সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস্ যেমন ব্যক্তিগত কাজে লাগে, তেমনই ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার হয়ে থাকে। পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং দূরে কাছে ছড়িয়ে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে কানেক্টেড থাকতে এই সব অ্যাপ অত্যন্ত দরকারি। আবার, ব্যবসায়িক ব্যবহার, যেমন পণ্যের প্রমোশন কিংবা সার্ভিসের অফার সবার কাছে ছড়িয়ে দিতেও এই সব অ্যাপের প্রয়োজন।
আপনি হয়তো বিখ্যাত ২০টি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানেন এবং সেগুলো ব্যবহারও করেন। আজ জেনে নিন ১০টি দরকারি অ্যাপস্ সম্পর্কে।
এমন নয় যে আমি যে সোশ্যাল অ্যাপগুলো নিয়ে লিখতে যাচ্ছি, সেগুলো সম্পর্কে আপনি জানেন না। বরং এখানকার বেশির ভাগ অ্যাপ সম্পর্কেই আপনার জানা আছে। আবার, কেউ কেউ থাকতে পারে যারা এখানকার প্রায় সবক’টি ব্যবহার করেছেন।
আবার এমন নয় যে এমন কেউ নেই যার জানা দরকার। মূলত, তাদের জন্যেই এই লেখা যাদের সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপসের সাথে পরিচয় নেই। আসুন, আজ পরিচিত হই-
দরকারি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস্
ইনস্টাগ্রাম
এক বিলিয়নের উপরে ইউজার নিয়ে ইউনিক অবস্থানে রয়েছে ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং এই অ্যাপটি। এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিজনেস প্রোফাইল খুলে অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের ব্যবসার প্রসার করে থাকে। আর বিনোদন জগতের বিশ্ববিখ্যাত প্রায় সব তারকাদেরই পাওয়া যায় ইনস্টাগ্রামে।
হোয়াটস্অ্যাপ
যদিও শুরুতে শুধুমাত্র বন্ধু-বান্ধব আর পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্যে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু বর্তমানে হোয়াটস্অ্যাপ সব ধরণের মানুষের জন্যেই উন্মুক্ত। বিশ্বের ১৮০টি দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ইনস্টান্ট মেসেজিং অ্যাপটি। ব্যবসায়ী আর বিভিন্ন গ্রুপের কাছে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত নেটওয়ার্কের জন্যে হোয়াটস্অ্যাপ তুমুল জনপ্রিয়।
উইচ্যাট
উইচ্যাটও একটি মেসেজিং সোশ্যাল অ্যাপ যাতে রয়েছে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটস্অ্যাপের প্রায় সকল ফিচার। এটি শুধু মেসেজ আদান-প্রদান ও অডিও ভিডিও কল করার জন্যেই ব্যবহার করা হয় না। বরং, এই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অ্যাপ দিয়ে অনলাইনে কেনা-কাটা করা যায়, পেমেন্ট নেয়া যায়, পেমেন্ট দেয়া যায়। এমনকি এই মেসেজিং অ্যাপ দিয়ে হোটেল বুকিংও দেয়া যায়, ভাড়া করা যায় ট্যাক্সি ক্যাবও।
টিক টক
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ আরো অনেক সোশ্যাল অ্যাপকেই এক ধাক্কায় অনেকখানি কাঁপিয়ে দেয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস্ এটি। এটি এমন একটি ভিডিও ক্রিয়েটিং অ্যাপ যেখানে ইউজাররা ভিডিও রেকর্ড করতে পারে, মিউজিক যুক্ত করতে পারে এবং নানা অ্যাঙ্গেল থেকেই ভিডিও এডিট করতে পারে। অনলাইনের ফানি ভিডিওগুলোর একটা বিশাল অংশই টিক টক দিয়ে বানানো।
ভাইবার
এটি প্রায় সকল মেসেজিং অ্যাপের মতোই যেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কানেকটেড হয়ে কথার আদান-প্রদান করা যায়, কলিং করা যায়। একই সাথে, এই অ্যাপেও ব্যসায়িক প্রচার-প্রসারের সুবিধা আছে।
স্ন্যাপচ্যাট
ফটো এবং ভিডিও শেয়ারিং এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপটিও দারুণ জনপ্রিয়।
ক্রিল্লো
সোশ্যাল মিডিয়া ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্টের জন্যে মজার মজার ছবি ও অ্যানিমেশন তৈরির একটি দারুণ অ্যাপ ক্রিল্লো।
ফাইন্ড মাই ফ্রেন্ডস্
যে কোন লোকেশনে থাকা পুরনো বন্ধুদের খুঁজে বের করতে দারুণ একটি অ্যাপ ফাইন্ড মাই ফ্রেন্ডস্।
আশা করি, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস্ নিয়ে লেখা এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এগুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং ব্যবহার করে দেখুন কেমন লাগে এবং আমাদের সেটি জানান। আর আপনি যদি আপনার ভাল লেগে যায়, তবে বন্ধুদের সঙ্গেও শেয়ার করে সেই অ্যাপটি তাদের ব্যবহার করতে বলনু।
Leave a Reply