এই কামান সেই কামান না যে-ই কামানের কথা আমরা প্রায়ই তাচ্ছিল্যের সুরে বলে থাকি। এটা বিশ্বসেরা দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কামান, সুতরাং কার্য্যত এটিও প্রযুক্তি নির্ভর এবং অন্যান্য অনেক প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রের মতই শক্তিশালি হবে নিশ্চয়ই।
প্রযুক্তিবিদরা এ যাবৎ মশা তাড়ানোর অনেক অ্যাপ তৈরি করেছেন। বিশ্বব্যাপী মশার বংশ নির্বংশ করতে অনেক সামাজিক সংস্থাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করছে বহুদিন যাবৎ। গত বছরের জুলাই মাসে যৌথভাবে সেই আসরে যোগ দিয়েছে গুগল ও মাইক্রোসফট্।
জিকা ভাইরাস বাহিত মশা মারতে বিশেষ একটি অটোমেশন ও রোবোটিক যন্ত্র নির্মাণের জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত যন্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভেরিলির সঙ্গে এই দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী ক্যালিফোর্নিয়ার সেই লাইফ সায়েন্স প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই যন্ত্রটি তৈরি করে ফেলেছে। এখন চলছে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
যন্ত্রটি কাজ করছে একটা জালের মত। সুইচ অন করার পর ছোট একটি ডিভাইস থেকে বের হচ্ছে এই জাল, ছড়িয়ে পড়ছে নির্দিষ্ট অবস্থানের ভেতর আর আঁটকে ফেলছে আশে-পাশের সব মশা। খালি চোখে ঠিক মতো দেখা যায় না জালটি এবং এটি মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী ও জড় পর্দার্থকে ভেদ করে বিস্তৃত হতে পারে বহুদূর পর্যন্ত।
পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চূড়ান্ত সফল হিসেবে প্রমাণিত হলে শীঘ্রই যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হবে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন মাইক্রোসফট্ এর প্রধান প্রকৌশলী ইথান জ্যাকশন।
তবে, যন্ত্রটির প্রথম ব্যবহার চলবে অ্যামেরিকায়। ১০০ ডলারে সম্ভাব্য দাম নির্ধারণ করা হলেও কবে নাগাদ গুগল ও মাইক্রোসফট্ এর এই মশক নিধন যন্ত্রটি অন্যান্য দেশে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলেননি মাইক্রোসফট্ এর এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply