ওয়েব ডিজাইন থেকে আয় করার নানা রকম উপায় রয়েছে। আপনি যদি একজন এক্সপার্ট ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তবে উপায়গুলো ব্যবহার করে অনলাইন কিংবা অফলাইনে আয় করতে পারেন। আর যদি আপনি এখনো শিক্ষাণবিশ হয়ে থাকেন, তবুও আপনার জন্যে আয়ের পথ খোলা রয়েছে।
অর্থাৎ, আপনি শিখতে শিখতে আয় করবেন কিংবা আয় করতে করতেই শিখবেন। যারা এখনো কিছুই পারেন না, জাস্ট শেখার কথা ভাবছেন এবং ঘাঁটাঘাটি করে দেখছেন, তাদের জন্যে মাত্র ১ মাসে ওয়েব ডিজাইন শেখার ১০ উপায় রয়েছে। চেষ্টা করে দেখতে পারেন, তবে নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন নেই যে এক মাসেই এক্সপার্ট হয়ে যাবেন।
আসলে, ওয়েব ডিজাইনসহ যে কোনও কাজেই এক্সপার্ট হতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন। যারা সব সময়ই নিত্য নতুন ডিজাইন শেখার মধ্যে থাকেন, তারাই ওয়েব ডিজাইনে সফল হয়ে থাকেন। আর যারা সফল, তাদের কাজও অনেক, আয়ের পথও অনেক। আসুন, সে পথগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক-
ওয়েব ডিজাইন থেকে আয় করার উপায়
১. ডিজাইন অ্যাজেন্সীতে চাকরির মাধ্যমে আয়
আমাদের দেশে প্রচুর ডিজাইন অ্যাজেন্সী রয়েছে যারা নিয়মিত দেশের এবং বাইরের ক্লায়েন্টদের কাজ করে থাকে। আপনি এ রকম কোন অ্যাজেন্সীতে চাকরি করতে পারেন এবং একটা নির্দিষ্ট্য পরিমাণ সেলারি ড্র করতে পারেন।
একজন চাকরিরত ডিজাইনার হিসেবে আপনার খুব একটা প্রেশার নিতে হবে না। বিশেষ করে, ক্লায়েন্ট পাওয়া, ক্লায়েন্টের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখাসহ যাবতীয় কোন কাজেই আপনাকে ইনভলভ্ হতে হবে না। আপনার কাজ শুধু ভাল ডিজাইন করা। কোম্পানী যখন আপনাকে যে কাজটি দেবে, সেটিকে সুচারুরূপে সমাপ্ত করাই ডিজাইনার হিসেবে আপনার মূল দায়িত্ব।
ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে চাকরির সুবিধা-
- কোম্পানীর কাজ থাকুক আর না থাকুক, আপনার নিয়মিত বেতন বা আয় থাকবে।
- আপনার সময়ের পুরোটাই আপনি ডিজাইনিং এর পেছনে ব্যয় করতে পারবেন।
- চাকরির বাইরেও বিভিন্ন ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট বেইজড্ কাজ করতে পারবেন।
- ভাল না লাগলে চাকরি ছেড়ে দিতে পারবেন বা চাকরি বদল করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে চাকরির অসুবিধা-
- চাকরির জন্যে আপনাকে সব সময়ই অন্যের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
- ডিজাইনার হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থাকছে না।
- ডিজাইনের উপর আপনার নিজস্ব কন্ট্রোলিং থাকছে না।
২. প্রজেক্ট ডিজাইনার হিসেবে আয়
চাকরির পাশাপাশি আপনি অন্যদের প্রজেক্টে ডিজাইনার হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এতে আপনার ডাবল আয় হবে। একদিকে চাকরি থেকে বেতন পাবেন, অন্যদিকে প্রজেক্ট থেকেও বেতন পাবেন। বেশিরভাগ প্রজেক্ট বেতন ভিত্তিকই হয়ে থাকে।
আবার, আপনি চাইলে শুধু প্রজেক্টেই কাজ করতে পারেন যেটা অনেকটা চাকরির মতোই হবে। এমন অনেক ওয়েব ডিজাইনারই রয়েছেন যারা চাকরি করার পরিবর্তে কারো কোনও প্রজেক্টে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করে থাকেন। এ-রকম কাজ সাধারণত ডিজাইনার অ্যাজেন্সীগুলোই দিয়ে থাকে আর যারা করেন, তারা অনেকটা ইন হাউজ ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে থাকেন।
ব্যক্তিগত উদ্যোগেও প্রজেক্ট বেইজড্ কাজ করা যায়। যেমন ধরা যাক, আপনি একটি ফন্যান্সিয়াল কোম্পানীর ওয়েবসাইট তৈরির কাজ নিলেন এবং তাদের সাথে ওয়েবসাইটটি এক বছর দেখা-শুনার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হলেন। অথবা, এক বা দুই বছরের জন্যে একটি ই-কমার্স সাইটের দায়িত্ব পেলেন।
প্রজেক্ট ডিজাইনার হিসেবে আয়ের সুবিধা-
- চুক্তি ভিত্তিক মাসিক বেতন।
- প্রজেক্টের অন্যান্য মেম্বারদের সাথে সখ্যতা ও ডিজাইন কনসেপ্ট শেয়ার।
- একটা ডিজাইন প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু সম্পর্কে আইডিয়া।
প্রজেক্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার অসুবিধা-
- চাকরির মতো এখানেও পূর্ণ স্বাধীনতা নেই।
- নির্দিষ্ট পরিমাণের সেলারি, বাড়তি আয়ের সুযোগ নেই।
- চাকরি পাওয়া এবং চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্যে অন্যের উপর নির্ভরতা।
৩. ওয়েব ডিজাইনিং ফ্রি-ল্যান্সিং করে আয়
ওয়েব ডিজাইনিং থেকে আয় করার যত উপায় রয়েছে, তার মাঝে সর্বোত্তম উপায় হল ফ্রি-ল্যান্সিং। কারণ, এখানে আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করছে আপনার উপর। অর্থাৎ, চাইলেই আপনি নিজের আয় বাড়িয়ে নিতে পারেন যা ডিজাইন অ্যাজেন্সীতে চাকরি বা প্রজেক্ট বেইজড্ কাজে সম্ভব নয়। ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা কিছু ওয়েবসাইট থেকে যে কোনটিতে কিংবা একাধিক ওয়েবসাইটে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কাজ করতে পারেন।
একজন ফ্রি-ল্যান্স ওয়েব ডিজাইনার ঘন্টায় ১০ ডলার থেকে শুরু করে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন। আবার, যারা এখনো ফ্রি-ল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নিজের অবস্থান ততোটা শক্ত করতে পারেননি, তাদের অনেকেই ৫ থেকে ১০ ডলারেও কাজ করে থাকেন। অন্যদিকে, এমন অনেক এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা ঘন্টায় ১০০ ডলারের নিচে কাজই করেন না। এখন, যে যত বেশি ঘন্টা কাজ করবে, তার আয় ততই বেশি হবে।
ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে আপনি যখন চাকরি করবেন, তখন আপনার পুরো সময়টাই অ্যাজেন্সির জন্যে ব্যয় করে ফেলতে হবে। কিংবা যদি প্রজেক্ট বেইজড্ কাজও করেন, তবু আপনার মূল্যবান সময়টা প্রজেক্টের পেছনেই ব্যয় করতে হবে। কিন্তু ফ্রি-ল্যান্সিংয়ে আপনি একদিকে যেমন ক্লায়েন্টের জন্যে কাজ করবেন, অন্যদিকে নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্যে সময় ব্যয় করতে পারবেন।
এমনকি, আপনার সময়টা নতুন নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়ার পেছনেই ব্যয় হবে যেখানে আপনি মূলত আপনার আয় বৃদ্ধির পেছনেই সময় ব্যয় করছেন। সুতরাং, বুজতেই পারছেন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে চাকরির চেয়ে ফ্রি-ল্যান্সিং মাচ বেটার অপশন।
ওয়েব ডিজাইনিং ফ্রি-ল্যান্সিং এর সুবিধা-
- সময়ে ব্যাপারে আপনি সম্পূর্ণ স্বাধীন। নিজের সুবিধা মতো সময়ে কাজ করতে পারবেন।
- কার কাজ করবেন আর কার কাজ করবেন না, তার উপর রয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা।
- পার্ট টাইম কিংবা ফুল টাইম, যে কোনট বাছাই করে নিতে পারবেন।
- পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বসে কাজ করতে পারবেন।
- প্রজেক্টের উপরও রয়েছে পূর্ণ কন্ট্রোলিং।
- নানা ধরণের প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ।
ফ্রি-ল্যান্সিং ওয়েব ডিজাইনিং এর অসুবিধা-
- কখনো কখনো নতুন ক্লায়েন্ট খোঁজার মতো বিরক্তিকর অবস্থায় থাকতে হতে পারে।
- ডিজাইনিং ছাড়াও মার্কেটিং, ইন্টার পার্সোনাল রিলেশনশিপ এবং কমিউনিকেশনে দক্ষতা অর্জণের পেছনে সময় দিত হবে।
- চাকরির ক্ষেত্রে ঈদ বোনাস, হেলথ্ ইন্সুরেন্সসহ আরো কিছু সুবিধা থাকলেও ফ্রি-ল্যান্সিংয়ে সেগুলো নেই।
- ঘরে বসে একা একা কাজ করতে করতে অনেক সময় বিষন্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবণা থাকে।
৪. নিজের অ্যাজেন্সী খুলে আয়
আপনি যদি বিজনেস অ্যাসপক্টেস্ পছন্দ করেন, একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে আপনি নিজের একটি অ্যাজেন্সি খুলতে পারেন। একজন সলো ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ওয়েব ডিজাইনিং করার চেয়ে অনেককে সন্মিলিতভাবে ডিজাইন করার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
তবে, অ্যাজেন্সী খুলতে হলে আপনাকে ধীরে ধীরে আগাতে হবে। প্রথম দিকে ফ্রি-ল্যান্সিং দিয়েই শুরু করতে হবে এবং ক্রমান্বয়ে ক্লায়েন্ট বাড়াতে হবে। এক সময় যখন আপনার অনেক ক্লায়েন্ট হয়ে যাবে, আপনি সব ক্লায়েন্টের কাজ নেবার মতো সময়ও পাবেন, তখন আপনি অ্যাজেন্সী খুলে লোক নিয়োগ দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারেন। আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সারসহ সব মার্কেটপ্লেসেই অ্যাজেন্সী অ্যাকাউন্ট খোলার অপশন রয়েছে।
অ্যাজেন্সী খুলে আয়ের সুবিধা-
- চাকরি এবং ফ্রি-ল্যান্সিং উভয় থেকেই বেশি আয়ের নিশ্চয়তা।
- আপনি যে-সব প্রজেক্টে কাজ করবেন সেগুলোর উপর আপনার কন্ট্রোলিং থাকবে।
- নিজের বিজনেস বড় করার সুযোগ পাবেন।
অ্যাজেন্সী খোলার অসুবিধা-
- ফ্রি-ল্যান্সিং এ পূঁজির প্রয়োজন নেই, কিন্তু অ্যাজেন্সীতে পূঁজি লাগে।
- অন্যান্য ব্যবসার মতোই ডিজাইনিং অ্যাজেন্সী ব্যবসায় রিস্ক আছে।
- ব্যবসার পেছনে সময় দিতে গিয়ে ডিজাইনিং এর পেছনে বেশি সময় দিতে পারবেন না।
৫. ডিজাইনিং ব্লগ থেকে আয়
ওয়েব ডিজাইনিং থেকে আয় করার আরো একটি ভাল উপায় হচ্ছে নিজের একটি ডিজাইনিং ব্লগ চালু করা। ব্লগের মাধ্যমে আপনি একদিকে যেমন নিজের ডিজানিং সৃষ্টিশীলতা ছড়িয়ে দিতে পারবেন অন্যদের মাঝে, একইভাবে আপনি নিজের করা ডিজাইনকে প্রমোট করতে পারবেন।
এমনিক, কখনো কখনো ব্লগের মাধ্যমে নিজের ডিজাইন বিক্রিও করতে পারবেন। সেই সাথে, আপনার ডিজাইন দিয়ে মুগ্ধ করে কিছু ক্লায়েন্টও পাবেন যা আপনাকে ব্লগিং এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে সাহায্য করবে। একইভাবে, ব্লগের মাধ্যমে প্রমোট করে আপনি ডিজাইনিং অ্যাজেন্সিও খুলতে পারবেন। এছাড়াও, নিজের ব্লগ থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি নিজের ইচ্ছে মতো অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
ডিজাইনিং ব্লগ এর সুবিধা-
- ব্লগ করতে তেমন একটা খরচ নেই, কাজেই অনায়াসেই ব্লগিং করা যায়।
- গুগল অ্যাডসেন্সসহ আরো নানা মাধ্যম থেকে আয় করা যায়।
- নিজের ডিজাইনকে প্রমোট করা যায়।
- নিজের সুবিধাজনক সময়ে ব্লগিং করা যায়।
- ব্লগিং এ রয়েছে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা।
ডিজাইনিং ব্লগিং এর অসুবিধা-
- প্রথম ১ থেকে ২ বছর ব্লগিং থেকে আয় নাও হতে পারে।
- ব্লগিং এর পেছনে প্রচুর সময় দিতে হয় যা অন্যান্য সেক্টরে দিতে হয় না।
- ব্লগিং নিয়ে লেখা-লেখি করতে করতে নিজের ডিজাইনিং স্কিল বাড়ানোতে সময় পাওয়া যায় না।
- ফ্রি-ল্যান্সিং থেকে আয়ের পরিমাণ কম হতে পারে যদি ব্লগটিকে স্টাবলিস্ট করা না যায়।
৬. থিম ডিজাইন ও ডেভেলপ করে আয়
আপনি যদি ডিজাইন থেকে আজীবন বসে বসে আয় করতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই থিম ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের দিকে নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে, আপনাকে শুধু ওয়েব ডিজাইন জানলেই হবে না, পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্টেও দক্ষ হতে হবে। কারণ, থিম ডেভেলপমেন্ট করতে হলে এ দু’টিই জানতে হবে।
আমরা জানি, ডিজাইন দিয়ে একটি ওয়েবসাইটের লুকিং ঠিক করা হয় অর্থাৎ আউটলুক বা লে-আউট দাঁড় করানো হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটের ফাংশনালিটি ক্রিয়েট করতে হলে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রয়োজন। কাজেই, আপনি যদি থিম, বিশেষ করে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট করতে চান, তবে আপনাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্টও জানতে হবে।
পৃথিবীতে দুই বিলিয়নের বেশি ওয়েবসাইট রয়েছে। এর মাঝে অ্যাক্টিভ ওয়েবসাইটের সংখ্যা ৪শ মিলিয়নের মতো। অর্থাৎ, প্রতি মুহূর্তে ৪০ কোটি ওয়েবসাইট লাইভ থাকে। আপনি জেনে আরো আশ্চর্য্য হবেন যে, প্রতি মিনিটে ৩৮০টি ওয়েবসাইট লাইভ হয় অর্থাৎ অনলাইনে আসে। আর এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ওয়েবসাইটই তৈরি করা হয় ওয়ার্ডপ্রেসে।
সুতরাং, বুঝতেই পারছেন মার্কেটে কী পরিমাণ ওয়ার্ডপ্রেস থিমের চাহিদা রয়েছে। যতদিন দুনিয়াতে ইন্টারনেট থাকবে, ওয়েব থাকবে, ততদিন থিমের চাহিদাও থাকবে; কোনদিন শেষ হবে না। সুতরাং, আপনি যদি থিম ডেভেলপ করে বিক্রি করেন, আপনার ইনকামও শেষ হবে না।
একটা ওয়ার্ডপ্রেস থিমের দাম কমপক্ষে ৩০ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত। আর মজার বিষয় হচ্ছে একটা থিম বিক্রি হয় বারবার, কোনও লিমিটেশন নেই। এমনও অনেক থিম আছে যা প্রতি মাসেই ৪০০ থেকে ৫০০ বার বিক্রি হয়ে থাকে। একবার চিন্তা করুন, ওই থিম ডেভেলপারের আয়ের পরিমাণটা! সত্যি বলতে কি, এ-রকম একটা থিমই আপনার অর্থনৈতিক জীবন পরিবর্তণের জন্যে যথেষ্ট। সুতরাং, প্যাসিভ ইনকাম চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপে মনোযোগী হোন।
থিম ডেভেলপ করার সুবিধা-
- প্রচুর পরিমাণে আয়ের সুযোগ।
- প্যাসিভ আয়ের সুযোগ।
- নিজস্ব ব্যবসা রান করার সুযোগ।
- নিজের মতো করে ডিজাইন করা সৃজণশীলতার প্রকাশ ঘটানোর সুযোগ।
থিম ডেভেলপের অসুবিধা-
- ডিজাইন ও ডেভেলপে প্রচুর নলেজ প্রয়োজন।
- ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএসের উপরে পর্যাপ্ত নলেজ থাকা চাই।
- কম্পিটিশনে টিকে থাকতে হবে।
- নিয়মিত কাস্টোমার সার্ভিস দিতে হবে।
৭. ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে আয়
আপনি যদি এ টু জেড ওয়েব ডিজাইনিং জানেন এবং আপনার যদি টিচিং ক্যাপাবিলিটি ভাল হয়ে থাকে, তবে আপনি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খুলতে পারেন। আমাদের দেশের অনেক তরুণ-তরুণীই এখন পড়াশুনা শেষ করে কিংবা পড়াশুনা চলাকালীণ সময় থেকেই ওয়েব ডিজাইন শেখার পরিকল্পণা করে থাকেন। এ-সব তরুণ-তরুণীদেরকে আপনার ইনস্টিটিউটে ভর্তি করিয়ে ট্রেনিং দিতে পারেন।
ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুবিধা-
- নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হতে পারছেন।
- ধীরে ধীরে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটকে আরো বড় করতে পারছেন।
- চাইলে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটকে ডিজাইনিং অ্যাজেন্সীতে রূপান্তরিত করতে পারছেন।
- তরুণ-তরুণীদের কাছে শিক্ষক হিসেবে সব সময়ই সন্মান পাচ্ছেন।
ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খোলার অসুবিধা-
- অফিস ভাড়া, ডেকোরেশন এবং প্রচারের পেছনে ইনভেস্ট করতে হবে।
- প্রথম দিকে ছাত্র-ছাত্রী পেতে প্রচুর পরিমাণে বেগ পোহাতে হতে পারে।
- পুরোপুরি দাঁড় করাতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
৮. স্টক গ্রাফিক্স বিক্রি করে আয়
ডিজাইনিং যদি আপনার নেশা ও পেশা দুটোই হয়ে থাকে, তবে আপনি প্রচুর পরিমাণে ডিজাইনিং ইলিমেন্ট তৈরি করতে পারেন। আর সেগুলোকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস স্টক গ্রাফিক্স হিসেবে বিক্রি করতে পারেন। মজার বিষয় হচ্ছে, ওয়ার্ডপ্রেস থিমের মতোই আপনি একই ডিজাইন বারবার বিক্রি করতে পারবেন।
আশা করি, ওয়েব ডিজাইন থেকে আয় করার এই উপায়গুলো জেনে আপনার ভাল লেগেছে। পাশাপাশি এও আশা রাখি যে, আপনি এ উপায়গুলোর মধ্যে যে কোনটি কিংবা একাধিক উপায় ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইনিং থেকে উল্লেখযোগ্য হারে আয় করতে পারবেন।
Notekhata says
ওয়েব ডিজাইন শেখা আর সেখান থেকে আয় করার উপায় আছে। তবে, এই করোনাকালে ওয়েব ডিজাইনের মতো ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্যে সঠিক গাইড লাইন হিসেবে অনলাইনকে বেছে নেয়া যেতে পারে। আমার নোটখাতা ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। হৈচৈ বাংলার পাঠকদের অনুরোধ করছি আমার নোটখাতা ভিজিট করার জন্যে।
Md Liton mia says
আমি ভালভাবে কাজ করতে পারি, ওয়েব ডিজাইন আমার খুব ভাল লাগে; এটাকে আমি পেশা হিসেবে নিতে চাই।