কোন্ মেয়েই না চাইবে যে তার বয়ফ্রেন্ডের কাছে আকর্ষণীয় হতে! কামনা করবে না যে কাছের মানুষটি তাকে আরো বেশি ভালোবাসুক! অনেককেই মনে করেন যে তার যদি রুপ না থাকে, তাহলে সে কারো নিকটই আকর্ষণীয় হিসেবে বিবেচিত হবে না। কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, সৌন্দর্য কখনোই শুধুমাত্র মুখমন্ডলের আকার বা শরীরের রং এর উপর নির্ভরশীল নয়।
আপনি যেহেতু জানতে চান, কোন জিনিসটি আপনার বয়ফ্রেন্ডের নিকট আপনাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে। তাই আপনাকে আগে থেকেই বলে রাখি যে, শুধুমাত্র পোশাক পরিচ্ছদ বা মেকআপই একটি মেয়েকে কখনোই তার বয়ফ্রেন্ডের নিকট আকর্ষনীয় হিসেবে তুলে ধরতে পারে না।
একটি জরিপে বেশ কিছু ছেলেদের এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় যে, ঠিক কোন সময়টিতে তার গার্লফ্রেন্ডকে তার কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল। বিশ্বাস করুন, অধিকাংশ ছেলের মতে যেভাবে একটি মেয়েকে পোশাক বা মেকআপ ছাড়াও আকর্ষণীয় বলে মনে হয়, তার মধ্যে অন্যান্য আরো অনেক বিষয় উঠে এসেছে।
তাই চলুন রহস্য ভেদ করে নেওয়া যাক, আপনার বয়ফ্রেন্ডের কাছে আপনাকে আকর্ষণীয় করে তোলার চমৎকার টিপসগুলি জেনে নেয়া যাক।
বয়ফ্রেন্ডের কাছে আকর্ষণীয় হবার উপায়
মেকআপ এর যথাযথ ব্যবহার:
ছেলেরা অতি সামান্য পরিমাণেই মেকআপ পছন্দ করে। বেশিরভাগ ছেলেদের কাছেই তাদের গার্লফ্রেন্ডকে মেকআপ করা সময়ের তুলনায় স্বাভাবিক অবস্থায় বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। তবে তার মানে এই নয় যে, আপনি কোনও ধরনের প্রসাধনীই ব্যবহার করতে পারবেন না।
এখানে একটি ছোট্ট কৌশল হলো, আপনি ঠিক ততটুকুই প্রসাধনী ব্যবহার করুন, যতটায় আপনাকে সুন্দর ও দেখতে স্বাভাবিক মনে হবে। মনে রাখবেন অতি মাত্রায় মেকআপ ব্যবহারকারী মেয়েদের অধিকাংশ ছেলেরাই এড়িয়ে যেতে পছন্দ করে।
নিজেকে যথাসম্ভব পরিপাটি রাখুন:
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সৌন্দর্যের পূর্বশর্ত। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন যে, আসলেই আপনি যেভাবে থাকতে অভ্যস্থ, তাতে আপনার নিজেকে কতটা পরিচ্ছন্ন বলে মনে হয়। ভেবে দেখুন যে, আপনি যদি নিজের কাছেই সুন্দর হিসেবে পরিগণিত না হন, তবে অন্য কেউ কেন আপনাকে সুন্দর ভাববে!
জরিপে অংশগ্রহণকারী অনেক ছেলের মতে, গোসলের পরবর্তী সময়ে তাদের গার্লফ্রেন্ডকে তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। এর কারণ হলো, এ সময় মেয়েরা সম্পূর্ণভাবে পরিচ্ছন্ন ও সতেজ থাকে।
আপনি যদি বিষয়টির গভীরতা বুঝতে সক্ষম হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই নিজেকে পরিপাটি রাখুন। হাত ও পায়ের নখ নিয়মিত কাটুন, প্রয়োজন অনুসারে ওয়াক্স ব্যবহার করতে পারেন।
একবার এভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন, দেখবেন কিছু সময়ের মধ্যে আপনার নিজের কাছেই নিজেকে আকর্ষণীয় বলে মনে হতে শুরু করবে।
আপনার ব্যবহারের প্রতি লক্ষ্য রাখুন:
একজন মানুষ শুধু তার বয়ফ্রেন্ডের নিকটই নয়, বরং সমাজের সবার কাছে নিজের ব্যক্তিত্বের কারণে আকর্ষণীয় কিংবা বিরক্তিকর হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই আপনার বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিজেকে একজন আদর্শ ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া আপনার দৈনন্দিন কাজের কোনগুলি আপনার বয়ফ্রেন্ডের ভালো লাগে এবং কোনগুলিতে যে বিরক্ত হয় সেটি সম্পর্কেও আপনাকে অবগত থাকতে হবে।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, সাধারণভাবেই মেয়েরা দিনের বেশ কিছু সময় অবসর সময় হিসেবে উপভোগ করে। এ সময়ে বেশ কিছু মেয়েদের মধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটগুলিতে সময় কাটাতে দেখা যায়। এই ব্যাপারটি অনেক ছেলের কাছেই ভালো কোন অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয় না।
আপনার বয়ফ্রেন্ডের যদি সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের ব্যাপারে কোন আপত্তি থেকে না থাকে, তাহলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি তার কাছে এ ধরনের যে বিষয়গুলি বিরক্তিকর হয়, তা থেকে নিজেকে দুরে রাখার ফলে আপনি তার নিকট অনেক বেশি সমাদৃত ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন।
আপনার বয়ফ্রেন্ডকে সারপ্রাইজ দিন:
ছেলেদের কাছে সারপ্রাইজ অনেক বড় একটি পাওয়া হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে ছেলেরা নিজেদেরকে বিশেষ একজন হিসেবে ভাবতে শুরু করে। আর যেই মানুষটি তার জন্য এ ধরনের প্রয়াস করেন, তিনি ওই ছেলেটির কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হিসেবে বিবেচিত হন। আপনি চাইলে হঠাৎ করেই একদিন আপনার বয়ফ্রেন্ডের পছন্দের কিছু খাবার রান্না করতে পারেন বা তার জন্মদিনে তাকে একটি সারপ্রাইজ পার্টি দিতে পারেন।
এর জন্য অবশ্যই আপনার বয়ফ্রেন্ড সম্পর্কে আপনার নিকট যথেষ্ট তথ্য থাকতে হবে। তবে সমস্যা নেই, আপনি চাইলেই তার ফেসবুক বা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে তার অনেক পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কেই জানতে পারবেন। এছাড়া আপনার যদি তার পরিবারের সমাব সাথে ভালো সম্পর্ক থেকে থাকে, তাহলে পরিবারের সদস্য বা তার অন্যান্য বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।
আপনার পক্ষে যদি সম্ভব হয়, তাহলে চেষ্টা করুন আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে বিশেষ কিছু মুহুর্ত অতিবাহিত করতে। একদিন দু’জনে একসাথে কোন মুভি দেখতে চলে যান। অথবা দূরে কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসুন। এসময় আপনাদের সম্পর্কের পূর্ববর্তীয় বিভিন্ন আনন্দময় সময় নিয়ে একে অপরের সাথে কথা বলুন।
আপনার একে অপরকে কতটা ভালোবাসেন, এটি ব্যক্ত করতে কতটা ভালোবাসেন তা ব্যক্ত করতে কখনো সংকোচ বোধ করবেন না। সম্পর্কের একটা পর্যায়ে অনেক মেয়েরাই তাদের সঙ্গীকে “আমি তোমাকে ভালোবাসি” এধরনের কথা আর বলেন না। আপনার জানা উচিত যে, ভালোবাসা অভিব্যক্তি বা প্রকাশ করা ছেলেদের নিকট খুবই পছন্দনীয়।
তাই, মাঝে মাঝেই যখন একসাথে সময় উপভোগ করবেন না, ফোনে কথা বলবেন, তখন আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন তা বলুন। এধরনের কাজগুলিই আপনাকে আপনার বয়ফ্রেন্ডের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলবে, করে তুলবে আরো বেশি আপন।
নাগরিক ডট নিউজ says
বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ভালো লেখা, নিজেকে বয়ফ্রেন্ডের কাছে আরো আকর্ষনীয় করার উপায়গুলো ইফেক্টিভ বলে মনে হচ্ছে।
জেসিকা জেসমিন says
ধন্যবাদ, নাগরিক ডট নিউজ।
techshouts says
উপায়গুলো উপকারি। বয়ফ্রেন্ড হোক আর গার্লফ্রেন্ড হোক, উভয়কেই আসলে একে অপরের কাছে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা উচিৎ। এমনকি, অন্যান্যদের কাছে আকর্ষণীয় বা স্মার্ট থাকা চাই।