ওয়েবসাইটের স্পিড এবং ওভারঅল পারফর্মেন্স নিয়ে যখন ভাবতে হয়, তখনই বিভিন্ন রকম স্কোরিং টুল আর টেস্টের ব্যাপার সামনে চলে আসে। এর মাঝে একটি টেস্ট হচ্ছে ওয়াইস্লো স্কোর। আর এই টেস্টটি যেসব টুল প্রধান করে থাকে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হল-
- GTmetrix
- WebPageTest
- Pingdom
ওয়েবসাইটের স্পিড টেস্ট করার ১০টি টুল আছে, আর উপরোক্ত টুলগুলো সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই টুলগুলোর কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইটের স্পিড ইনসাইট শো করা যাতে ওয়াইস্লো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াইস্লো কি?
ওয়াইস্লো এর ওয়াই এসেছে ইয়াহু থেকে আর স্লো শব্দটির মানে তো আমরা সকলেই জানি। ওয়াইস্লো একটি ওপেন সোর্স প্রজেক্ট ও টুল যা ওয়েব পেজ অ্যানালাইজ করে জানিয়ে দেয় যে কেন সেটি ইয়াহু’র হাই পারফর্মেন্স ওয়েবসাইট রুলস্ অনুযায়ী স্লো আর কিভাবে বাড়ানো যায়। অর্থাৎ, এটি একদিকে ওয়েবসাইটের যাবতীয় ডাটা সংগ্রহ করে স্লো হওয়ার কারণ জানায় এবং সেই সাথে পারফর্মেন্স ইমপ্রুভ করার সাজেশন দেয়।
ওয়াইস্লো রুলস্
ওয়াইস্লো’র ২৩টি ভিন্ন ভিন্ন রুলস্ আছে যেগুলো ওয়েবসাইটে রান হয় এবং গ্রেড তৈরি করে। যে কেউ চাইলে এই রুলগুলো থেকে নির্দিষ্ট কোন রুল স্কিপ করে যেতে পারে।
ওয়াইস্লো কিভাবে কাজ করে?
- পারফর্মেন্স রেজাল্ট তৈরি করার জন্যে ওয়াইস্লো ৩টি রুল ফলো করে। এগুলো হলো-
- ইমেজ, স্ক্রিপ্ট, ইত্যাদি ওয়েব কম্পোনেন্ট খুঁজে বের করার জন্যে ওয়াইস্লো প্রথমে ডকুমেন্ট অবজেক্ট মডেল বা DOM ক্রল করে।
- দ্বিতীয় ক্রলিং এর সময় ওয়াইস্লো জিজিপ, এক্সপায়ার হেডার, ইত্যাদি কম্পোনেন্টের সাইজসহ অন্যান্য তথ্য জেনে নেয়।
- সব ধরণের ডাটা কালেকশন করার পর ওয়াইস্লো প্রতিটি রুল অনুয়ায়ী গ্রেড নির্ধারণ করে যা থেকে আমরা বুঝতে পারি ওয়েবসাইটটি কত পার্সেন্ট স্লো।
কিভাবে ওয়াইস্লো স্কোর বাড়াবেন?
১. এইচটিটিপি রিকোয়েস্ট কমিয়ে আনুন
একটা ওয়েবপেজে যত বেশি সিএসএস বা জাভাস্ক্রিপ্ট কল থাকে, সে পেজটি লোড হতে তত বেশি সময় নেয়। এই রিকোয়েস্ট কমানোর উপায় হচ্ছে একাধিক স্ক্রিপ্টকে একটা স্ক্রিপ্টে কম্বাইন করা, মাল্টিপল CSS ফাইলকে একটা স্টাইল শিটে একত্র করা।
২. CDN ব্যবহার করুন
সিডিএন হচ্ছে কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক। একজন ইউজারকে তার কাছাকাছি নেটওয়ার্ক থেকে কন্টেন্ট ডেলিভারি করাই হচ্ছে সিডিএন এর কাজ। আপনি যখন সিডিএন ইউজ করবেন, তখন ভিজিটর তার কাছাকাছি নেটওয়ার্ক থেকে কন্টেন্ট পাবে এবং ওয়াইস্লো স্কোর বেড়ে যাবে।
৩. খালি ইমেজ ট্যাগ অ্যাভয়েড করুন
আপনার ওয়েব পেজে যদি খালি ইমেজ ট্যাগ থাকে অর্থাৎ সেটাতে ইমেজ না থাকে, তবে ব্রাউজার তার ভিজিটরকে ইমেজ শো করার জন্যে রুট ডিরেক্টরিতে রিকোয়েস্ট দেয়। বারবার এই রিকোয়েস্টের কারণে ওয়েব পেজ স্লো হয়ে যায়। কাজেই, ওয়েব পেজে কোন ইমেজ ট্যাগই যেন খালি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৪. এক্সপায়ার হেডার অ্যাড করুন
জাভা স্ক্রিপ্ট, স্টাইল শিট, ইমেজ এবং ফ্ল্যাশসহ নানা রকম কম্পোনেন্টের কারণে ওয়েব পেজ বেশ কমপ্লেক্স হয়ে ওঠে। যখন একজন ভিজিটর কোনও ওয়েবসাইট ভিজিট করে, তখন সবগুলো কম্পোনেন্ট শো করার জন্যে একাধিক এইটিটিপি রিকোয়েস্টের প্রয়োজন হয়। এক্সপায়ার হেডার ব্যবহার করে সবগুলো কম্পোনেন্টকে ক্যাশেবল করে রাখা যায়। ফলে, পরবর্তীতে ভিজিটর যতবারই ভিজিট করুন না কেন, ক্যাশ থেকেই কন্টেন্ট শো হবে।
৫. Gzip দিয়ে কম্প্রেস করে নিন
আপনার ওয়েবসাইটের কম্পোনেন্টগুলোকে Gzip দিয়ে কম্প্রেস করে নিলে ওয়াইস্লো স্কোর বেড়ে যাবে। কারণ, Gzip কম্প্রেশন সার্ভার থেকে ডাটা নিয়ে ব্রাউজারে ট্রান্সফার করার আগে সেগুলো ছোট করে নেয়। ফলে, লোড টাইম কমে যায়।
এছাড়াও, ওয়াইস্লো স্কোর বাড়ানোর আরো অনেক উপায় আছে। মূলত, প্রধান প্রধান উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো। আশা করি, এগুলো আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড এবং পারফর্মেন্স বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।
Olid says
ওয়াইস্লো সম্পর্কে লেখাটা খুব ভালো লাগলো। আসলে আমি ওয়াইস্লো এবং ওয়াইস্লো স্কোর সম্পর্কে জানার জন্যে অনেক দিন ধরেই বাংলা কোন লেখা খুঁজছিলাম। অবশেষে হৈচৈ বাংলায় পেলাম।