যে সকল বিষয়কে কেন্দ্র করে আজকের দিনে ইন্টারনেট বিকাশ লাভ করছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ওয়াইফাই। বিশেষ করে ওয়াইফাই এর স্পিড এর কারণে এটি বিশ্ব জুড়ে সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ, আজকের পৃথিবীতে মানুষ আর নিজেকে ডেক্সটপ কম্পিউটারের সামনে বেঁধে রাখতে চায় না।
আমাদের দেশে ওয়াইফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়ে গেছে। চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে চালু হয়ে গেলও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ওয়াইফাই সুবিধার ক্ষেত্রে আমরা এখনো কিছুটা পিছিয়ে আছি। ইউটিউব বা কোন অনলাইন স্ট্রিমিং ওয়েবসাইটে ভিডিও বাফার করা, ফাইল ডাউনলোড বা আপলোড করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়া বা কোন নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ওপেন হতে অনেক্ষণ সময় লেগে যাওয়া আমাদের দেশে ওয়াইফাই এর স্পিড এর ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ ওয়াফাই হটস্পটের মাধ্যমে তাদের মোবাইল ডিভাইসকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করছে। কিন্তু উপরের সমস্যাগুলোতে ভোগেননি এমন মানুষ আমাদের দেশে খুব কমই পাওয়া যাবে। এ কারণে কিভাবে ওয়াইফাই এর স্পিড বাড়ানো যায় তা জানতে সবাই আগ্রহী হয়ে থাকেন, যাতে তারা নির্বিঘে যে কোন অনলাইন ভিডিও দেখা ছাড়াও দ্রুত গতিতে ফাইল আপলোড বা ডাউনলোড করতে পারেন। এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি যাতে ওয়াইফাইয়ের স্পিড
এর ব্যাপারে সম্পূর্ণ সমাধান পান সে কারণে আর্টিকেলটিকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
কিভাবে ওয়াইফাই এর স্পিড এর পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে দ্রুততর করা সম্ভব তা নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে। ওয়াইফাই এর প্রজন্মগত বিকাশ সাধারণত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এ তিনটি বিষয়ই আপনি ওয়াইফাই থেকে কেমন স্পিড পাবেন তা নির্ধারণ করে। তাই ওয়াইফায়ের স্পিড বাড়ানোর পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের আগে অবশ্যই এ তিনটি উপাদান সঠিকভাবে রয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিন। অন্যথায় আপনি যত পদ্ধতিই অবলম্বন করেন না কেন, লাভ হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। চলুন, দরকারি এ তিনটি বিষয়ের উপর একটু ধারণা নেওয়া যাক-
গতি:
নতুন প্রজন্মের ওয়াইফাই পূর্ববর্তী প্রজন্মের ওয়াইফাই এর তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত ডেটা ডেলিভার করতে সক্ষম হয়। যত দ্রুত ডেটা ডেলিভার হবে তত দ্রুত সংযোগ আপনি উপভোগ করতে পারবেন। তাই আপনি যে সংযোগটি ব্যবহার করতে চলেছেন বা করছেন সেটি সর্বশেষ প্রজন্মের এবং দ্রুত গতি সম্পন্ন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন।
ক্ষমতা:
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ডেটা সংযোগ দ্রুত গতির হওয়া সত্বেও ইন্টারনেটের গতি সীমিতই থেকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাউটারের দিকে প্রশ্ন চলে আসে। একটি ভালো মানের রাউটার একটি ভালো ওয়াইফাই এর স্পিড এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই আপনার রাউটারটির রাউটিং স্পীড কেমন এ ব্যাপারে আগে থেকে নিশ্চিত হোন।
বিস্তৃতি:
এক্ষত্রেও রাউটারের উপর দায়িত্ব অনেক বেশি বেড়ে যায়। আপনার অবশ্যই এমন একটি রাউটার নির্বাচন করা উচিত যা বেশি দুরত্বেও ভালো স্পিড প্রদানে সক্ষম।
ওয়াইফাই এর স্পিড
তাহলে এখন আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে একটি দ্রুত গতিসম্পন্ন ওয়াইফাই সংযোগ এর জন্য কোন কোন বিষয়গুলির দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। এবার ধরে নিন যে উপরের সবগুলি বিষয় ঠিকঠাক থাকা সত্বেও আপনার ওয়াইফাই সংযোগটি ধীর গতির। এক্ষেত্রে আপনার জানতে হবে যে কি কি কারণে ওয়াইফাই এর স্পিড স্লো হয়ে থাকে। প্রথমত বিভিন্ন ধরনের বস্তুগত বাধার কারণে ওয়াইফাই এর স্পিড স্লো হতে পারে যেমন দেয়াল, মেঝে বা ডিভাইস এবং রাউটারের মধ্যবর্তী বিভিন্ন ধরনের বস্তু ওয়াইফাই এর সিগন্যালকে প্রভাবিত করতে পারে। যেগুলো আপনাকে আপনার কাঙ্খিত ওয়াইফাই স্পীড পাওয়ার থেকে বিরত রাখতে পারে। এমনকি রাউটারকে কোথায় স্থাপন করা হয়েছে এমন কিছু সাধারণ বিষয়ের উপর ভিত্তি করেও স্পিডের তারতম্য দেখা দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার যদি আপনার কাঙ্খিত স্পিডের ইন্টারনেট সরবরাহ না করে থাকেন সেক্ষেত্রেও ওয়াইফাই এর স্পিড স্লো হয়ে যাবে। বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগণ ইন্টারনেট স্পিডের বিভিন্ন প্যাকেজ অফার করে থাকেন। আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অবশ্যই সবচেয়ে ভালো প্যাকেজটি নির্বাচন করতে হবে এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সেটি সরবরাহ করছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
যে সকল কারণে ওয়াইফাই এর স্পিড স্লো হয়ে থাকে তার মধ্যে উপরের কারণ দুটিকেই প্রধান বলা যায়। এজন্য ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কর্তৃক সরবরাহকৃত ইন্টারনেট প্যাকেজ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে রাউটার ও ইন্টারনেট সংযোগের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য বিষয়গুলির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি এগুলির সবকিছু আপনি ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করে থাকেন তাহলে এবার সময় এসেছে জেনে নেওয়ার যে কিভাবে আপনি আপনার ওয়াইফাই এর স্পিড বাড়াবেন।
সর্বাধুনিক ওয়াইফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করুন
যেহেতু ওয়াইফাই সংযোগের গতি হার্ডওয়্যারের উপর নির্ভরশীল সেহেতু দ্রুত গতি সম্পন্ন ওয়াইফাই সুবিধা ভোগ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে অত্যাধুনিক এবং আপ-টু-ডেট হার্ডওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তণশীল হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ের ওয়াইফাই প্রযুক্তির মধ্যে ওয়্যারলেস-এন (৮০২.১১এন) এবং ওয়্যারলেস-এসি (৮০২.১১এসি) সর্বাপেক্ষা আধুনিক এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন যার তুলনায় পূর্ববর্তী ওয়্যারলেস-এ (৮০২.১১এ), ওয়্যারলেস-বি (৮০২.১১বি) এবং ওয়্যারলেস-জি (৮০২.১১জি) অনেক বেশি পুরাতন এবং কম গতিসম্পন্ন।
নতুন ওয়্যারলেস-এসি রাউটারগুলি পূর্ববর্তী যে কোন রাউটার থেকে তিনগুন দ্রুতগতিতে ডেটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম। এছাড়াও এ রাউটারগুলিতে আগের রাউটারগুলির চাইতে নিরাপত্তা স্তর অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়াতে ডেটা চুরি বা হ্যাকিং প্রতিরোধে অনেক বেশি কার্যকরী।
রাউটার স্থাপনের জন্য সবচেয়ে অধিক উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করুন
অনেকক্ষেত্রে ব্যবহারের কারণে বা এক জায়গায় পড়ে থাকার কারণে রাউটারকে নোংরা বা অপরিষ্কার দেখা যায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি সেটিকে এমন কোন স্থানে স্থাপন করবেন যেখান থেকে এটি খুব সহজে চোখে না পড়ে। আপনার যদি রাউটার এর সর্বোচ্চ গতি নিশ্চিত করতে হয় তবে অবশ্যই সেটিকে এমন কোন খোলা এবং একটু উচুঁ স্থান যেমন দেয়ালের কোন নির্দিষ্ট স্থান বা কোন ফার্নিচারের উপরে রাখতে হবে। যেখান থেকে আপনার ডিভাইস এবং রাউটারের মধ্যবর্তী দেয়াল বা অন্যান্য বস্তুগত বাধা যেমন মাইক্রোওয়েভ, বেবি মনিটর, কর্ডলেস ফোন ইত্যাদি যথাসম্ভব কম হয়। মনে রাখতে হবে ওয়াইফাই তারবিহীন হলেও দুরত্বের কারণে এটির স্বাভাবিক গতি ব্যহত হয়ে থাকে।
এছাড়া আমাদের বাসার মধ্যেই এমন অনেক স্থান থেকে থাকে যেখানে রাউটার স্থাপন করলে কোনভাবেই ভালো স্পীড পাওয়া সম্ভব নয়। এমন স্থানকে ওয়্যারলেস ডেড স্পট বলা হয়। তাই রাউটার স্থাপনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়্যারলেস ডেড স্পট এড়িয়ে চলতে হবে। আপনার বাসার ওয়্যারলেস ডেড স্পট কোথায় সেটি জানার জন্য প্রয়োজনে CloudCheck অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনার বাসায় রাউটার স্থাপনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান কোনটি তা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অ্যাপটি আপনাকে সাহায্য করবে।
সঠিক ওয়াইফাই চ্যানেল নির্বাচন করুন
অনেক ক্ষেত্রে এমন হয়ে থাকে যে আমাদের প্রতিবেশী বা অন্যকানো রাউটারের কারণে আমাদের রাউটারের সিগন্যাল ঠিকমতো ট্রান্সফার হতে পারে না। সেক্ষেত্রে চিন্তার কোন দরকার নেই, কারণ প্রতিটি সিগন্যাল একাধিক এবং বিভিন্ন চ্যানেলে অপারেট করতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন ক্ষুদ্র ইন্টারফেসের এমন একটি চ্যানেল যা আপনার চাহিদাকে পূরণ করতে সক্ষম হবে। আপান বাসার জন্য সবচেয়ে ভালো চ্যানেলটি খুজে বের করার জন্য আপনি Network Analyzer Lite টুলটির সহায়তা নিতে পারেন।
ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন
আমি আগেও বলেছি যে আপনার প্রতিবেশীর ব্যবহৃত রাউটারটিই একমাত্র বস্তু নয় যা আপনার রাউটারের সিগন্যালকে প্রভাবিত করে থাকে। আপনার নিজের ঘরে ব্যবহৃত কর্ডলেস ফোন, মাইক্রোওয়েভ এবং অন্যন্যা জিনিপত্রও আপনার রাউটারের সিগন্যালকে নিরবচ্ছিন্ন এবং দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ থেকে বিরত রাখতে পারে।
আপনি যদি একটি ডুয়াল ব্যান্ড এর রাউটার ক্রয় করেন তাহলে আপনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাছাড়া আপনি বর্তমানে যে ব্র্যান্ডের কর্ডলেস ফোন ব্যবহার করছেন সেটিকে পরিবর্তন করেও এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে আপনি যদি কোনভাবেই নতুন কোন হার্ডওয়্যার কিনতে আগ্রহী না হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার রাউটার বা এই ধরনের জিনিসপত্রগুলিকে নিরাপদ দুরত্বে স্থাপনের মাধ্যমেও রাউটারের সর্বোচ্চ গতি নিশ্চিত করতে পারেন।
রাউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
ওয়াইফাই এর স্পীড ধরে রাখার জন্য এটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরী। ওয়াইফাই এর ডেটা চুরি থেকে রক্ষার জন্য একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সামান্য জটিল এবং চতুরতা সম্পন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাটাই আমার কাছে এ সমস্যার সহজ সমাধান বলে মনে হয়।
যদিও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় নিরাপত্তার জন্য কিন্তু বর্তমান সময়ে এমন অবস্থা যে পাসওয়ার্ডেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমাদের ভাবতে হয়। ব্যপারটি হাস্যকর হলেও এটিই সত্য। তাই পাসওয়ার্ড সম্পর্কিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাউটার কেনার পরপরই সেটির ডিফল্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দেওয়া উচিত। তাছাড়া আপনার অবশ্যই WPA2 পাসওয়ার্ড প্রোকেটশন এনাবল করে দেওয়া উচিত। এটি এনক্রিপ্টেড হওয়ায় পূর্ববতীয় WPA এবং WPE থেকে অনেক বেশি নিরাপদ।
ব্যান্ডউইথ নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনার বাসায় যদি এমন কেউ থাকে যে প্রতিনিয়ত ভিডিও চ্যাটিং, অনলাইনে গেম খেলা, অনেক বড় সাইজের ফাইল ডাউনলোড করা অথবা নেটফিক্স এর মত সার্ভিস ব্যবহার করে থাকে, তাহলে অবশ্যই সে আপনার মোট ওয়াফাই এর স্পীড এর অনেক বড় একটা অংশ দখল করে আছে। যার ফলস্বরুপ আপনি এবং অন্যান্য ইউজারগণ কম স্পীড পাচ্ছেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত বর্তমানে প্রতিটি রাউটারেই QoS বা Quality of Service সুবিধা থাকে যা ব্যবহার করে আপনি কোন নির্দিষ্ট ইউজার বা অ্যাপ্লিকেশনের ইন্টারনেট ব্যবহারের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
অ্যান্টেনা ব্যবহার করুন
উপরের সবগুলো বিষয় নিশ্চিত করার পরেও যদি আপনি আপনার ওয়াফাইর এর স্পীড নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকেন তাহলে আপনাকে সামান্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে। চিন্তার কোন কারণ নেই আপনাকে আপনার ব্যাংক থেকে কোন টাকা তুলতে হবে না। বাজারে অনেক কম দামের মধ্যে অ্যাডজাস্টেবল অ্যান্টেনা কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে অ্যান্টেনার জন্য আলাদাভাবে কানেক্টর এবং এক্সটেনশন ক্যাবল ব্যবহার করে আপনার ওয়াইফাইর এর রেঞ্জ এবং ক্যাপাসিটি দুটোই বাড়িয়ে নিতে পারেন।
ছোট-খাট হ্যাকিং এর সাহায্য নিন
আপনার রাউটারটিকে হ্যাক করে সেটিতে DD-WRT firmware ইনষ্টল করাটা আপনার ওয়াইফাই এর রেঞ্জকে বাড়িয়ে নেওয়ার আর একটি চমৎকার উপায় হতে পারে। এটি আপনার রাউটারে নিরাপত্তাজনিত অত্যাধুনিক ফিচার যোগ করাসহ রাউটারের ট্রান্সমিটিং ক্ষমতাকেও বৃদ্ধি করবে। বলে নেওয়া প্রয়োজন যে এটি আপনার রাউটারের জন্য বিপদজনকও প্রমানিত হতে পারে। তবে বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ রাউটারই 70 mW পর্যন্ত কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়াই কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে আপনাকে অনেক বেশি দুর থেকেও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে সক্ষম।
পুরাতন রাউটারকে ওয়াইফাই রিপিটার হিসেবে কাজে লাগান
আমি নিশ্চিত যে উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পর অবশ্যই আপনার ওয়াইফাই এর গতি আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও আমি আর একটি কার্যকরী পদ্ধতি আপনাদের জানাতে চাই। সেটি হলো আপনার বাসায় যদি আগে থেকেই কোন পুরাতন রাউটার থেকে থাকে তাহলে আপনি ইথারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে সেটিকে নতুন রাউটারের সাথে সংযুক্ত করে নতুন একটি অ্যাক্সেস পয়েন্ট তৈরী করার মাধ্যমে আপনার ওয়াইফাই এর রেঞ্জকে বাড়িয়ে নিতে পারেন।
একটি নির্দিষ্ট সময়ে রাউটার রিবুট করুন
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সামান্য সমস্যা দেখা দিলেই রাউটার রিবুট করে থাকেন। কিন্তু এটি করার পূর্বে আপনার অবশ্যই নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে আসলে কি সমস্যার কারণে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার বিঘ্নিত হচ্ছে। তারপরেও যদি সেটি করতে না চান, তাহলে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার রাউটারকে রিবুট করুন বা সে অনুযায়ী টাইমার সেট করে দিন। এতে পরে একদিকে যেমন আপনাকে বার বার রাউটারটিকে রিবুট করতে হবে না অন্যদিকে রাউটারটিও একটি নির্দিষ্ট সময়ে রিবুট হয়ে নতুনভাবে কাজ করা শুরু করবে।
আমার বিশ্বাস আজ পর্যন্ত আপনি আপনার বাসা কিংবা অফিসের ওয়াইফাই এর স্পিড বাড়ানোর জন্য যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, উপরের পদ্ধতিগুলো আপনার জন্য তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রমানিত হবে। এই কৌশলগুলি অবলম্বন করার পর আপনি আপনার ওয়াইফাই পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় অধিক দ্রুতগতিতে ও অধিক নিরাপদভাবে ব্যবহার করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। তাই আপনার যদি মনে হয় যে আপনার বাসা কিংবা অফিসের ওয়াইফাইয়ের স্পীড পূর্বের তুলনায় স্লো হয়ে আসছে তাহলে দেরি না করে এখনই উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরন করা শুরু করে দিন আর উপভোগ করুন ইন্টারনেটে সর্বোচ্চ গতি।
nio says
ভায়া, দয়া করে আপনার ফেবু. লিংকটা দিবেন কি? খুব প্রয়োজন।
আমারটা//- touchpal sb board (fb)
রাশেদুল ইসলাম পাভেল says
https://www.facebook.com/hr.pavel.bd