩৭৩০ মিলি-অ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম আয়ন, তবে এটি নন-রিমুভাল। ফোনটি দু’টি কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। প্রথমটি হচ্ছে Bordeaux Red এবং অপরটি Glacier Blue। এটির অফিসিয়াল মূল্য হতে পারে ৮০ হাজারের আশে পাশে।
Leave a Reply