শাওমি মূলত স্মার্টফোন কোম্পানী হলেও, বিভিন্ন ধরণের মোবাইল এক্সেসরিজের জন্যেও এটি বেশ নামকরা। বিশেষ করে শাওমির পাওয়ার ব্যাংকগুলো মোবাইল গ্রাহকদের মনোযোগ কেড়েছে ভালভাবেই। পাওয়ার ব্যাংকের তালিকায় নতুন সংযোজিত শাওমি এমআই পাওয়ার ব্যাংক ২০০০ এমএএইচ দখল করে নিয়েছে প্রায় পুরোটা মার্কেট।
২০০০ এমএএইচ এর বিপুল ব্যাটারি পাওয়ার নিয়ে মার্কেটে আসা এই পাওয়ার ব্যাংকটি বাংলাদেশে ২৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন অনলাইনের ব্যবসা পলিসির কারণে দামটা একটু এদিক-ওদিক হতে পারে।
শাওমি এমআই পাওয়ার ব্যাংক ২০০০ এমএএইচ স্পেসিফিকেশন
- ব্যাটারি ক্যাপাসিটি – ২০০০ এমএএইচ ৩.৮ ভি (৭৭ ডব্লিউএইচ)
- ব্যাটারি কোর: পলিমার
- ইন্টারফেস: মাইক্রো ইউএসবি (ইনফুট), ইউএসবি (আইটপুট)
- সাইজ: ১৩৫.৫ x ৬৭.৬ x ২৩.৯ এমএম
- ওজন: ৪০০ গ্রাম
বডি ডিজাইন: গ্রীপ উন্নয়নের জন্য পাওয়ার ব্যাংকটি এবিসি প্লাস্টিক দিয়ে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। অ্যানোডাইজড্ অ্যালুমিনিয়াম কেসিংয়ে মোড়া সাদা রঙের এই পাওয়ার ব্যাংকটির বডির ফিনিশিং দারুণ। তবে কেসিংটি সাধারণ অ্যালুমিনিয়ামের মত পিচ্ছিল নয়। আর এতে রয়েছে স্ক্রেচ প্রটেকশন, যার মানে যত ঘষাই লাগুক না কেন, এর ওপর কোন দাগ পড়বে না।
চার্জিং: প্যানাসনিক এবং এলজি’র মত ৬টি হাই-ডেনসিটি ব্যাটারির সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে শাওমি এমআই পাওয়ার ব্যাংক। আর এতে রয়েছে দু’টি ইউএসবি পোর্ট যা একই সাথে দুটি ডিভাইস চার্জিং সুবিধা দিচ্ছে। আর এই পোর্টগুলোতে রয়েছে ৫.১ বোল্টস্ ও ৩.৬ এএমপিএস এর সমন্বয়। প্রতিটি পোর্টই ২.১ এএমপিএস এ আউটপুট দিতে পারে।
পাওয়া ব্যাংকটিতে ৪টি লেড ক্যাপাসিটি ইন্ডিকেটর রয়েছে। চার্জ করার জন্যে প্লাগ-ইন করলেই পাওয়ার ব্যাংকটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ইন্ডিকেটরগুলো চালু করে দেয়। আর চার্জিং শেষ হয়ে গেলে একইভাবে ইন্ডিকেটরগুলো বন্ধ করে দেয়।
শাওমি এমআই পাওয়ার ব্যাংকে ৯ লেয়ারের সার্কিট চিপ প্রটেকশন রয়েছে। যা সার্কিট শর্ট থেকে এটিকে রক্ষা করে এবং ইলেকট্রিসিটির ইনফুট ও আউটপুট ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করে।
২০০০ এমএএইচ এর এই পাওয়ার ব্যাংকটি হতে পারে আপনার পাওয়ারফুল চয়েজ। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এই পাওয়ার ব্যাংকটির প্রচুর পরিমাণে পজিটিভ রিভিউ পাওয়া গিয়েছে ইউজারদের কাছ থেকে। আপনিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন বিপুল ব্যাকআপের এই পাওয়ার ব্যাংকটি।
Leave a Reply