বিটকয়েন! বিটকয়েন! বিটকয়েন! আমরা সবাই ই কমবেশি বিটকয়েনের সাথে পরিচিত। বিটকয়েন আয় করার আগ্রহ আমাদের সবারই কম বেশি রয়েছে। কিন্তু কিভাবে আয় করবো? আর আয় করবোই যখন তখন কিভাবে হাতে পাবো? আজকে আমরা শুধুমাত্র বিটকয়েন আয় করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের আলোচনা করবো।
এছাড়াও, মুনতাকিমুল আবেদীন – এর লেখা বিটকয়েন নিয়ে ১০টি অদ্ভূত তথ্য জেনে নিন। পোস্টটিতে বিটকয়েন সম্বন্ধে কিছু ব্যতিক্রমী তথ্য পাবেন। এছাড়া, ওমর ফারুক ভাইয়ের লেখা বিট কয়েন আয় করার ৫টি উপায় জেনে নিতে পারেন। দুইটি লেখাই আপনাকে বিট কয়েন সম্পর্কে ভাল সাহায্য করবে।
বিটকয়েন আয় বা বিটকয়েন মাইনিং
বিটকয়েন আয়ের পদ্ধতিকে বলা হয় বিটকয়েন মাইনিং। বিটকয়েন মাইনিং হয় একটি সাফটওয়্যারের মাধ্যমে। কিন্তু এই বিটকয়েন আয় করার জন্য আপনার ইনভেস্টমেন্ট খুব উঁচু হতে হবে। মানে আপনাকে প্রথমেই ব্যয় করতে হবে অন্তত ২/৩ লাখ টাকা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কেনো শুধু শুধু না জেনে এত টাকা খরচা করবো? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য নয়। আমাদের দেশের এমন অনেক লোক রয়েছে, যারা দিনের পর দিন বিটকয়েন মাইনিং করে যাচ্ছে এবং প্রচুর অর্থ উপার্জণও করছে। তবে হ্যা, তারা কেউই প্রকাশ্যে তা রটিয়ে বেড়ায় না। বিটকয়েন মাইনিং এখন পর্যন্ত সিক্রেট বিষয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও বিটকয়েন মাইনিং করি বৈকি!
বিটকয়েন মাইনিং জিনিসটা শুনতে যতটা মধুর ততটাই ব্যয়বহুল এর কাজ। প্রথমেই বলেছিলাম, আজকে আমরা বিটকয়েন আয় করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের আলোচনা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিটকয়েন আয় করার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সম্পর্কে।
মাইনিং উপযোগী কম্পিউটার সেট-আপ
বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ভালোমানের পিসি সেটাপ করতে হবে। যেমন তেমন কম্পিউটার হলে হবে না। যারা ল্যাপটপ দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং এর চিন্তা করছেন, তারা বিটকয়েন আয় করার চিন্তা ছেড়ে দেন। বিটকয়েন মাইনিং এর জন্য আপনার কম্পিউটারকে সারাদিনই চালু রাখতে হবে।
যেহেতু একটি কম্পিউটার সারাদিন অন থাকবে এবং কাজ চলবে, সেহেতু কম্পিউটারকে অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে। একটি মাইনিং পিসি সেটাপের প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলো:
- ভালো একটি মেইনবোর্ড (২/৪টি গ্রাফিক্স কার্ডের পোর্ট থাকতে হবে)
- ভালো একটি প্রসেসর ( কোর আই ফাইভ/কোর আই সেভেন লেটেস্ট জেনারেশন)
- ৮/১৬ জিবি র্যাম
- ভালোমানের গ্রাফিক্স কার্ড (২৫/৩০ হাজার টাকার)
- এসএসডি ৫০০ জিবি/১ টেরাবাইট
- ১,০০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই।
প্রয়োজনীর যন্ত্রাংশের দাম
যন্ত্রাংশের দাম জায়গা ভেদে আলাদা হতে পারে। তবে সম্ভাব্য দাম এখানে দেওয়া হলো।
- মেইনবোর্ড – ২০/২৫ হাজার টাকা
- প্রসেসর কোর আই ফাইভ/সেভেন – ২২/৩১ হাজার টাকা
- র্যাম ৮/১৬ জিবি – ৭/১৮ হাজার টাকা
- গ্রাফিক্স কার্ড – ৩০ হাজার টাকার ২/৪টি
- এসএসডি – ১৩/২৫ হাজার টাকা
- পাওয়ার সাপ্লাই – ২০/২৫ হাজার টাকার।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, ২/৩ লাখ টাকা খরচ করে কি আদৌ ইনকাম হবে? উত্তর: হ্যা অবশ্যই হবে। ১ দিনে এই কনফিগারেশনের কম্পিউটার থেকে আপনি ১৬/১৮ ডলার পেতে পারেন।
- ১ ডলার সমান কত টাকা তা দেখতে USD to BDT লিংকটিতে ক্লিক করে বর্তমান রেট জেনে নিতে পারেন।
- ১ ডলার – ১ × বর্তমান ইউএসডি রেট।
- মনে করেন ১৬ ডলার – ১৬ × ৮৩ = ১,৩২৮ টাকা ১ দিনের ইনকাম।
- ১ মাসে – ১,৩২৮ × ৩০ = ৩৯,৮৪০ টাকা ইনকাম।
তাহলে বুঝতেই পারছেন, বিটকয়েন থেকে ঘরে বসে কেমন ধরনের ইনকাম সম্ভব। তবে আপনার যদি ভালোমানের ৩/৪টি গ্রাফিক্স কার্ড থাকে, তবে দিনেই ২৫/৩০ ডলার ইনকাম সম্ভব। তবে এটি বেশ ব্যয়বহুল। সুতরাং, যারা বিটকয়েন আয় করার কথা ভাবছেন, তাদের এই ধরনের ইনভেস্টের সামর্থ না থাকলে এই কাজ না করাই ভালো।
Sharif says
বিট কয়েন নিয়ে বিশদ আলোচনার এই পোস্টটি আমার খুবই ভাল লেগেছে। যারা এই কয়েন থেকে আয় করতে চান, তাদের জন্যে এই লেখাটি একটি দারুণ গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে।
Ismail says
Mr. Sharif, give your phone number.