একটি ছেলেকে যদি আপনি মনে মনে পছন্দ করে থাকেন এবং ছেলেটি যদি আপনার অপরিচিত কেউ হয়ে থাকে, তাহলে সে এখনো সিঙ্গেল কিনা এটা জানাই হয়তো আপনার জন্য সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর একটি ব্যাপার। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি সম্পর্কে জানা অনেকটাই সহজ হলেও, ছেলেদের রিলেশনশীপ এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা একটু কষ্টকর।
সাধারণত নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে ছেলেরা খুব বেশি আলোচনা করে না বা খোলামেলাভাবে কথা বলতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না। এ কারণে একান্তই কাছের মানুষরাও অনেক ক্ষেত্রেই একটি ছেলের কারো সাথে সম্পর্ক রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে অবগত থাকেন না।
একটি ছেলের যদি আগে থেকেই কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই সে সম্পর্কের মাঝখানে না আসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিন্তু সঠিক তথ্য জানার আগেই শুধুমাত্র অনুমানের উপর নির্ভর করে কাউকে হাতছাড়া করাটাও ঠিক নয়।
তাই কাউকে পছন্দ হলে তাকে আগে ভালোভাবে পরখ করে নিন। যদি বুঝতে পারেন যে সে এখনো সিঙ্গেল, তবে অবশ্যই তাকে আপনার মনের কথাগুলো জানিয়ে দিন। কি ভাবছেন? কিভাবে বুঝবেন যে সে এখনো সিঙ্গেল কি না? চলুন জেনে নিই।
কথা বলা:
ছেলেরা কথা বলার সময় স্বাভাবিক ভাবেই খোলামেলাভাবে কোন কিছু গোপন না করে কথা বলতে ভালোবাসে। সে যদি আপনার সামনে সরাসরি ব্যক্ত না’ও করে, তবুও তার যদি কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার কথাবার্তায় এটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
খেয়াল করে দেখুন যে সে যখনই খুব নিকট কোন অতীতের ভালো কোন সময়ের গল্প করে তখন “আমরা” বা “আমাদের” এ ধরনের সর্বনামগুলি ব্যবহার করে কি না। যদি করে, তবে আপনি ভেবে নিতেই পারেন যে, সে যে ছবিটি মনে করে আপনার সাথে গল্প করছে, সেখানে একটি মেয়েও আছে।
এরকম আরো একটি লক্ষণ হলো, যদি আপনি তার সাথে ফার্ট করলে সে তার প্রতিউত্তর না করে, তাহলে বুঝতে হবে যে ছেলেটি আপনাকে পছন্দ করছে না বা তার একজন গার্লফ্রেন্ড আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে উভয়টিই হতে পারে। ব্যতিক্রম হলো কিছু কিছু ছেলে আছে, যাদের গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্বেও অন্যান্য মেয়েদের সাথে তারা ফার্টিং করে থাকে, আবার কিছু কিছু ছেলে এতটাই লাজুক হয় যে, তারা এসব বিষয়গুলি এড়িয়ে চলতে ভালোবাসে।
শারিরীক ঘনিষ্ঠতা:
ছেলেরা স্বভাবতই কোন মেয়ের পাশে বসতে বা আলিঙ্গন করতে কখনো দ্বিধাগ্রস্থ হয় না। কিন্তু যাদের অন্য কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, তারা ওই সম্পর্কটিকে সম্মান দেখানোর জন্য এ-সব জিনিস থেকে নিজেদের দূরে রাখতে বেশি পছন্দ করেন। যদি সে শুধুই তার ছেলে বন্ধুদের বা নিকট আত্মীদের সাথেই করমর্দন বা আলিঙ্গন করে এবং আপনার বা অন্য কোন মেয়েদের সাথে এটি করা থেকে বিরত থাকে, তাহলে মোটামুটিভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব যে, তার হৃদয় জুড়ে অন্য কেউ বসবাস করছে।
এছাড়াও, ছেলেরা সব সময় নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে মুক্ত রাখতে চায়। যদি দেখেন যে, সে আপনার বা অন্য কোন মেয়ের সাথে একা আলাপ করার সুযোগ থাকা সত্বেও সেটি কাজে না লাগিয়ে সবার সাথে এক সাথে কথা বলাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে, তাহলে আমার মনে হয় ছেলেটির অন্য কোন মেয়ের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আর সন্দেহ থাকার কথা নয়।
পরিচয় বিনিময়:
একজন ছেলে তার ভালোবাসার সবটুকু আবেগ শুধু তার ভালোবাসার মানুষের জন্যই প্রকাশ করার জন্য সংরক্ষণ করে। আপনি যদি তার কাছে সেই ব্যক্তিটি না হয়ে থাকেন, তাহলে তার অন্যান্য বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময়ও সে আপনার সাথে তাদের মতই ব্যবহার করবে।
আর যদি সেটি না হয় অর্থাৎ সে যদি আপনাকে তার অন্যান্য বন্ধুদের চাইতে একটু আলাদাভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করে বা সবাইকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করে যে আপনি বিশেষ কোন ব্যক্তি, তাহলে হয়তো আপনি যাকে পছন্দ করেন, সেও আপনাকে ইশারায় সেটিই বোঝাতে চাইছে।
সাধারণত প্রেমিক প্রেমিকারা ছুটির দিনগুলিতে একসাথে সময় কাটাতে ভালোবাসে। আপনি ছুটির দিনগুলিতে তার সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব করুন। যদি কয়েক দফা চেষ্টা করার পরেও আপনি তাকে রাজি করাতে ব্যর্থ হন, তাহলে বুঝবেন দিনটি তার প্রিয়জনের জন্যই বরাদ্ধ।
আচার ব্যবহার:
আপনি যদি নিশ্চিত হতে চান যে আপনি যার সম্পর্কে আগ্রহী সে অন্য কারো সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিনা, তাহলে তাকে সর্তকতার সাথে পর্যবেক্ষণ করুন। তার ফোনে আপনার নাম্বারটি যদি অন্য কোন নামে সংরক্ষণ থাকে, তাহলে প্রাথমিকভাবে ধরে নিতে পারেন, তার গার্লফ্রেন্ড আছে যে কিনা মাঝে মধ্যেই তার ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করে।
আবার তার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর যদি সে পরিষ্কারভাবে দিতে ব্যর্থ হয় বা সে সচরাচর কোথায় থাকে, কি করে এমনকি আপনার যদি তাকে যখন খুশি ফোন করার মত স্বাধীনতা সে দিতে না পারে, তাহলে বুঝতে হবে ছেলেটি অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে।
সময়ের ব্যবহার:
সাধারণত ছেলেরা তাদের অবসর সময়টুকু তাদের প্রিয় মানুষটির সাথেই কাটাতে বেশি পছন্দ করে। যদি দেখা যায় যে, কোন ছেলে এই সময়টুকু আপনার সাথে বা তার অন্য বন্ধুদের সাথে বেশি কাটাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে যে হয়তো সে অন্য কারো প্রতি দায়বদ্ধ নয়।
যদি আপনি তাকে কোন সন্ধ্যায় বা ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব করেন এবং সে যদি ঐ সময়ে কোন কাজের অজুহাত না দেখিয়ে রাজি হয়ে যায়, তাহলে ছেলেটির সিঙ্গেল থাকার সম্ভাবণা অনেকটাই বেড়ে যায়।
সোস্যাল মিডিয়া:
ছেলেদের গার্লফ্রেন্ড সম্পর্কে জানার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো ছেলেটির সোস্যাল মিডিয়া একাউন্ট। স্বভাবতই ছেলেরা তাদের গার্লফ্রেন্ডের সাথে কাটানো সময়ের ছবি খুব আগ্রহের সাথেই সোস্যাল মিডিয়াতে পোষ্ট করে থাকে এবং তার অন্যান্য বন্ধুরাও তাদের জুটির প্রশংসা করতে পিছুপা হয় নয়। তাই আপনি যার সম্পর্কে জানতে চান অবশ্যই তার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও টুইটার প্রোফাইল ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখুন।
একটি মেয়ে যদি কোন ছেলেকে মনে মনে পছন্দ করে থাকে, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের লাজুক স্বভাবের কারণে সে তার মনের কথা বলতে দ্বিধা বোধ করে। আর বর্তমান সময়ে কম বেশি সব ছেলেদেরই কোন না কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক থেকেই থাকে।
অতিরিক্ত সর্তকতার জন্য সম্ভব হলে কোন বাহানায় ছেলেটির ফোন চেক করে দেখতে পারেন। এমন কোনও ছেলে এই সময়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার গার্লফ্রেন্ডের ছবি তার ফোনে থাকবে না। উপরের বিষয়গুলির প্রতি একটু সজাগ দৃষ্টি রাখলেই যে কোন ছেলে সিঙ্গেল কিনা সেটা জানা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
Leave a Reply