আর্টিকেল লেখা – কিভাবে শুরু করবেন এর প্রথম পর্বে আমরা অল্প কিছু ধারণা পেয়েছিলাম। শেষের দিকে আমরা একটা অনলাইন টুলের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম যেটা দিয়ে একটা আর্টিকেলের কত অংশ ইউনিক আর কত অংশ প্ল্যাগারাইজড্ বা ডুপ্লিকেট তা যাছাই করা যায়। আশা করি, আপনারা অনেকেই টুলটির ব্যবহার শিখে ফেলেছেন; না শিখে থাকলে এখনি শিখে নিন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা টুল। আপনি আর্টিকেল লিখেন, ব্লগিং করেন আর আউট-সোর্সিং মার্কেটে এসইও’র কাজ করেন, এ টুলটি আপনার লাগবেই। যাইহোক, চলুন আমরা ২য় পর্ব শুরু করি।
আর্টিকেল লেখা – দ্বিতীয় পর্ব
কি-ওয়ার্ড রিসার্চ: আর্টিকেল লেখা শুরু করার প্রথম ধাপটিই হচ্ছে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ। কি-ওয়ার্ড মূলত শব্দ সমষ্টি বা শব্দগুচ্ছ। লেখার জন্য আপনি যে টপিকটি নির্ধারণ করেছেন তার মূল শব্দগুলোই হচ্ছে কি-ওয়ার্ড। আমাদের এ লেখাটাকে উদাহরণ হিসেবে নেয়া যাক। লেখারটার হেড লাইন ‘আর্টিকেল লেখা – কিভাবে শুরু করবেন’ ইংরেজী করলে দাঁড়ায় Article writing – how to start. এখানে আমার কি-ওয়ার্ড হচ্ছে ‘Article writing’. এ লেখাটার জন্য আরো যে সব কি-ওয়ার্ড হতে পারে- ‘Article writing tips’, ‘Article writing tips and tricks’, ‘Way of article writing’, ‘Ways of article writing’, ‘Perfect ways of article writing’, ‘How to write an article’, ‘How to write articles’, ‘How to write an excellent article’, ‘How to write a perfect article’, ‘How to write a SEO friendly article’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
কি-ওয়ার্ড দু’প্রকার। প্রথমটি ‘হেড কি-ওয়ার্ড’ বা ‘শর্ট কি-ওয়ার্ড’ আর দ্বিতীয়টি ‘লং টেইল কি-ওয়ার্ড’।
হেড কি-ওয়ার্ড: হেড কি-ওয়ার্ড হচ্ছে মূল কি-ওয়ার্ড। হেড কি-ওয়ার্ড সাধারণত একটা বা দুইটা শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়। যেমন- Article Writing
লং টেইল কি-ওয়ার্ড: তিন বা তিনের অধিক শব্দ নিয়ে যে-সব কি-ওয়ার্ড গঠিত হয় সেগুলোই মূলত লং টেইল কি-ওয়ার্ড। যেমন- উপরে যতগুলো কি-ওয়ার্ড দেখছেন তাদের মধ্যে প্রথমটি বাদে বাকী সবগুলোই লং-টেইল কি-ওয়ার্ড।
এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য কি-ওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার নিজস্ব ব্লগের জন্যই আর্টিকেল লিখেন আর ক্লায়েন্টের জন্যই লিখেন, আপনাকে অবশ্যই কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হবে। কি-ওয়ার্ড রি-সার্চ করা মানে দেখে নেয়া আমি যে-কিওয়ার্ড নিয়ে লিখতে যাচ্ছি তার সার্চ ভলিউম কত মানে আনুমানিক কত লোক এই কি-ওয়ার্ড লিখে সার্চ দেয়। আর ওই কি-ওয়ার্ডের বিড রেটই বা কত। কি-ওয়ার্ড রিসার্চের জন্য গুগলের নিজস্ব একটি টুল রয়েছে, যার নাম কি-ওয়ার্ড প্ল্যানার। নিচে টুলটির লিংক এবং ব্যবহারের নিয়ম দেয়া হল-
Keyword Planner – Google AdWords
এই টুলটি ব্যবহার করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যদি থাকে তো উপরের লিংকে ক্লিক করুন, এরপর সার্চ রেজাল্টের প্রথম লিংকটিতে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন করে নিন। এবার শুরু করুন রিসার্চ-
উপরের ছবিটি দেখুন। ‘Your product or service’ লেখাটার নিচের ঘরে আপনার কি-ওয়ার্ডটি লিখে ‘Get Ideas’ বাটনের ওপর ক্লিক করুন। আইডিয়া পেয়ে যাবেন। যেমন- আমি article writing কি-ওয়ার্ডটি লিখলাম আর আমাকে যে-সব আইডিয়া দেয়া হল তা নিচের ছবিটির মত।
এখানে ঠিক এই কি-ওয়ার্ডটি লিখে যে-পরিমাণ সার্চ পড়ে তা দেখানো হয়েছে একদম শুরুতে। যেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি এই কি-ওয়ার্ডের মাসিক সার্চ ভলিউম হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ১০০ হাজার। কম্পিটিশন লো আর বিড রেট হচ্ছে ১.৫১ ডলার বা ১২০টাকা প্রায়।
আর নিচের দিকে দেখুন, এই কি-ওয়ার্ডের বিপরীতে আরো অনেকগুলো কি-ওয়ার্ড সাজেশন হিসেবে দেখানো হয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার টপিকের ওপর সুবিধা মতো যে কোন কি-ওয়ার্ড নিয়ে লিখতে পারেন। তবে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক পাওয়ার জন্য কি-ওয়ার্ড নেয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু জিনিস বিবেচনায় রাখতে হবে।
- ১. লং-টেইল কি-ওয়ার্ড নিন।
- ২. যে কি-ওয়ার্ডগুলোর কম্পিটিশন হাই বা মিডিয়াম ভুলেও শুরুর দিকে সেই কি-ওয়ার্ড নেবেন না। কারণ, তুমুল প্রতিযোগীতার কি-ওয়ার্ড নিয়ে বিশ্বের বাঘা বাঘা কোম্পানী বা ব্লগারদের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় আপনি টিকবেন না। সুতরাং সব সময় লো কম্পিটিশনের কি-ওয়ার্ড চুজ করুন।
- ৩. আবার লো কি-ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে যে কি-ওয়ার্ডগুলোর সার্চ ভলিউম অনেক বেশি যেমন প্রতি মাসের সার্চ ভিলিউম ৫/১০ হাজার থেকে শুরু করে লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, সেগুলোও নেবেন না। কারণ, ওই কি-ওয়ার্ডগুলো নিয়েও প্রচুর প্রতিযোগীতা হয়।
- ৪. যে কি-ওয়ার্ডগুলোর বিড রেট অর্থাৎ ক্লিক ভ্যালু বেশি, শুরুর দিকে সে কি-ওয়ার্ডগুলো নিয়ে কাজ করাটাও বোকামী হবে। কারণ, যেখানে বেশি টাকা, সেখানে বেশি প্রতিযোগীতা।
- ৫. লেখার শুরুতে আপনি কি-ওয়ার্ড বাছাই করবেন যে কি-ওয়ার্ডগুলোর সার্চ ভলিউম ১০-১০০ কিংবা ১০০ থেকে ১k মানে ১ হাজার, কম্পিটিশন- Low, আর বিড রেট- ৫ ডলারের নিচে।
যেমন উপরের লিস্ট থেকে আপনার জন্য যে কি-ওয়ার্ডগুলো সুবিধাজনক হতে পারে সেগুলো হল-
- get paid to write articles
- english article writing
- how to write an article in English
- how to write a good article
- article writing in English
- get paid for writing articles
- how to write an article format
- make money writing articles
- write articles and get paid
- how to write an article for publication
- earn money by writing articles
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেল লেখা ফিচারটির ২য় পর্ব এখানে শেষ করবো, পরবর্তী পর্বে আমরা শিখবো কি-ওয়ার্ডের ব্যবহার কোথায় কোথায় এবং কিভাবে করতে হয়। কি-ওয়ার্ডের ব্যবহার না জানলে আপনি যতই লিখেন না কেন কোন কাজে লাগবে না। আর ৪র্থ পর্বে থাকছে সারমর্ম ও সমাপ্তি।
moazzam hossain khan says
we need to learn more.
Antor says
Can you please specify what you exactly need to learn? I have tried to cover every aspect of writing an effective & SEO friendly article. If I missed any part of friendliness, please specify; I’ll surely cover & add it with this post or write a different post about that.
Sharif says
Paypal আইডি কিভাবে খুলবো ? এই ব্যাপার এ কিছু বলেন ।
Antor says
শরিফ ভাই, একটু অপেক্ষা করুন, পে-পাল আইডি খোলার উপর একটি পূর্ণাঙ্গ পোস্ট দেবো, ইনশাল্লাহ্।
Antor says
এখান থেকে জেনে নিন পে-পাল অ্যাকাউন্ট খুলবেন যেভাবে।