ভিডিও এডিট বর্তমান সময়ের জন্য দারুন একটি জনপ্রিয় পেশা হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। পেশা হোক কিংবা না হোক ভিডিও তৈরি এবং সেই ভিডিও এডিট এখনকার সময়ে খুবই জনপ্রিয়। কারণ, যে কোনো ভিডিও বানানোর পর তা দর্শকদের মধ্যে উপস্থাপনের আগে আরও বেশি চকচকে ও ঝকঝকে করে তোলে ভিডিও এডিটিং।
ভিডিও এডিটের জন্য একটি ভিডিও এডিটিং ল্যাপটপ আপনার কাজকে আরও বেশি সহজ করে তুলবে। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে এডিটিং সফটওয়্যারগুলো আগের চেয়ে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। সেই কারণে দারুন সব এডিটিং এর জন্য প্রয়োজন দারুন সব ভিডিও এডিটর।
ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে যারা অবগত আছেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন এর জন্য ভাল মানের কম্পিউটার দরকার। বেশিরভাগ ভিডিও এডিটর ডেস্কটপে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ল্যাপটপে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তাদের জন্যে প্রয়োজন এমন ল্যাপটপ যা ভিডিও এডিটিংয়ে সহায়ক।
ভিডিও এডিটিং ল্যাপটপ
এমন কিছু অসাধারণ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো যেনতেন ল্যাপটপে ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরণের সফটওয়্যার বেশ ভারী আর এগুলোর জন্যে প্রয়োজন হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ। এ ধরণের ল্যাপটপ নিয়ে আপনি খুব সহজেই দারুন সব ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটের জন্য এমন কিছু ল্যাপটপ রয়েছে যার কনফিগারেশনের সাথে আপনি পাওয়ারফুল ভিডিও এডিটর ব্যবহার করতে পারবেন এবং দারুন ভিডিও এডিট করতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেরা কিছু ভিডিও এডিটিং ল্যাপটপ সম্পর্কে।
১. MacBook Pro
উদ্ভাবনী টাচ BarMassive ট্র্যাকপ্যাড লাইট, পাতলা এবং পোর্টেবল ব্যাটারির এই ল্যাপটপটি অ্যাপল কর্তৃক উদ্ভাবিত। ইন্টেল কোর i7 এর প্রসেসর, 16 গিগাবাইটের র্যাম সাথে রেডন প্রো এর গ্রাফিক্স কার্ড ল্যাপটপটিকে আরও বেশি পাওয়ারফুল হিসাবে তুলে ধরেছে।
ডিসপ্লে হিসাবে এই ল্যাপটপটির রয়েছে 15.4-ইঞ্চি রেটিনা ডিসপ্লে (2880×1800)। 128 গিগাবাইট – 256 গিগাবাইট পর্যন্ত সলিড-স্টেট ড্রাইভ সমন্বিত ল্যাপটপটি দিয়ে খুব দ্রুততার সাথে যে কোনো ধরণের ভিডিও এডিট করা সম্ভব।
২. Dell XPS 15
ভিডিও এডিটিং এর জন্য আরও একটি দারুন ল্যাপটপ এটি যাতে ইন্টেল কোর i5 এবং i7 দুই ধরণের প্রসেসরেই রয়েছে। 4K 3840×2160 রেজ্যুলেশনের ইনফিনিটি এডজ ডিসপ্লে আপনার ভিডিও এডিটিংএ আরও বেশি সাহায্য করবে।
এই ল্যাপটপে গ্রাফিক্স হিসাবে আপনি পাবেন NVIDIA GeForce GTX 1050। র্যাম পাবেন 8 গিগাবাইট – 16 গিগাবাইট। ডিসপ্লে স্ক্রিন হলো 15.6 ইঞ্চি FHD (1920×1080) – 4K আল্ট্রা এইচডি (3840×2160) এবং 256 গিগাবাইট – 1TB এসএসডি বা 1TB HDD রয়েছে এর স্টোরেজ হিসাবে। অর্থাৎ ভিডিও এডিটিং ল্যাপটপ হিসাবে একে হাই চয়েজের মধ্যে রাখা যায়।
৩. Huawei MateBook X Pro
এই ল্যাপটপটির নজরকাড়া ডিজাইন প্রথমেই আপনাকে মুগ্ধ করবে। 8th জেনারেশনের ইন্টেল চিপ, 512 গিগাবাইট এসএসডি এবং 16 গিগাবাইট র্যাম দিয়ে আপনি হজেই যে কোনো হেভিওয়েট ভিডিও ফাইল এডিটের কাজ করতে পারবেন।
ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স 620 পাবেন গ্রাফিক্স হিসাবে। তাছাড়াও 3.9 ইঞ্চি 3K (3,000 x 2,080) ডিসপ্লে এবং 512 গিগাবাইট এসএসডি স্টোরেজ পাওয়া যাবে এই ল্যাপটপটিতে।
৪. Microsoft Surface Book 2
ভিডিও এডিটের জন্য সেরা উইন্ডোজ ল্যাপটপ হিসাবে এই ল্যাপটপটি জায়গা করে নিয়েছে। ইন্টেল কোর i7 এই ল্যাপটপটিতে আপনি গ্রাফিক্স হিসাবে পাবেন ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স 620। 16 গিগাবাইট র্যাম যেকোনো পাওয়ারফুল ভিডিও এডিটরও সাপোর্টে রাখবে কার্যকরী ভুমিকা।
তাছাড়াও 15 ইঞ্চি পিক্সেলসেন্স (3240×2160) এবং 256 গিগাবাইট – 1TB এসএসডি থাকবে এই মডেলের ল্যাপটপে।
৫. MacBook Air
অ্যাপেলের আরও একটি দারুন ভিডিও এডিটর ল্যাপটপ এটি। ইন্টেল কোর i5 প্রসেসরের ল্যাপটপটিতে আপনি পাচ্ছেন ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স 6000। 8 গিগাবাইট র্যাম, 13-ইঞ্চি (1440×9000) ডিসপ্লে এবং 128 গিগাবাইট – 256 গিগাবাইট এসএসডি স্টোরেজ।
এছাড়াও এতে আরও রয়েছে দুটি ইউএসবি 3.0 পোর্ট, থান্ডারবোল্ট 2 এবং একটি পূর্ণ আকারের এসডি কার্ড স্লট যা অন্যান্য ম্যাকবুকগুলোর চেয়ে সর্বাধিক বেশি পোর্ট। সুপার স্লিম ল্যাপটপটি ভিডিও এডিটিং ল্যাপটপ হিসাবে দারুন কাজ করবে।
মুভি, ড্রামা, কার্টুন কিংবা ভিডিও রিলেটেড যাই হোক না কেন, তা এডিট ছাড়া আসলেই আকর্ষণীয় হয় না। তাই কোন ভিডিওকে আকর্ষণীয় করার জন্য এডিট মাস্ট। তার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন ভালো মানের এবং হাই কনফিগার ল্যাপটপ।
কারণ এডিট করার সময় অবশ্যই স্মুথলি কাজ করতে হয়। বাফারিং কিংবা হ্যাং হলে হয় না। তাই ভালো মানের ভিডিও এডিটিং ল্যাপটপ হিসাবে এই ল্যাপটপগুলো আপনার তালিকায় রাখতেই পারেন। আর বেঁছে নিতে পারেন নিজের পছন্দেরটি।
Leave a Reply