অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী যে অভিযোগটি করে থাকেন তা হলো তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড। আর তাদের অভিযোগ যে একেবারে ভিত্তিহীন তাও কিন্তু নয়। সময়ের সাথে সাথে গতি হারিয়ে ফেলা অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলির জন্য একটি প্রচলিত সমস্যায় পরিণত হয়েছে। যা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় বিরক্তির কারণ হিসাবেও প্রমাণিত।
জরিপ করে দেখা যায় যে, অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলি ক্রয় করার সময়ে বেশ দ্রুতগতি সম্পন্ন হয়ে থাকলেও সময় এবং ব্যবহার বাড়তে থাকার সাথে সাথে ফোনের গতিও ক্রমশ কমে আসতে শুরু করে। যার ফলে অভিজ্ঞদের কাছে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা সচরাচর যে-সব প্রশ্নগুলি করে থাকেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটি হলো তারা কিভাবে তাদের শখের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটিকে পূর্বের গতি ফিরিয়ে দেবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড বৃদ্ধির জন্য আমাদের সবার আগে জানতে হবে যে কেন অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলি সময় ও ব্যবহারের সাথে সাথে গতি হারিয়ে ফেলে। উত্তরটি খুব সহজ, আমরা যখন বাজার থেকে নতুন ফোন কিনে নিয়ে আসি তখন সেটিতে অ্যান্ড্রয়েডের বেসিক কিছু সফট্ওয়্যার ছাড়া অন্য কোন কিছুই ইনষ্টল করা থাকে না।
পরবর্তী সময়ে আমরা যখন ফোনটিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ইনষ্টল করি এবং প্রতিনিয়ত সেগুলিকে ব্যবহার করা শুরু করে তখন এই অ্যাপ্লিকেশনগুলিই রিয়্যাল টাইম রান করে ফোনের মেমোরী, স্টোরেজ এবং অন্যান্য রিসোর্স ব্যবহার করা শুরু করে, ফলে ফোনের গতি কমে আসতে থাকে।
অনেকেই ভেবে থাকেন যে তার ফোনটি হয়তো অপেক্ষাকৃত কম দামি হওয়াতে সেটিতে হয়তো মানসম্মত এক্সেসরিজ ব্যবহার করা হয়নি। ফলে তার ফোনটি এমন ধীর গতির হয়ে পড়ছে। এটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারনা। আপনার জেনে রাখা উচিত যে, সামস্যাং গ্যালাক্সি এস-৮ এর মত দামি এবং মানসম্মত ডিভাইসগুলোও কয়েক মাস ব্যবহারের পর থেকে ধীর গতির হয়ে পড়তে শুরু করে।
উপরের আলোচনাগুলি শেষে হয়তো আপনার এখন মনে হচ্ছে যে, তাহলে হয়তো আপনার ফোনটিকে আবার আগের গতিতে ফিরিয়ে আনার কোন উপায় নেই। এমন মনে করার বা এমন চিন্তা করার কোন কারণ নেই। সৌভাগ্যবশত এমন কিছু কাজ রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
তবে এ কাজগুলি অবশ্যই এমন নয় যা আপনি একবার করলেন এবং আজীবনের জন্য আপনার ফোনের গতি বহাল থাকলো। ফোনের গতিকে ধরে রাখতে প্রয়োজন অনুসারে কিছুদিন পর পরই পদ্ধতিগুলির পুনরাবৃত্তি করুন এবং ফোনের দ্রুতগতিকে ধরে রাখুন। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নিই এমন ১০ টি কাজ সম্পর্কে যা আপনার অ্যান্ডয়েড ফোনের গতিকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে-
প্রধান সমস্যাটি খুঁজে বের করুন
কোন সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে জানতে হবে যে সমস্যাটি কেন সৃষ্টি হচ্ছে তাহলেই তার সমাধানও বের করা সম্ভব। তাই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড স্লো হয়ে গেলে সেটির গতি পুনরুদ্ধার করার জন্য জানতে হবে যে কি কারণে ফোনটি স্লো হয়ে যাচ্ছে।
ভিন্ন ভিন্ন ফোনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কারণে ফোনের গতি স্লো হতে পারে। তবে এ কাজটি আপনার জন্য সহজ করে দিতে পারে Qualcomm এর Trepn Profiler অ্যাপ। এই অ্যাপটি আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন কোরের রিয়্যাল টাইম সিপিইউ লোডসহ ডাকা এবং ওয়াইফাই এর নেটওয়ার্ক ট্রাফিক, জিপিইউ লোড এবং র্যাম ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে থাকে।
তাছাড়া অ্যাপটির মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ আপনার সিস্টেমের কতটুকু মেমোরী ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটিকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সে সব তথ্যও জানা সম্ভব। যার উপর ভিত্তি করে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার ফোনটি স্লো হওয়ার কারণ কি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি রাখুন, বাকিগুলি ডাস্টবিনে ফেলে দিন
আপনি যদি এর আগেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড সম্পর্কিত কোন পোষ্ট পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই লক্ষ্য করে থাকবেন যে প্রায় প্রতিটি পোষ্টেই বলা হয় যে আপনার প্রয়োজনের বাইরে অ্যাপ ফোনে ইনষ্টল রাখা থেকে বিরত থাকুন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড ধরে রাখতে সর্বপ্রথমেই প্রয়োজন যে অ্যাপগুলি আপনার প্রায় প্রতিদিনই প্রয়োজন সেগুলি বাদ দিয়ে বাকিগুলিকে আনইনষ্টল করে ফেলা। একবার ভেবে দেখুন, আপনার বাড়ীতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গাও থাকে তবুও কি আপনি এমন সব জিনিস দিয়ে আপনার বাড়ী বোঝাই করে রাখবেন যা আপনার সব সময় প্রয়োজন হয় না! আর যদিও বা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি দেখবেন যে আপনার বাড়ীতে স্বাচ্ছন্দে চলাচলের মত আর জায়গা থাকছে না।
এক্ষেত্রে আপনার বাসাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং চলচল উপযুক্ত রাখার জন্য আপনি যা করবেন, আপনার ফোনটির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নিন। কারণ এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলি সারাদিন ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে এবং সব সময় ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে। এ ধরনের অ্যাপগুলি আপনার ডাটার খরচ বৃদ্ধি আর আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড হ্রাস করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেনা। তাই এগুলিকে এখনই আনইনষ্টল করে ফেলুন।
কিছু জায়গা খালি করুন
আপনি এখন পর্যন্ত আপনার ফোনটি দিয়ে যত ছবি তুলেছেন বা আপনার ফোনে যত অ্যাপ ইনষ্টল করেছেন তা স্বাভাবিকভাবে রান করার জন্য কিছু মেমোরী স্পেস এর দরকার হয়। আর যখনই এই স্পেস দেওয়া সম্ভব হয় না, তখন সেগুলি স্লো হতে শুরু করে।
আপনার ফোনে বর্তমানে কেমন স্পেস অবশিষ্ট রয়েছে তা জানার জন্য সেটিংস এ গিয়ে স্টোরেজ অপশনটির সাহায্য নিন। যদি দেখা যায় যে আসলেই কিছু স্পেস ফ্রি করার প্রয়োজন তাহলে প্রথমেই দেখুন এমন কোন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে কিনা যা এই মুহুর্তে আপনার কাছে খুব বেশি প্রয়োজনীয় নয় বা যেটি আনইনষ্টল করলে বেশ কিছু স্পেস খালি হয়ে যাবে। এভাবে বেছে বেছ সেই অ্যাপগুলিকে আপনার ফোন থেকে সরিয়ে ফেলুন যাদের ছাড়া আপনি বাঁচতে পারবেন বলে আপনার মনে হয়।
এছাড়া ফোনের cached data ক্লিয়ার করার চেষ্টা করুন। অধিকাংশ অ্যাপ পরবর্তীতে দ্রুত সময়ে কাজ করার জন্য cached data সংরক্ষণ করে থাকে এবং এটি একটি ভালো ব্যাপার। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে আপনার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্পেস নেই তাহলে এই প্রক্রিয়ার উপকারের চাইতে অপকারের পরিমাণই বেশি হবে।
অ্যাপ এর লাইট ভার্সন ব্যবহার করুন
ফেসবুক, টুইটার, ম্যাসেঞ্জার এবং অপেরার মত জনপ্রিয় অ্যাপগুলির পাশাপাশি বহুসংখ্যক অ্যাপ এর লাইট ভার্সন বর্তমানে গুগল প্লে ষ্টোরে পাওয়া যায়। অ্যাপ এর লাইট ভার্সন সাধারণত ফোনের গতির দিকে লক্ষ্য রেখেই ডিজাইন করা হয় এবং এটি সেই সব ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী যারা সবকিছু সাধারণভাবে দেখতে পছন্দ করেন।
লাইট ভার্সন অ্যাপ ব্যবহারের ফলে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে, সাথে সাথে আপনার ফোনের ডাটা খরচের পরিমাণও কমে আসবে। আর এগুলিই প্রধান কারণ যার জন্য যে কোন অ্যাপের লাইট ভার্সন ডিজাইন করা হয়ে থাকে।
সব সময় ফোনকে আপডেট রাখুন
ফোন আপডেট করা নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই একটি প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে আর তা হলো ফোন আপডেট করলে সেটি আগের তুলনায় স্লো হয়ে যায়।
অ্যান্ড্রয়েডের প্রতিটি নতুন ভার্সনেই অধিকতর ভালো স্পিডের দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। তাই আপনার ব্যবহৃত ফোনের যদি নতুন কোন আপডেট এসে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি করে নেওয়া উচিত। নিঃসন্দেহে এটি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড বৃদ্ধি করবে।
অপরদিকে যদি এমন হয় যে ফোন নির্মাতা কোম্পানী আপনার ব্যবহৃত মডেলের নতুন কোন আপডেট দিচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আপনি কাস্টম রম ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন। প্রায় প্রতিটি কাস্টম রম তৈরীর ক্ষেত্রেও ফোনের পারফরমেন্সকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে।
তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখার মত, আর তা হলো যদি এমন হয় যে আপনার ফোনটির বিল্ট ইন স্টোরেজ তুলনামুলক কম এবং সেটি বেশ কয়েক বছরের পুরাতন মডেল, সেক্ষেত্রে নিয়মিত আপডেট থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
নতুন অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগে ভেবে দেখুন
অ্যান্ড্রয়েডের যাত্রালগ্নে যেখানে হাতে গোনা কিছু অ্যাপ ছিল বর্তমানে সেখানে প্লে ষ্টোরে অ্যাপ এর সংখ্যা কয়েক লক্ষেরও বেশি। আপনাকে বুঝতে হবে যে এই লক্ষ লক্ষ অ্যাপের ভেতরে সব অ্যাপই আপনার সুবিধার কথা বিবেচনা করে নাও ডিজাইন করা হয়ে থাকতে পারে।
এমন অনেক অ্যাপ প্লে ষ্টোরে এখনও রয়েছে যা আসলে কোন কাজই করে না। এগুলির কাজ শুধু আপনার ডিভাইসটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তথ্য চুরি করা। যদিও বর্তমানে গুগল প্লে প্রোটেক্ট ফিচারের কারণে এমন অ্যাপের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে, তারপরেও এখনো প্লে ষ্টোরে রয়ে গেছে এমন অ্যাপের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
মেমোরী কার্ড ফরম্যাট করুন
আপনার ফোনের ব্যবহৃত অ্যাপগুলি যদি প্রায়ই ক্র্যাশ করে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে এর জন্য আপনার এক্সটারনাল মেমোরী কার্ডটি অনেকাংশে দায়ি। আমরা অনেকেই নতুন ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুরাতন ফোনে থাকা মেমোরী কার্ডটি কোন রকম ফরম্যাট না করেই সেটিকে নতুন ফোনের সাথে সংযুক্ত করে থাকি। এর ফলে পুরাতন ফোনে থাকা বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাটা থেকে যায় যা আপনার অ্যান্ড্রয়েড এর স্পিডকে প্রভাবিত করে থাকে।
তাই মেমোরী কার্ড ফরম্যাট করলে একদিকে যেমন অপ্রয়োজনীয় ফাইল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, অপরদিকে এটি ফোনের স্পিডেরও উন্নতি সাধন করে থাকে।
ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন
২০১৭ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকেই ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের গুরুত্বের বিষয়টি সবার নজরে আসা শুরু করে এবং ২০১৮ সালের শুরুর দিকে তা তুমুল জনপ্রিয় হতে শুরু করে। ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল এটি একই সাথে আপনার তথ্য বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে নিয়ন্ত্রন করার সুবিধা দেয়, সেই সাথে আপনার ফোনের মূল্যবান মেমোরীকেও রক্ষা করে। কারণ এটি আমাদের সবারই মনে রাখতে হবে যে আমরা যতটা ইন্টারনাল স্টোরেজ রক্ষা করে চলতে পারবো আমাদের ফোনের গতিও তত বেশি অক্ষত থাকবে।
বর্তমানে ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজেও অনেক বেশি পরিমাণ স্পেস দেওয়া হয়ে থাকে যা আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে ধারণ এবং নিরাপদ রাখার জন্য যথেষ্ট। কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যাকআপের জন্য সেরা ৫টি ফ্রি ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করুন।
ভালো লাঞ্চার ব্যবহার করুন
কাস্টম লাঞ্চার ব্যবহারে ফোনের স্পিড বৃদ্ধির সাথে সাথে ফোনকে একটি নতুন ইন্টারফেস প্রদান করাও সম্ভব। একটি কাস্টম লাঞ্চার হয়তো হার্ডওয়্যারগত দিক থেকে তেমন কোন সুবিধা দিতে পারবে না। তবে অ্যান্ড্রয়েড এর বিল্ট ইন লাঞ্চারের থেকে এটি অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনকে অনেক বেশি দ্রুত রান করাতে সক্ষম হবে।
তাছাড়া একটি ভালো মানের লাঞ্চার শর্টকাট এবং অন্যান্য কাস্টমাইজেশনের দিকে লক্ষ্য রেখে ডিজাইন করা হয় বলে এটি দ্বারা খুব সহজেই ফোনের অন্যন্যা কার্যাবলি দ্রুতগতিতে সম্পাদন করা সম্ভব হয়। তাই কোন নির্ভযোগ্য কোম্পানীর লাইট ভার্সনের লাঞ্চার ব্যবহার আমার কাছে সবচেয়ে বেশি উত্তম বলে মনে হয়।
যতটা সম্ভব শান্ত থাকুন
কথাটা হজম করা অনেকের কাছেই মুশকিল বলে মনে হতে পারে। কিন্তু যখন আপনার ফোনটি কোন কারণে হ্যাং করে তখন প্রতিনিয়ত স্ক্রিন ট্যাপ করলে ফলাফল খারাপ ছাড়া ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সাধারণত ফোনের সম্পূর্ণ র্যাম যখন কোন অ্যাপ বা প্রসেস এর দ্বারা ব্যবহৃত হয় তখন ফোন হ্যাং করে থাকে।
এমন অবস্থায় স্ক্রিন বার বার ট্যাপ না করে একটু সময় নিয়ে হোম বাটন চেপে ধরা উচিত এবং হোম স্ক্রিনে আসার পর রিসেন্ট অ্যাপ থেকে যে অ্যাপটির কারণে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে সেটি রিমুভ করে দেওয়া ভাল। যদি তাতেও সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে পাওয়ার বাটন চেপে ধরুন এবং ফোনটি রিস্টার্ট করুন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় এ নিয়ে আলোচনা সম্ভবত অ্যান্ড্রয়েড রিলিজের পর থেকেই শুরু হয়েছে। যদিও পূর্বের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনগুলোর চাইতে বর্তমানের রিলিজ হওয়া অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনগুলি অনেক বেশি দ্রুতগতি সম্পন্ন, কিন্তু তারপরেও শুধু মাত্র অপারেটিং সিস্টেম দ্রুত গতির হলেই ফোন দ্রুতগতি সম্পন্ন হয়ে যায় না।
দ্রুতগতির জন্য চাই হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম এর মধ্যে যথাযথ সামঞ্জস্যের সৃষ্টি করা এবং সেটিকে বজায় রাখা। আপনার ফোনটি যে প্রসেসর এবং যত পরিমান মেমোরী সম্পন্ন হোক না কেন, যদি অ্যাপগুলিকে সঠিকভাবে অপটিমাইজ না করা হয় তাহলে ফোনের গতি কমে আসতে বাধ্য।
Leave a Reply